somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রতিচ্ছবি

৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


- নীল খেতে আসো
- আমি এখন খেতে যেতে পারবো না। তোমরা খাও।
- কেনো পারবেনা?
- উফ চুপ করো তো যাও এখন আমি বিজি আছি।
- কি নিয়ে এত বিজি তুমি শুনি?
- কি নিয়ে বিজি শোনা লাগবে না। আমি বিজি। যেতে পারবোনা।


- নীল তোমার রুম ঝাঁট দিতে বুয়া এসেছিলো তুমি ঢুকতে দাও নি কেনো?
- আমার রুম ঝাঁট দিতে হবে না।
- কেনো হবে না?
- কারণ আমার দরকার নেই। আমার রুমে কেউ আসুক চাইনা আমি।

- নীল তুমি কতদিন গোসল করো না?
-জানিনা।
- কেনো জানোনা?
- দেখো মা তুমি এই সব নিয়ে আমাকে বলতে আসবা না আমার যখন ইচ্ছা হবে তখন করবো।
- তোমার বেডশিট চেঞ্জ করতে হবে তুমি কাউকে এই রুমে ঢুকতে দাও না কেনো?
- উফ মা বলেছি না আমার রুমে আমি কাউকে চাইনা।


নীলা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে ওর টিন এইজ ছেলেটার দিকে। দিন নেই রাত নেই ২৪টা ঘন্টার মধ্যে মনে হয় ২০ ঘন্টায় সে মনিটরে তাকিয়ে আছে। গেইম খেলছে, নয়ত ম্যুভি দেখছে। প্রায় প্রায় তাকে দেখলে স্ক্রিন চেইঞ্জও করে দেয়। কোনো মেয়ের সাথে কথা বলে। বুঝতে পারে নীলা। প্রায়ই তার ম্যুড অফ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে শুনতে পায় চিৎকার করে রাগ দেখাচ্ছে কারো সাথে। মাঝে মাঝে মন খারাপ। বেশি ভাগ সময়ই মন খারাপ থাকে ওর। নীলা বুঝতে পারে। সবই বুঝতে পারে নীলা। মন খারাপ হয়ে যায় ওর নিজেরও।

নিজেকে অপরাধী মনে হয়। মনে পড়ে ২০ বছর আগের একটি মুখ।

ঠিক একই ভাবেই নীলা যখনই এম এস এন মেসেনঞ্জার সেই মান্ধাতার আমল বা আদি যুগের মেসেঞ্জারে লগ ইন করতো। প্রায় সাথে সাথেই ভেসে উঠতো ছেলেটা। নীলা অবাক হত খুব! ভাবতো এই ছেলের কি নাওয়া খাওয়া নেই। দিন রাত অনলাইনে করছে টা কি?
- এ্যই তোমার নাওয়া খাওয়া নেই?
- ধ্যাৎ কি বলো এইসব ? থাকবেনা কেনো?
- কখন খাও? কখন ঘুমাও?
- চুপ করো তো। ঠিকই করি। খাই ঘুমাই সবই করি। তোমাকে ভাবতে হবে না।

ঠিক এভাবেই কথা বলতো সে। নীলা সেই কথা বলার স্টাইলটা লেখা দিয়েই ঠিক ঠিক বুঝে যেত ওকে। রাগী রাগী মুখের সেই ছেলেটাকে চোখে না দেখেও দেখতে পেত সে। নীলা জানতে চাইত-

- তাহলে যখনই অনলাইনে আসি তুমি থাকো কি করে? আচ্ছা তুমি কি করো বলোতো? কোথায় থাকো? কি করো ? কি খাও? প্রশ্নে প্রশ্নে জর্জরিতে করে তুলতো ওকে নীলা।
ছেলেটা খুব বেশি কথা বলতো না। চুপচাপ থাকতো। হু হা করতো। কিন্তু নীলা একটু চ্যাট বন্ধ রাখলেই অস্থির হয়ে উঠতো ছেলেটা।
- এই নীলা। এ্যাই এ্যাই কি করো? কথা বলো না কেনো?

বাহ! নীলা যেন সারাদিন ওর সাথে কথা বলার জব নিয়েছেন। অনর্গল যেমন বক বক করতে পারে নীলা একই ভাবে ঐ মেসেঞ্জারেও বক বক লিখে যেত সে। সারাদিন কি করলো, কোথায় গেলো, কি খেলো, কি পরলো, তার মা কি কি বকা দিলো, পাশের বাড়ির আন্টি কি পাঠালো। দুনিয়ার হাবিজাবি কথা।

