১. রিজার্ভের টাকার কেউ চিবিয়ে চিবিয়ে খায়নি। গেল কোথায়?
- হাওয়া হয়ে গেছে। ডেঙ্গু রুগী নিয়ে হসপিটালে ছিলাম।অনেক কয়েল কিনতে হয়েছে, রাতও জাগছিলাম, সিগারেটও টানছি অনেক... তাই প্রথমে ধোয়া, পড়ে হাওয়া।
২. আপনাকে ফোন কে কিনে দিয়েছে?
- চুন্নি। মানে মন খারাপ ছিল আমার। বোন বাবার টাকা চুরি করে আমাকে দিয়েছিল। সেটা দিয়ে কিনেছিলাম। মানে আমার বোন তো চুন্নি (চোর-স্ত্রী লিঙ্গ),তাই না?
৩. যমুনা/পদ্মা সেতু করার স্বপ্ন কে দেখেছিল?
- পিতা। মানে আমার পিতার পিতা (দাদা) আর ঐদিকে আমার শ্বশুরের পিতা (দাদা শ্বশুর )। কারন দাদা রংপুর থেকে ঢাকায় যেতেন, আর দাদা শ্বশুর সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায়। নদী পার হবার সময় পিতারা বুঝতেন, সেতু কত জরুরি। তারাই প্রথমে স্বপ্ন দেখেছিলেন। এঘটনা কিন্তু ১৯২০ এর আগের।
৪. ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে কে?
- বিদ্যুৎ অফিস। পিতা মাতার সাথে কথা বললাম। তারা বলল, পুরান বাসায় ১৯৭৮ এ আর নতুন বাসায় ১৯৮৬ তে বিদ্যুৎ অফিস কারেন্টের লাইন টানায় দিছে। তখন থেকে ই আমাদের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ।
৫. দেশবাসী জান্নাতে আছে। কেমনে?
- আইন মানতে হয় না। রাস্তা থেকে মেয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মজা করা যায়, বিয়ার দরকার নাই। পড়ার দরকার নাই, পরীক্ষায় উপস্থিত থাকলেই পাশ করা যায়। সরকারী কর্মচারী হলে তো কথাই নাই, টেবিলের উপর দিয়ে নিচ দিয়ে... সব কথা বাদ দিলাম। আপনি ধরেন মহাপাপী, শুনলাম গোপালগঞ্জে একটা মাজার আছে, সেটাতে দোয়াখায়ের করে পুলসিরাত মানে পদ্মাসেতু পার হলেই নাকি মানুষ জান্নাতে। এই কাম করার পর, অনেকেই তো মারা গেছে। আলহামদুলিল্লাহ... দেশের ভেতরে জান্নাতে যাবার টিকিট কাউন্টার। একাল ওকাল দুকালেই জান্নাত।
৬. আমাকে বড় ভাই বলল, বাচ্চার নাম কি রাখা যায়?
- ডিজিটাল। বুঝালাম, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে আছি না? কারেন্ট নাই তাতে কি, বাসায় কম্পিউটার আছে না? 1MB ডাউনলোড হতে ৬ মিনিট লাগে তাতে কি, ইন্টারন্টে আছে না? ডাটা মানেই তো ডিজিটাল, বাইনারী নাম্বার। ডিজিটাল স্মার্ট নাম হবে। ভাই বলে, ''কনক'' নামটা কেমন। বললাম, কনক, সেতু, জয়, নয়ন এগুলা হলো হিজরা টাইপের নাম। মেয়ে না ছেলে বোঝা যায় না। ডিজিটাল নাম টা সুইট। ভাই আবারও বলে, ডিজিটালের সাথে টাল মাটাল আউলা ঝাউলা একটা ব্যাপার আছে... রাখমু না।