somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অবনির অপ্রত্যাশিত স্বপ্ন

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনিরুদ্ধ ফিরে এসেছে , না অবনিকে ভালোবাসেনি কোনদিন অনি ।আজ সেই সত্যটা জানাতেই অনির ফিরে আসা ।কিন্তু অবনি ঠিক আগের মতোই ভালোবাসে অনিরুদ্ধকে । না ; কোন ক্ষোভ নেই ,অভিযোগ নেই ,নেই কোন অনুযোগও ।অনি যে জীবনে আরো একবার যোগাযোগ করবে অবনির সাথে সেটা অবনির কল্পনার বাইরে ছিল । অবনি আজ তাতেই খুশি ।

অনিরুদ্ধ চলে যাবার পর অবনি তার জীবনের সব লক্ষ্য ভূলে গিয়েছিল । সব হাসি আনন্দের ইতি টেনেছিল সেদিন,সারাদিন ঘরে বসে থাকা আর গুমরে গুমরে কাঁদাই যেন ছিল অবনির নিত্যনৈমিত্তিক কাজ । এতো কষ্টের মধ্যে থেকেও অবনি কখনো পরিবারের সদস্যদের বুঝতে দেইনি যে কতটা ব্যাথা নিয়ে সে দিন যাপন করছে ।সবসময় পরিবারের সদস্যদের কাছে তার নিয়মিত হাসিটাই উপহার দিত । এতো কিছুর পরও যথেষ্ট পরিমাণ ধৈর্য নিয়ে বেঁচেছিল অবনি ।পরিবারের মানুষগুলি তাকে এতোটা ভালোবাসে যে তার কষ্টের কথা শুনলে তারাও সবাই কষ্ট পাবে,তাই ভেবে অবনি সদা হাস্যোজ্জল থাকতো । সবসময় মুখে এক চিলতে হাসি লেগেই থাকতো অবনির । তাকে দেখে বুঝার কোন উপায়ই নেই যে তার মন কতটা হাহাকার করছে অনিরুদ্ধের জন্য ।

আজ অনিরুদ্ধের ফোনকল পেয়ে অবনি সত্যিই চমকে গেল । কিন্তু অনি আজ আর আগের মতো ফোন করে ই বলেনি "রিমঝিম সোনা ,কেমন আছ তুমি ?তোমাকে ভীষণ মনে পড়ছে "।আজ অনি ফোন করেছে পুরোটাই তার নিজের স্বার্থে ।

অনিরুদ্ধ লাবণীকে ভালোবাসে । লাবণীর সাথে তার মাত্র কয়েকমাসের সম্পর্ক , শুরুটা ফেসবুকের মাধ্যমে হলেও সম্পর্কটা কেবল মোবাইল পর্যন্ত গড়িয়েছিল । বিভিন্ন প্রতিকূলতার জন্যে এর থেকে বেশী দূর এগুনো সম্ভব হয়নি তাদের ।এসব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আরো সামনে যেতে পারতো অনি ,কিন্তু যায়নি পাছে লাবণীর কোন ক্ষতি হয় তাই ।আজ অনেকদিন হয় লাবণীর সাথে কথা হয়না অনির ।কিন্তু সে লাবণীকে কথা দিয়েছে ,সুযোগ মতো তার সব সমস্যার সমাধান করে ঘরে প্রস্তাব দেবে ।আর এই জন্য অবনিকে প্রয়োজন পড়েছে আজ অনিরুদ্ধের ।অবনিকে প্রচণ্ড বিশ্বাস করে অনি ,আর এটাও ভালো করে জানে যে অবনি তাকে কতোখানি ভালোবাসে ! যতোখানি ভালোবাসলে অবনি এরকম একটা কঠিন কাজ করতে পারে অনির জন্য । অনি তাতে মোটেও বিচলিত না ,বরং আজ সে অনেক খুশি । অনি জানে ,অবনি এ কাজে সফল না হওয়া পর্যন্ত ক্ষান্ত হবার পাত্রী না ।

অবনি অনির একটা ফোনকলেই খুশি । সে কি চাইল এ নিয়ে অবনির কোন ভাবনা নেই। অবনি জানে ,একদিন অনিরুদ্ধ ঠিকই বুঝবে যে সে কি ছিল তার জীবনে ।অবনি তার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে অনির স্বপ্ন পূরণ করার জন্যে । হয়তোবা অবনির পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে সে কতোটা উপকার করতে পারবে অনির ।কিন্তু সে মোটেও ক্লান্তু না এ কাজ করাতে । যেদিন লাবণীকে অনির হাতে তুলে দিতে পারবে সেদিন হয়তো একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে অবনি ।অনাকাঙ্কিত কিছু কারণে অবনির কাজের গতি আজ অনেকটা কমে এসেছে ।এ নিয়ে অনির উদ্বিগ্নতা ,অস্থিরতা ,অভিমান ,অভিযোগের কোন শেষ নেই ।যে অনির এতো বিশ্বাস অবনির প্রতি ,সেই অনি হঠাৎই আবার ভরসা হারিয়ে ফেলে অবনির উপর ।

যে লাবণী অনিরুদ্ধ কে ভূলে গিয়ে আজ দিব্যি সূখী জীবন যাপন করছে সেই লাবণীর জন্যে অনি কেন এতোটা পাগলপ্রায় তা আজও জানা হয়নি অবনির ।হয়তো কখনো আর জানতেও চাইবেনা এ জীবনে ।যাক ! অবনি আজও স্থিরভাবে বসে নেই । অবনি এখন শুধু সেই দিনটির অপেক্ষায় আছে যেদিন লাবণীকে অনিরুদ্ধের হাতে তুলে দিতে পারবে ।

অবনির পথচলাও সেদিন হয়তো শেষ হবে ,স্বপ্নও সেদিন পুরণ হবে ।সে আবার তার গন্তব্যহীন পথে পা বাড়াবে এক কদম দু'কদম করে . . . . . . . . . . . . . . . . . . !
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×