আর চুপ করে শুনতো ছেলেটা। কি যে মায়া লাগতো নীলার ওকে। না দেখে না জেনে না শুনেও যে কারো সাথে এই ভাবে লিখে লিখেও মনের ভাবের আদান প্রদান হয়ে যেতে পারে সে কথা সে বুঝতেই পারতোনা তখন সে, জানতোও না। তবুও মেয়েদের স্বভাবজাত কিছু সহজাত মায়াময় স্বভাবের কারণেই রোজই সে জিগাসা করতো-
- এ্যই তুমি কখন উঠেছো? কি খেয়েছো? নাস্তা করেছো? গোসল? ক্লাস? মানে শুধুই মেয়েলী সহজাত বৈশিষ্ঠেই না কেমন যেন এক অধিকার জন্মেচ্ছিলো ওর উপরে দিনের পর দিন একটু সময় পেলেই ছুটে আসতো ওর কাছে তাই। ছেলেটাও উত্তর দিত হুম হাম করে হ্যাঁ উনি সবই করেছেন। যেন কত লক্ষী বাচ্চার মত সকালে উঠেছেন। ব্রেকফাস্ট, শাওয়ার, ক্লাস।

হ্যাঁ নীলা বলতো নাস্তা ও বলতো ব্রেকফাস্ট, নীলা বলতো গোসল ও বলতো শাওয়ার। মানে একটু অন্য টাইপ স্টাইলই ছিলো ওর। এটা খুব খুব এনজয় করতো বোধ হয় নীলাও। তবুও নীলা মাঝে মাঝে কেনো যেন কনফিউজড হয়ে যেত। মনে হ্ত সে একটা রোবোট। কখনও ঘুমায় না খায় না, গোসল করে না, কোনো কাজ তো করেই না। তাতে নীলার কিছুই সমস্যা ছিলো না। সে জানতো তার একজন খুব মনের মত বন্ধু আছে যে এই মনিটরটার মাঝে বাস করে। যখনই সে তাকে চায় তখনই তাকে পাওয়া যায়।

তখন কিন্তু এই এখনকার মত ফোনেই মেসেঞ্জার, ফেসবুক, হোয়াটস আপ ভাইবারের জন্মও হয়নি। সে ছিলো এনালগ টেলিফোন দিয়ে কার্ড ভরে ভরে নেট চালাবার দিন। চাইলেই টুকুস করেই নেটে ঢুকে যাওয়া যেত না তখন। তার উপর ছিলো মায়ের বকা ঝকা। ঐ দিন নেই রাত নেই কি করিস এই বক্সের সামনে বসে বসে? হ্যাঁ সেই ঢাউস বক্স পিসি মনিটরও দেখার ছিলো বটে। এখনকার ছেলেমেয়েরা সেসব দেখতে যাদুঘরে যাবে। সেই বক্সটার মধ্যে তখন থাকে সেই যাদুকর ছেলেটা। যে নীলাকে চুম্বক আকর্ষন করে।

এই কথা মাকে বললেই তো সোজা আছাড় মেরে ভেঙ্গেই ফেলবে নীলার যাদুর বক্সটাই। নীলা বলে টাইপিং শিখি মা। কি সুন্দর খটাখট টাইপ করতো আমাদের সাবিহা আন্টি সেই থেকেই টাইপ শেখার শখ আমার। আবার কখনও বলে এই দেখো দেখো পেইন্ট ব্রাশে ছবি আঁকছি। বাহ কি সুন্দর ছবি। আবার কখনও গেইমস খেলার অজুহাত দেখাতো। কিন্তু তার মেইন আকর্ষনটাই তো আসলে ছিলো ঐ ছেলেটা।

সে যাইহোক একদিন নীলা আসতে পারলো না নেটে। কারণ তার কার্ড নেই। অতি কম্পিউটারে বসে থাাকার কারণে মাও শাস্তি দিয়েছেন। কিনে দিচ্ছে না কার্ড। আর দেবেও না বলেছে। নীলার দিন কাটেনা, রাত কাটেনা, শুধু মনে হয় কি করছে এখন ছেলেটা? ওকে নিয়ে নিশ্চয়ই চিন্তায় পড়েছে। অনেক ভাবছে কি হলো তার। সে না আসলে না কথা বললে তো অস্থির হয়ে যায় ছেলেটা। আসলে নীলাই তখন অস্থির হয়ে উঠছিলো। বুকের মধ্যে উথাল পাথাল। নীলার সে সময় কোনো মোবাইল ফোনও ছিলো না। ছেলেটার নাম্বারও নেওয়া হয়নি। মন খারাপ করে থাকে নীলা দিন রাত।

