এরা আসলে কি চায়? এইযে ধর্মের আর শালীনতার দোহাই দিয়ে ধর্ষণকে যারা হালাল করতে চায় তারা দ্বিতীয় মাত্রার ধর্ষক। সময় সুযোগ পেলে এরাও উল্লাসে ধর্ষণযজ্ঞে শামিল হবে।
এইযে এই মনমানসিকতার সো কলড ধার্মিক মানুষ, যাদের ওড়নার ভাঁজে সামান্য বুক দেখলে, শাড়ি পড়া মেয়ের কোমর পিঠ দেখলে আর বোরকার শেপ দেখলে যাদের চেতনাদণ্ড দাঁড়িয়ে যায়, তাদের ধর্মে কি পরনারীকে ধর্ষণ করা জায়েজ বলে? নাকি ধর্মে বলছে যেসব নারীর শরীর দেখা যায় তাদের শাস্তিস্বরূপ ধর্ষণ করে দাও??
ধর্ষণকে আদিমকাল থেকেই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নিজের পৈশাচিক শক্তি দেখিয়ে নিজের আধিপত্য বিস্তার করা এবং মেয়েদের ভীতসন্ত্রস্ত করার একটা অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করে আসছে। এইযে ধর্মের আর শালীনতার দোহাই, এসব বাহানা মাত্র। ২ বছরের বাচ্চা থেকে ৫০ উর্ধ্ব নারী ধর্ষণের লিস্টের আওতাভুক্ত। এজন্য পোশাকের দোহাই দেয়া বাদ দেন।
ধর্ষণ একটা জঘন্যতম অপরাধ, এর পক্ষে কোন জাস্টিফিকেশন নাই। একটা মেয়ে ছোট পোশাক পড়ছে, মেয়ে রাতবিরাতে বাইরে ঘুরতেছে, মেয়ে অফিস করতেছে, মেয়ে গান গাচ্ছে, নাচতেছে, মেয়ের কোমর বুক দেখা যাচ্ছে, মেয়ে বাসে ট্রামে চড়তেছে - একটা মেয়ে যাই ই করুক, সে যেই ধর্মেরই হোক, যেই বয়সেরই হোক, তারে ধর্ষণ করে শাস্তি দেয়ার বা সে ইচ্ছা পোষণ করার বা ধর্ষণের পক্ষে জাস্টিফিকেশান দেয়ার কোন অধিকার পৃথিবীতে কোন ধর্মই আপনাকে দেয়নাই। আপনি যেমন মানুষ, মেয়েরাও মানুষ।
আপনারা যাদের সামান্য পোশাকের ফাঁকফোকর দিয়ে শরীর দেখে চেতনাদন্ড দাঁড়িয়ে যায়, আপনারা পশু। খাঁচায় আপনাদের বন্দী করে তিনবেলা খাওন দেয়া উচিত, মেয়েদের না। আপনার সিক, আপনাদের চিকিৎসা দরকার। একজন সুস্থ চিন্তাভাবনার পুরুষ মানুষ যতই উত্তেজিত বোধ করুক, তারা কখনই একটা মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণের কথা ভাববে না, ট্রাস্ট মি।
স্ক্রিনশট টা একটা ধর্ষণের খবরের কমেন্ট বক্স থেকে নেয়া। এসব মানুষ চায় এরাই শুধুমাত্র দুনিয়াতে বিচরণ করুক, তারপর দিনশেষে ৪ টা বউ আর ১০০ টা বাঁদিকে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির মতো বলবে, তোমরা সবাই লাইনে দাঁড়াও, ম্যা তুমহারে সাথ *** করনা চাতাহু।
ইউ কান্ট জাস্টিফাই রেপ, বাই এনি লজিক অর বাই এনি রিলিজন। লাউড এন্ড ক্লিয়ার।


অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



