Previous news :
1.http://www.dailynayadiganta.com/2010/03/19/fullnews.asp?News_ID=201453&sec=3
2.http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/03/04/21175http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/03/04/21175
3.http://www.dailysangram.com/archive/news_details.php?news_id=35069&publication_date=2010-07-21
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে আবেদন পুলিশের গুলীতে নিহত মেধাবী কলেজ ছাত্র হাফিজুর রহমান শাহীন হত্যার ঘটনা পুন:তদন্তের দাবি]
স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী কলেজের মেধাবী ছাত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাফিজুর রহমান শাহীন পুলিশের গুলীতে মৃত্যুর ঘটনা পুন:তদন্তের দাবি জানিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে আবেদন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের বরাবরে এই আবেদনটি করেন বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা খ্রীস্টিয়ান ডেভলপমেন্ট অল্টারনেটিভের (সি ডি এ) নির্বাহী পরিচালক উইলিয়াম নিকলাস গোমেজ। একই সঙ্গে আবেদনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন, প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজুলুল করিম, আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও পুলিশের আইজি নূর মোহাম্মদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে সিডিএ'র পক্ষ থেকে হাফিজুর রহমান শাহীনের বিচার বহির্ভূত হত্যার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের আবেদনের প্রেক্ষিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি আমীরুল কবীর চৌধুরী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আবেদনে নিহত হাফিজুর রহমান শাহীন পুলিশের গুলীতে হত্যার শিকার হওয়ায় পুলিশকে বাদ দিয়ে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত তদন্তের দাবি ওই আবেদনে করা হলেও কমিশনের চেয়ারম্যান তখন বিষয়টি আমলে না নিয়ে দায়সারাভাবে তদন্তের নির্দেশ দেন। ফলে আবেদনে উল্লিখিত সিডিএ'র পক্ষ থেকে করা আশংকাই সত্যি হয়। গত ১২ মে পুলিশের রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সাইফুল্লাহ কর্তৃক পরিচালিত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয় শাহীন হত্যাকান্ডের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানা পুলিশের জড়িত থাকার সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অথচ গত ২০ ফেব্রুয়ারি' শিবগঞ্জ থানাস্থ চৈতন্যপুর গ্রামে সিডিএ কর্তৃক পরিচালিত সরেজমিন তদন্তে হাফিজুর রহমান শাহীনকে পুলিশ কর্তৃক নির্মমভাবে হত্যার প্রাথমিক তথ্য ও প্রমাণ সংগৃহীত হয়। সিডিএর তদন্তে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শিবগঞ্জ থানার এসআই ইয়ামিন আলীর নেতৃত্বে ১১ জন পুলিশ তথাকথিত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৈতন্যপুর গ্রামে মফিজুল ইসলামের বাড়িতে পরিকল্পিত হত্যার অভিযান পরিচালনা করে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশের নির্দেশে এই হামলা চালানো হয়। এই হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর মতে, কিছু পুলিশ মফিজুল ইসলামের প্রতিবেশী আযহারুল হকের বাড়ির দেয়াল টপকে প্রথমে মফিজুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান নেয় এবং ঐ বাড়িতে অবস্থানরত হাফিজুর রহমান শাহীনকে তার ঘর থেকে বাহির করে নিয়ে এসে ঐ বাড়ির পরিত্যক্ত স্টোর রুমে নিয়ে নির্যাতন চালাতে থাকে। ঐ সময় মফিজুল ইসলামের প্রতিবেশী ও ভাই আযহারুল হক ও চৈতন্যপুর গ্রামের চৌকিদার মোঃ আনারুলকে নিয়ে আরো কিছু পুলিশ প্রবেশ করে এবং আযহারুল হককে তার ঘুমন্ত ভাই মফিজুল ইসলামকে ডাকতে বলে। ইতোমধ্যে কিছু ধ্বস্তাধ্বস্তির আওয়াজ শোনা যায় এবং মফিজুল ইসলামের বাড়ির স্টোর রুমে দিকে এগিয়ে গেলে দেখা যায় উক্ত মেধাবী ছাত্র হাফিজুর রহমান শাহীনের উপর পুলিশ অস্ত্র তাক করে রেখেছে। পুলিশের অফিসারের নির্দেশে এই মেধাবী ছাত্রের উপর গুলী চালানো হয়। পুলিশের গুলীতে ঘটনাস্থলে হাফিজুর রহমান শাহীন মৃত্যুবরণ করে। এরপর ঐ স্থান হতে মফিজুল ইসলাম ও তার ছেলে মাহফুজ আলম (২৬) কে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন শিবগঞ্জ থানার এসআই ইয়ামিন আলী বাদী হয়ে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। আবেদনে বলা হয় এই ঘটনাটি সুস্পষ্টভাবে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। সংবিধান প্রদত্ত মানবাধিকারকে এই ঘটনা পদদলিত করেছে। কমিশনের দেয়া আবেদনে হাফিজুর রহমান শাহীনের বিচার বহির্ভূত হত্যার পুলিশ কর্তৃক মিথ্যা প্রতিবেদন বাতিল করে পুনরায় উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ চাওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





