'মনে রাখবেন, শত্রুবাহিনী ঢুকেছে, নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ সৃষ্টি করবে, লুটপাট করবে। এই বাংলায় হিন্দু মুসলমান বাঙালি অবাঙালি যারা আছে তারা আমাদের ভাই। তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের উপরে।' -৪২ বছর আগে ৭ই মার্চে দেয়া এই ভাষন আজকেও আমাদের মনে রাখা দরকার। সেই তখনের শত্রুবাহিনী এখনো আমাদের দেশের মাটিতে ভাংচুর করে, আমাদের মাঝে বিভক্তি তৈরী করে, আমাদের রক্ত দিয়ে কেনা জাতীয় পতাকা পোড়ায়। তখন যারা এদের সমর্থন করেছে তারা ছিল বিশ্বাসঘাতক, সেদিনের রাজাকার। এখনো যারা এদের সমর্থন করছে, যারা এর বিরুদ্ধে একটা কথাও বলছে না তারা আজকের রাজাকার। সবাই তাদের চিনে রাখুন। রাজাকার শুধু একবার আসে না, তারা বারবার আসে, বারবারই তাদের দমন করতে হবে।
কত বড় সাহস হলে আমাদের দেশে দাঁড়িয়ে আমাদেরই শহীদ মিনারে তারা হামলা করতে পারে? কতবড় সাহস হলে আমাদের সামনে তারা জাতীয় পতাকা পোড়ায়?? আওয়ামী-লীগ, বিএনপি, বাম, ডান বুঝি না...এখন পর্যন্ত যারা শাহবাগের পক্ষে ছিলাম দেশের জন্য ছিলাম, যারা শাহবাগের পক্ষে ছিল না তাদের অনেকেও নাকি দেশপ্রেমের কারনেই ছিল না (যেহেতু শাহবাগে নাকি দেশের জন্য 'আপ-টু-ডেট' তেমন কিছু বলা হচ্ছে না!)। আজ আমাদের সামনেই তারা দেখিয়ে দিল ওরা কতটা স্বাধীনতাবিরোধী। গোড়ায় গলদ রেখে যারা এতদিন আগা ছাটতে চাচ্ছিল তাদের চোঁখ হয়তো এখনো খুলবে না।
শাহবাগের হাজার মানুষের মাঝে একজন ব্লগে উলটা পালটা বিচ্ছিরি কিছু কথা লিখেছে, সেটা নিয়ে তো আমাদের অনেকেই ফেটে পরলাম পুরো আন্দোলনকে নাস্তিক আখ্যা দিয়ে । ধর্মপ্রেম থাকা ভালো। কিন্তু যখন দেশের অপমান করা হয় তখন আপনাদের ধর্ম কোথায় থাকে? আপনাদের ধর্মে কি শিখায়নি দেশপ্রেম ঈমানের অংগ? নাকি শুধু সেই অংশটাকেই ভুলে গেছেন? যারা ধর্মের একটা অংশ মানে আর আরেকটা এড়িয়ে যায়, তাও শুধু দলীয় স্বার্থে, তাদের বকধার্মিক ছাড়া আর কীই বা বলা যায়? নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি দেশপ্রেমী, ধর্মপ্রেমী নাকি শুধুই দলপ্রেমী??

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




