somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেখানেই যাই মানবিক আর আন্তরিক মানুষের দেখা পাই

১২ ই জুন, ২০২১ রাত ১:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এবার গিয়েছিলাম জাজিরা হতে এক্সপ্রেস অয়ে দিয়ে শিবচর-ভাঙ্গা-নড়াইল-গোপালগঞ্জ হয়ে যশোর হয়ে ঝিনাইদহ।

যাওয়ার সময় কত ধরণের মানুষ দেখলাম, বোকা-চালাক, বেশী চালাক, ধোঁকাবাজ, জুলুমবাজ, অসহায়, বদরাগী, ইত্যাদি ইত্যাদি আবার জনগণ ঠকানো কয়েকজনের নামে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও ঠুকে দিয়ে এসেছি।


রাত ০১ টা নাগাদ যশোর শহরে পৌঁছে দেখি শহরের কোথাও থাকার জায়গা নাই! ২টা নাগাদ গেলাম সার্কিট হাউজে তারা জানালো এভাবে হাঠাৎ সার্কিট হাউজে থাকা যায়না। কি বিপদ তারপর অনেক সাধনার পরে একটা মোটামুটি হাইপাই হোটেলে রাত্রি যাপন করার সৌভাগ্য হলো। কিন্তু তাও ভাড়াটা বেশীই নিলো!


সকালে যশোর হতে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর যাওয়ার পথে রেলক্রসিং পাড় হয়ে বাইক পার্কিং করে একটু দাড়াতেই রেলক্রসিং মাস্টার বলে না রক্ষক বলে জানিনা। একটা হবে আরকি। সজল ভাই এসে বলতে লাগলেন আপনি পলাশ ভাই না? আমি বললাম হ্যা।

খুব উৎফুল্ল হয়ে বললেন আপনার মাস্ক পড়া তারপরও চিনে ফেলেছি। মনে মনে ভাবতে লাগলাম জীবনে যশোরে এলাম এই প্রথম, তাহলে এখানকার মানুষ আমাকে চিনে কিভাবে!


তারপর তিনিই বললেন 'ভাই আপনাদের জাজিরায় অনেকদিন থাকছিলাম'। আপনাকে দেখে খুব ভালোই লাগছে। চলেন ভাই ঠান্ডা খাই। আর না করতে পারলাম না। অনেক আপ্যায়ন করে তারপরই বিদায় দিলো।

পৌছালাম মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর ইউনিয়নে। ছোটভাই হিমেল বিজিবি'র সৈনিক হিসেবে যোগ দিতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। বাইরে বসে ছিলো ছোটভাই বরকত। আসলে সকালে ওদের আগে পাঠিয়ে দিয়ে আমি ঠান্ডা মাথা পরে আসছি।


ওখানে পৌঁছে ছোটভাই বরকতকে নিয়ে স্থানীয় বিজিবি ক্যানটিনে দুপুরের খাবার শেষ করলাম। এখন যাবো কোথায় দুজনে ভাবতে লাগলাম। একজন তো পরীক্ষার হলে। তারমানে আশেপাশেই থাকতে হবে।

স্থির করলাম একটা আম বাগানে গিয়ে ছায়ায় বসে থাকবো। যেই ভাবনা সেই কাজ। দুজনে দুটি বাইক নিয়ে কাছাকাচি একটি অনেক পুরাতন আম বাগানে হুরমুর করে ঢুকে পড়লাম। ভিতরে গিয়ে দেখলাম এক ভাই ছোট আর একটা ভাইকে নিয়ে টংয়ে বসে আছে। আমরাও যথারীতি বাইক রেখে টংয়ে গিয়ে বসে পড়লাম। এমনভাবে গিয়ে বসলাম মনে হয় নিজের এলাকায় নিজেদের বাগানে এসে হৈহুল্লোর করছি।


যাইহোক, বসে থাকা ভাইকে সমাচার জিজ্ঞেস করলাম, তিনিও হাসিমুখে ও যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে যা জানতে চাইলাম সব জানালেন। অবাক করা বেপার হচ্ছে আমরা পরিচিত হতে হতেই মেহেদী ভাই (ঐ ভাইয়ের নাম) তার মা'কে দিয়ে ইয়া এক গামলা মিস্টি মিস্টি সুস্বাদু আম কেটে নিয়ে আসলো। কি আর করার বসে বসে খেলাম দুইভাই। এরমধ্যে আবার মেহেদী ভাই পাশের শতবর্ষী আমগাছ থেকে তাজা কয়েকটি আম পেরে আমাদের সামনে এনে রাখলেন। তাও খেলাম। আহা কি মজা...


মেহেদী ভাইয়ের হয়তো আমাদের একটু বেশীই মনে ধরেছে। সে বলতে লাগলো ভাই আমাদের এখানে খাঁটি দই টা অনেক মজার। আমরাও শুনলাম মাত্র। আহা একটু পরে তিনি(মেহেদী ভাই) আমাদের বললেন.. ভাই আপনাদের একটু সময় হবে? আমি আপনাদের নিয়ে একটু ঘুরতে যেতাম। হাতে যথেষ্ট সময় ছিলো। তাই মানা করলাম না।


আহা প্রায় ১০ মিনিটের রাস্তা পাড় হওয়ার পরে বুঝতে পারলাম মেহেদী ভাই আমাদের সেই সুস্বাদু দই খাওয়াতে নিয়ে আসছে। দামটাও দিতে দিলোনা।


তারপর আসার সময় দেখালো শত শত বছরের পূরোনো জোড়া বটগাছ আরো কত কি। ফিরে আসার সময় দেখা হলো একজন জীবন যোদ্ধা, জীবন সংসারে একজন প্রকৃত নায়কের সাথে। তার কথা নাহয় আবার অন্য একদিন লিখবো। আজ এই পর্যন্তই ইতি টানলাম। যদিও আজকের লেখাটি গুছিয়ে লেখার চেষ্টাই করিনি, অনেক ঘটনাও বাদ পড়েছে।

কোন একদিন হয়তো অন্য বাদ পড়া ঘটনাগুলো অন্য অগোছালো লেখার মধ্যেই প্রকাশ হবে।

সবশেষ বলবো

আসুন ভ্রমণ করি, জীবনকে উজ্জীবিত রাখি আর উপভোগ করি

#এমপিকে
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫২
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×