এরপর কয়েকদিন পরে যখন মায়ের দয়া হলো। নীলার নেট কানেকশন ফিরে ফেলো। সাথে সাথে মেসেঞ্জারে ঢুকেই চিৎকার।
-এ্যই ই ই ই ই ই ই ই ই ই ই । কেমন আছো?
- কি ব্যাপার ? কোথায় ছিলে এতদিন? কোনো আসোনি? কেনো আসোনি শুনি? কেনো? জানো আমার কত চিন্তা হয়েছিলো? এত খারাপ লাগছিলো মনে হচ্ছিলো মরে যাবো আমি। চুপচাপ ছেলেটা হঠাৎ রাগে পাগল হয়ে গেছে। চোখ বড় বড় করে দেখে নীলা। একি হলো ছেলেটার!
- তুমি এত রাগ করেছো? কিন্তু কেনো?
- কেনো মানে? জানোনা ? তোমার সাথে না কথা বললে আমার কত কষ্ট হয়?
- কষ্ট হয়! কেনো কষ্ট হয়?
- চুপ। একদম চুপ। কেনো কষ্ট হয় জানোনা?

নীলার চোখে পানি ভরে আসে। কেনো কে জানে? কিন্তু নীলার মুখে তখন মিটিমিটি হাসি। তবুও সে সব চেপে রেখে বলে,
-স্যরি আসলে আমারও খুব খারাপ লাগছিলো। কিন্তু আসতে পারিনি আমার নেটের কার্ড ছিলো না।
- শুনো এখন থেকে কার্ড না থাকলেও তুমি আসবা। আমার জন্য তোমাকে আসতেই হবে।
- কার্ড না থাকলে আসবো কেমনে? তোমার বাড়িতে চলে আসবো নাকি? হি হি করে হাসতে থাকে নীলা।
- না আমি তোমাকে কার্ড পাঠাবো। আবারও চোখ গোল্লা করে তাকিয়ে থাকে নীলা।
- তুমি পাঠাবে কেমনে? তোমার কি এত টাকা আছে?
- টাকা আছে কি নেই তোমাকে ভাবতে হবে না। তুমি শুধু চুপ করে বসে থাকো আমার কাছে।
- চুপ করে বসে থাকবো?
- না বক বক করো।

সেই শুরু ফোন নাম্বার, কার্ড নাম্বার আর দিন রাত লেগে থাকা দুজনের দুজনার মনে মনে । এইভাবে দুই প্রান্তের দুই বীপরিতমুখী দুইটা পাগল আর পাগলী ছেলে আর মেয়ের ভালোবাসার শুরু। আজকালকার ছেলেমেয়েরা শুনলে পাগলই ভাববে। আসলেই তারা হয়ত পাগলই ছিলো।

ছেলেটা যেদিন কথা নেই বার্তা নেই বলে বসলো,
- আই লাভ ইউ।
নীলা তো শেষ। বলে কি ? আজকালকার দিনে কত রকম প্রোপোজ করে ছেলেমেয়েরা আর সেসব দিনে ছেলেটা কিন্তু তার অনুমতীর ধারও ধারেনি। যেন ধরেই নিয়েছে এই মেয়েটা তারই একার সম্পত্তি। তাকে ছাড়া আর কাউকেই ভালোবাসতে পারবেনা সে।


দীর্ঘশ্বাস পড়ে ওর। ভূত ভবিষ্যৎহীন সেই ভালোবাসার গল্প হারিয়ে গিয়েছিলো একদিন। সে আরেক গল্প। নীলা ভেবেছিলো ভালোই আছে সে। তার স্বপ্নের রাজকুমারটা বুঝি ভালোই আছে তার স্বপ্ন রাজ্যে। তাই সুযোগ থাকা স্বত্ত্বেও নীলা দূরে থেকেছিলো। কিন্তু একদিন হঠাৎ ওর সামনে এসে দাঁড়ালো ছেলেটা। বললো,
- নীলা তোমাকে দেখে খুব ভালো লাগছে জানো? কত বছর পর তোমার সাথে দেখা হলো। নিশ্চয় ভুলে গেছো আমাকে তুমি।
নীলার বুকটা ফেটে যাচ্ছিলো। কেমন করে বললো সে এই কথাটা? কি করে ভুলবে তাকে নীলা! কত কত দিন ক্ষন ঘন্টা কেটেছিলো তার সাথে। কত কত মাস বছর দিন। ছেলেটা তার জন্য যে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাড়াতেও রাজী ছিলো। তবুও হারিয়ে যেতে হয়েছিলো নীলাকে। নীলা ভেবেছিলো সেই ভালো। কিন্তু সত্যিই কি সেটা ভালো ছিলো? ওদের দুজনের কারো জন্যই?

