বাগেরহাট,০৩ মে’২০১০(ইউএনএনবি)
ফকিরহাট উপজেলার হোচলা এলাকার পুজা ম-পের সামনে প্রকাশ্যে পরিতোষ ও কালিদাসকে ধরে এনে গুলি করে হত্যা, কালিদাসের কালিদাসের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া এবং একই সময়ে পাশর্্ববতর্ীর্ দেবপ্রসাদের স্ত্রী মমতাকে ধর্ষণের পর বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়ার অভিযোগে বাগেরহাট জেলার বিচার বিভাগীয় হাকিমের আদালতে ২ জনের বিরম্নদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জঘন্যতম এই হত্যাকান্ডের প্রত্যৰদর্শী ফকিরহাট উপজেলার জয়পুর গ্রামের মরহুম শেখ আশফাক আলীর মেয়ে শরীফা গত ২৫ এপ্রিল বাগেরহাট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি সংশিস্নষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মিঞা গত ৩০ এপ্রিল মামলাটি এজাহারভুক্ত করেন (নং-১৮)।
মামলার আসামী করা হয়েছে ফকিরহাটের জয়পুর গ্রামের ওসমান শেখের ছেলে আশরাফুল শেখ (৫৮) এবং আসাদ সেখ (৬০) কে।
মামলার আরজিতে বাদী উলেস্নখ করেছেন, ঘটনার পূর্ব দিন বাদিনী পাশর্্ববতর্ীর্ হোচলা প্রামের আমজাদ শেখের বাড়িতে যায়। ঘটনার দিন সকালে উলিস্নখিত আসামীরা তাদের অপর ৬/৭ জন সহযোগী ও পাকিসত্দানী সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আমজাদ শেখের প্রতিবেশি রতন চক্রবর্তী নামে একটি ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়। একই সময় হোচলা এলাকার পরিতোষ ও কালিদাসকে ধরে এনে সকলকে একই সাথে ওই গ্রামের পুজা ম-পের সামনে গুলি করে হত্যা করে। এরপর আসামীরা কালিদাসের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। পরপরই তারা পাশর্্ববতর্ীর্ দেবপ্রসাদের স্ত্রী মমতাকে ধর্ষণ করে এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। এর পর আসামীরা ফাঁকাগুলি ছুঁড়ে উলস্নাস করতে করতে পাশের এলাকার উপেন-এর বাড়ি লুটপাট করে চলে যায়। ওই সময় মামলা করার কোন পরিস্থিতি না থাকায় বাদীপক্ষ আইনের আশ্রয় নিতে পারেনি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





