তাহার কোলের 'পরে মাথা রেখে শুইনিকো কতো রাত!
সে এক সহস্র রাত্রি আগে আমি শেষবার শুয়েছিনু,
কাঁঠালচাঁপা'র মত কি এক অনন্য ঘ্রাণে -
হয়েছিনু বিভোর আমি, আবেশে চক্ষু মুদে।
মনে আছে, অদ্ভুত সুকোমল আয়েশি খেয়ালে -
তিনি গেয়েছিল গান,
আর এলোমেলো চুলে ছিল অস্ফুট -
কলমি ফুলের মতো আঙ্গুলের খেলা
বাতায়ন বেয়ে বেয়ে উচ্ছল হাওয়া এসে ছুঁয়েছিল
আলগোছে অবিরাম।
অষ্টাদশীর চাঁদ আকাশের গায়ে ছিল ঠেস দিয়ে
আমারি মতন এক আহ্লাদী ঢঙে।
সেই সে রাতের মত আর কভু শুইনিকো
করিনি জোৎস্না স্নান একসাথে দু'জনেই।
আর কভু চাঁদ এসে দেয়নিকো উঁকি,
বাতায়নে পাহারায় আলোরোধী সান্ত্রী!
রুষ্ট হৃদয় হতে আহ্লাদেরা ধুকেধুকে উবে গেছে
যেটুকু আকাঙ্ক্ষা, সেও ভেঙ্গেপড়া শাখা হয়ে ঝুলে আছে।
কি এক অভাগা বোধ ঘিরে থাকে সারাক্ষণ
অতৃপ্ত সাধ, যেন অমোঘ নিয়তি হয়ে মিশে আছে।
জীবনের ভাঁজে ভাঁজে এভাবেই সময়েরা দাগ কাটে
তবুও আকাশ থেকে রূপালী আলোর বান ভেসে আসে
খুনসুটি খেয়ালের তান ভাসে শুনশান বাতাসের গায়ে গায়ে
আর আমার রাত্রি বহে সেই সে নেশার ঘ্রাণ ভেবে ভেবে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:১২