হুমাযুন আহমেদ একজন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, কিঞ্চিত তরুণী আসক্তিতে আক্রান্ত(!) জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। ব্যাক্তিগতভাবে আমি তার লেখা “হিমু”তে এতই আসক্ত যে নিজেকে হিমু ভাবতে ভালোলাগে।
(১) উনার লেখা যত সিরিয়াস ব্যাপার নিয়েই হোক না কেন, সমস্ত লেখাজুড়ে সূক্ষ্ম রসবোধ(কখনো সখনো স্থূলও!) থাকবেই
(২) গল্পে মূল চরিত্রগুলোর পাশাপাশি যে গুরত্বপূর্ণ চরিত্রটি অবশ্যই থাকবে- বুয়া!
(৩) নারীজাতির চারিত্রিক সৌন্দয দেওয়ার ব্যাপারে কখনোই কার্পণ্য থাকেনা; খেয়াল করলেই দেখবেন গলেপর প্রায় প্রতিটি নারী চরিত্রই অত্যন্ত রূপবতী! :!> :#>
(৪) সুন্দরী মেয়েগুলোর উপর তার বোধহয় কোন ব্যক্তিগত আক্রোশও আছে, নইলে এদেরকে প্রায়সময়ই ইউনিভার্সিটিতে ফিজিক্স কিংবা ফ্লুইড ডাইনামিকস এর মতো কাঠখোট্টা বিষয় পড়তে হতো না!
(৫) গল্পে খাদ্য বিষয়ক কচকচানি must!
(৬) অসম প্রেম (অধিকাংশ সময়ই বুড়া- তরুনী)-এর ব্যাপারটা লেখক বেশ যত্ন করেই লেখেন! (যে যেমুন, তারা লেখাও সেমুন!
(৭) বাংলায় সন তারিখ এর উল্লেখ থাকবেই
(৮) অধিকাংশ চরিত্রই পাগলাটে ধরনের; খেয়ালখুশিমতো যা ইচ্ছা তাই করে এই টাইপ :-<
(৯) প্রায় উপন্যাসেই উনার লেখা অত্যন্ত ছেলেমানুষি ধরনের ছোট ছোট কবিতা দেখা যায়।
(৯) কয়েকটা বহুল ব্যবহ্রত টার্মঃ | বিসমিল্লাহ হোটেল | আচানক | খোয়াব | জোৎস্না | বৃষ্টি | মিরা | আনিস
কমেন্টস এর ভিত্তিতে সংযুক্তিঃ
(১০) বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ মানুষ ও লেখকদের বাণী দেয়া থাকে; কবিতার লাইনের উদ্ধৃতি পাওয়া যায়।
(১১) যে সমস্ত অতি সামান্য ব্যাপারগুলো কেউ লক্ষ্যই করেনা, সেসব উপন্যাসের পাতায় দারুণভাবে তুলে ধরা হয়।
(১২) প্রতিটা মানুষের আচরনের/ চেহারার প্রায় নিখুঁত বর্ণনা থাকে, যা পাঠকদের চোখের সামনে উপন্যাসের চরিত্রটা বাস্তবের মতো ফুটিয়ে তোলে।
(১৩) তাঁর লেখা জোৎস্না আর বৃষ্টিকে নতুন দৃষ্টিতে উপভোগ করতে শেখায়।
(১৪) প্রয়োজনীয় তথ্যের পাশাপাশি একদম তুচ্ছ ব্যাপারগুলোও সমান গুরুত্বের সাথে তুরে ধরেন/ তুলে ধরার চেষ্টা করেন।
(১৫) অস্বাভাবিক/অনাকাঙ্খিত ব্যাপারগুলো তুলে ধরায় অন্যান্য লেখকদের থেকে সাবলীল।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




