শিলং শহর বিকেল থেকেই বেশ জমজমাট হয়ে উঠে। পুলিশ বাজারের চারপাশে স্ট্রিট ফুড বিক্রি করতে দেখা যায়। যেহেতু এখানে পর্ক বিক্রি হয় সেহেতু আমরা মমো ছাড়া আর কিছুই টেস্ট করে দেখিনি। চা পান করেছি, চা ভাল ছিল। আমার কাছে কেন জানিনা মমো খাওয়ার সময় একটা গন্ধ লেগেছিল। তারপর আর কিছুই খাইনি বাইরে থেকে। কেনাকাটার জন্য শিলং মোটেও ভাল মনে হয়নি। যাইহোক রাতের শিলং এর ছবি খুঁজে পেলাম না। দিনের গুলোই দিলাম।



শিলং এর রাস্তাঘাট বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।



ছবিগুলো গাড়ি থেকে তোলা


পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। এখানকার গাড়ি চালকরা বেশ ভালো গাড়ি চালায়। ওভারটেক খুবই কম করে। আর কোন পথচারী রাস্তা পার হচ্ছে দেখলে গাড়ি থামিয়ে দেয়।

মেঘে ঢাকা চারপাশ


পাংথুমাই ঝর্না

পাংথুমাই ঝর্না

বোরহিল ঝর্ণা

বোরহিল ঝর্ণ
রাম কৃষ্ণমিশনঃ
রামকৃষ্ণ মিশন হল একটি ভারতীয় ধর্মীয় সংগঠন। এই সংগঠন রামকৃষ্ণ আন্দোলন বা বেদান্ত আন্দোলন নামক বিশ্বব্যাপী আধ্যাত্মিক আন্দোলনের প্রধান প্রবক্তা। এটি একটি জনকল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ১৮৯৭ সালের ১ মে রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। মিশন স্বাস্থ্য পরিষেবা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণকার্য, গ্রামোন্নয়ন, আদিবাসী কল্যাণ, বুনিয়াদি ও উচ্চশিক্ষা এবং সংস্কৃতির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণকরেছে। - উইকিপিডিয়া
পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে পাহাড়ের উপরে এসে আমাদের গাড়ি থামল। নামার পর দেখলাম রামকৃষ্ণ মিশন এটা।

রামকৃষ্ণ মিশন

রামকৃষ্ণ মিশন

রামকৃষ্ণ মিশন

রামকৃষ্ণ মিশন

স্বামী বিবেকানন্দের ভাস্কর্য

দুপুর বেলায় আমরা ইকো পার্কে এসে পৌছাই। এখানেই আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। যার যা পছন্দ তাই খেয়েছি এখানে। তবে আমরা ভাত, মাছ, ডাল, সবজি এবং পাপর এবং চাটনি খেয়েছি। এখানকার খাবার আমাদের দেশের খাবারের মতন এত সুস্বাদু নয়। দু একজনকে দেখলাম খেতেই পারছিলনা। প্রথমদিন আমরা চিকেন খাইনি। পরে আমাদের অবস্থা দেখে আমাদের গাইড মুসলিম হোটেল খুঁজে সেখান থেকে খাবার কিনে দিয়েছে এবং সেখানে গিয়েও আমরা খেয়েছি। এরা এত কমার্সিয়াল যে চাল না ফুটতেই সেটা নামিয়ে কাস্টমার কে খেতে দেয়। ২/৩ বার আমাদের খেতে কষ্ট হয়েছে। খেয়ে দেয়ে আমরা ইকো পার্ক ঘুরে দেখলাম।

ইকো পার্ক

ইকো পার্ক

ইকো পার্ক

ইকো পার্ক

ইকো পার্ক
এলিফ্যান্ট ফলসঃ
দিনের মাঝামাঝি সময়ে আমরা এলিফ্যান্ট ফলস দেখতে গেলাম। প্রায় ৩০০ সিড়ি নিচে নেমে দেখতে হয়। নিচে নামার সময় সাবধানে নামছিলাম আমরা কারন বৃষ্টিতে ভেজা ছিল সিড়িগুলো। নামার সময় খুব ভালোভাবেই নেমেছিলাম। কিন্তু উঠার সময় খবর হয়ে গেছে।


এলিফ্যান্ট ফলস

এলিফ্যান্ট ফলস

এলিফ্যান্ট ফলস
[
চেরাপুঞ্জি- মেঘালয়:
শিলং এর সবচেয়ে আকর্ষনীয় মনে হয়েছে আমার কাছে চেরাপুঞ্জি। এত সুন্দর জায়গা যে বার বার যেতে মন চায়।

রোমান্স উইথ ন্যাচার

চেরাপুঞ্জি

চেরাপুঞ্জি

চেরাপুঞ্জি





নো কালি কাই ফলস




সেভেন সিস্টারসঃ
বর্ষাকাল হলে অনেক ভালো লাগত দেখতে।





চমৎকার একটা ট্যুর ছিল। প্রকৃতির অপরুরপ সৌন্দের্যে ভরা শিলং-মেঘালয়। আঁকাবাঁকা পথ, মেঘের লুকোচুরি সবমিলিয়ে অসাধারন । খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শহর। এখানে কেউ যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে না। প্রতিটা জায়গায় ময়লা ফেলার জন্য বিন রয়েছে। শিলং শহর থেকে বর্ডারে আসতে মাত্র ৩ ঘন্টা লাগে। বর্ডারে বেশি সময় লাগেনি আমাদের। কোন ঝামেলা পোহাতে হয়নি আমাদের।
মজার ব্যপার হলো ৩ দিন পাহাড় দেখে চোখের সামনে শুধু পাহাড় ভাসছিল। রাতে যখন সিলেট আসলাম তখন দূরের মেঘগুলোকে পাহাড়ের মত লাগছিল। আমি ভেবেছিলাম এটা শুধু আমার কাছেই লাগছে। কিন্তু দেখলাম কয়েকজন বলছিল তাদের কাছেও সেইম মনে হয়েছিল। একটা ঘোরের মধ্যেই ছিলাম মনে হচ্ছিল।
একটা বিষয় শুধু ভাবছিলাম এমন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন যদি আমাদের দেশটা হতো কত ভালো লাগত। আমরা কেন এমন হতে পারিনা?
একটা পোষ্ট দিতেই কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়। সময়ের অভাবে আর ধৈর্য্যের অভাবে কোন বর্ণনাই ভালো ভাবে লিখেতে পারিনি। কেন জানিনা ধৈর্য্যে নিয়ে লিখতে পারিনা এখন।
পরিশেষে বলব আমরা যেখানেই ভ্রমণ করিনা কেন যত্রত্ত্র ময়লা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবনা।
শুভরাত্রি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


