somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিভক্তি!

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সারা পৃথিবীতে ইহুদীর সংখ্যা এক কোটি চল্লিশ লাখের একটু বেশি। পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের ইহুদীর সমস্যায় মানবতার হাত বাড়িয়ে আছে ইসরাইল। চাইলে যে কোন ইহুদী ইসরাইলের নাগরিক হতে পারবে কোন রকম বাঁধা ছাড়াই। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিসরে পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে থেকেও তারা ঐক্যবদ্ধ এবং বিশাল মানবিক (নিজ ধর্মের জন্য) !

সারা পৃথিবীতে প্রায় একশ আটষট্টি কোটি মুসলমান রয়েছে। বেশকিছু ইসলামপন্থী রাষ্ট্র এখনও বিদ্যমান। ইসলাম ধর্মে প্রচুর মানবতার কথা বলা হয়ে থাকে। পৃথিবী জুড়ে ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা মৌলিক বিষয়বস্তু ফেলে নিজ ধর্ম নিয়ে বিশেষ করে শিয়া, সুন্নি, আহমদিয়া, ওহাবিয়া, পীর-বাবা, মাজহাবসহ কয়েক হাজার মতাদর্শে বিবক্ত! পবিত্র কোরআন এবং হাদিস অনুযায়ী নিজেরাই ঐক্যমতে পৌছাতে পারেনি। কিংবা কখনও ঐক্যমতে পৌঁছানোর আয়োজন করেনি। নিয়মিত গ্রুপ তৈরি করে কোন্দাল নিয়ে তারা মহাব্যস্ত। বলে বেড়াচ্ছে অমুক ইহুদীদের দালাল তমুক কাফের! এধরেন কর্মকান্ড করে নিজেকে মহা পন্ডিত সাজাতে যেয়ে ক্ষতি করছে ইসলামের। এজন্য বহিঃ শত্রুর প্রয়োজন হয়নি মুসলমানদের নির্যাতন করতে।

প্রতিদিন আমরা দেখি ফ্যালেস্টাইনে মুসলমমান নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। হিসাব করে দেখা যাবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অন্যান্য ধর্মের মানুষের চেয়ে নিজ ধর্মের মানুষ দ্বারাই সর্বাধিক নির্যাতনের শিকার মুসলামনরা। রাষ্ট্র থেকে সমাজ এমনকি পরিবারের ভেতরেই এসব নির্যাতন সয়ে যাচ্ছে এক শ্রেণীর অসহায় মানুষ। ধর্ম তাদের ভেতরে ইহকাল পরকালের ভাল কাজের উপলব্ধি সৃষ্টি করতে পারেনি! একদিকে তারা ধার্মিক অন্যদিকে নির্যাতক। দূরের মুসলমানের জন্য কৃত্রিম কান্না করলেও পাশের মুসলমানের প্রতি প্রচন্ড কঠোর! ইসলাম ধর্মের লেবাসে মূলত এরাই ইসলামের সবচে বড় শত্রু। এই সমাজেই নমরুদ ফেরাউনের আদলে হাজারও লেবাসধারী আছে। লেবাস নিয়ে ধর্ম পালন করা করে গেলেও মূলত তারা নিজ ধর্মই মানেনা। ভরপুর আদর্শ আর নৈতিকতা থাকার কথা ছিল ইসলাম ধর্মে। বলা হয় ইসলাম শান্তির ধর্ম। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গন্থ্য বলা হয় আল-কোরআনকে। প্রতি নিয়ত অগ্রাহ্য করে যাচ্ছে ধর্মের বানী ও কার্যক্রম। এত কিছুর পরও ফতোয়া দিয়ে দাবী করে আমরা মুসলাম!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৩
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×