- নীলা। এই জীবনে আর কাউকে ভালোবাসাই হলোনা আমার জানো?
- কেনো? বউকে? এত সুন্দর মিষ্টি একটা মেয়ে। তাকে ভালোবাসবেনা কেনো?
- কেনো? তুমি জিগাসা করছো? জানো তোমাকে মাঝে মাঝে আমার খুন করে ফেলতে ইচ্ছা করে কিন্তু পারিনা।
- কেনো? পারোনা কেনো?
- কারণ তুমি আমার প্রিন্সেস। তোমাকে কি করে খুন করবো বলো? ভালোবেসেই তো কূল পাইনা আমি। সেসব দিনে আমি খুব ইন্ট্রোভার্ট ছিলাম। কারো সাথেই মিশতাম না। আমার সবটুকু ঘিরেই ছিলে তুমি। শুধু তুমি পৃথিবী অন্য দিকে। তুমি আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছো নীলা। এমন করে আমাকে ফেলে চলে যাবে কখনও ভাবতেই পারিনি আমি। আমার বুকের ভেতরটা শূন্য হয়ে গেছে। কেউ আর তা পুরণ করতেই পারেনি।
নীলা চুপ করে থাকে। ভীষন কষ্ট হয় ওর। ছেলেটা আবার বলে,
- জানো আমি সব সময় তোমার জন্য ওয়েট করতাম। তুমি আসবে। এসেই শুরু করবে তোমার বক বক বক বক। সেই ছিলো আমার শান্তির জায়গা। কাউকে ভালো লাগতোনা আমার। শুধু তুমি আসলেই তোমার নামটা মেসেঞ্জারে ভেসে উঠলেই চাঙ্গা হয়ে উঠতাম আমি।
আমি তোমার উপর একটু বেশিই ডিপেনডেন্ট হয়ে পড়েছিলাম একটু বেশিই অধিকারও খাটাতাম। রাগও করতাম বেশি বেশি। আমি সেটা এখন বুঝি। তোমাকে আমি বড় বেশি আঁকড়ে ধরেছিলাম। জানো আমি আমার রুমে কাউকে ঢুকতে দিতাম না। আমি খেতাম না এমনকি শাওয়ারও করতাম না। এক মুহুর্ত আমি তোমাকে ছেড়ে যেতে চাইতাম না। আর যখন তুমি থাকতে না শুধুই তোমার অপেক্ষায় কেটে যেত আমার ঘন্টার পর ঘন্টা তুমি আসবে। সেই অপেক্ষায়....
- তুমি খেতে না?
- না
তুমি ঘুমাতেও না
- না ঠিক মত ঘুমাতামও না
- গোসল ?
- দুই সপ্তাহে একদিন তাও খুব দ্রুত। বাথরুমের দরজা খোলা রেখেই। চুলও কাটতাম না জানো? দুই মাসে একবার। কোনোমতে আবার চলে আসতাম তোমার কাছে।
-আর কি কি করতে?
- রুমে কাউকে ঢুকতে দিতাম না। বেডশিট চেইঞ্জ করারও টাইম দিতাম না কাউকে।

নীলার চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে। বহু বছর পর। সামলে নিয়ে বলে,
- জানো আমার টিন এইজ ছেলেটাও একদম হুবুহু এসবই করে।
- তাই নাকি?
- হুম। কিন্তু কি করে সম্ভব ? এত মিল!
- হা হা দেখো তোমার মত কোনো নীলমনিকে খুঁজে পেয়েছে কিনা? যেমন আমি হঠাৎ একদিন খুঁজে পেয়েছিলাম আমার প্রিন্সেসকে? কিউটের ডিব্বা। হাসতে থাকে ছেলেটা।
নীলার বুকটা কষ্টে ফেটে যায়। খুব অবাক লাগে ওর।
- কিন্তু ঠিক তোমার মত করে একই আচরণ কি করে করে আমার ছেলেটা ? তোমার কথা শুনে আমি সত্যিই অবাক হচ্ছি। কি করে এত মিল সম্ভব!
- যাক আমি খুশি হলাম। আমি নেই কিন্তু আমার প্রতিচ্ছবি রয়ে গেছে তোমার কাছে। আর না হয়েই বা কোথায় যাবে বলো? আমি তো জানি আমার জন্যই তোমার জন্ম হয়েছিলো। তুমি যেখানেই যাও না কেনো আমাকে ফেলে পালাতে পারবেনা। একজন মা সন্তান পেটে থাকতে যাকে ভাবে সে তার মতই হয় জানোনা? আর তুমি আমাকে ছাড়া আর কাউকে কি ভাবতে পারো? অসম্ভব! পৃথিবী উলটে গেলেও এটা সম্ভব না। যেখানেই যাও যত দূরেই পালাও। আমি থেকে যাবো তোমার হৃদয়ের গভীরে। এ আমি নিশ্চিৎ জানি।

নীলার দু'চোখে জল ঝরে অবিরল।
বুকটা ফেটে যাচ্ছে ওর।
বহুদিন পর ওর খুব খুব ইচ্ছে করে ফিরে যেতে সেই কিশোরীকালের দিনগুলোতে।
এবারে নিশ্চয় আর কোনো ভুল করবে না সে...
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২১
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×