দুই মাস আগের কথা একটা ইন্দুর আমার রুমে ঢুকেছিলো সে ৩/৪ দিন ধরে চাউল,আলু,বিষ্কোট খেয়ে ছিল।এক রাত্রে তার কাছে এগূলি হয়ত আর ভাল লাগছিলোনা –গভীর রাতে সে সারা রুমেই হামাগুড়ি করছিলো রাত তখন ৪/৩০ হবে,তখনো ফজ়রের নামাযের আজান হয়নি,ঠিক এমন সময় সে এক পয্যায়ে আমার কপালে উঠে হাঠাহাটি করতে লাগলো তখন আমি গভীর ঘুমে,এমন সময় আমার মনে হচ্চিল আমি কোন সপ্ন দেখছি,সপ্নে কে যেন আমার কপালে মায়াবি হাত ভুলাচ্ছে আমার খুব ভাল লাগছিলো-তখন আমার মনে হচ্ছিল তার মায়াবি হাতটা একটু ধরে দেখি,যখনি হাত দিলাম কপালে আর কি আমার হাত ইন্দুরের উপর পরতেই সে আমার কপালে সুন্দর করে খিচ্খিচাইয়া চুমু খেয়ে একটা স্রতির রেখা একে দৌড দিলো-তারাতারি লাইটের সুইচ দিয়ে দেখি ইন্দুর মামা,তখন ভয় পেয়ে গেলাম একি হলো,কপালে হাত দিয়ে দেখলাম প্রচুর রক্ত ঝরছে হাতটা লাল হয়ে গেল এবং কপাল ভেয়ে রক্ত চোখে মুখে আসতে লাগলো,আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম সাথে সাথে উটে কপাল্টা ভাল করে পানি দিয়ে ধুয়ে পেললাম-পানি পৌছে একটো আফটার লৌশণ দিলাম এর পরও রক্ত বন্ধ না হওয়াতে দেশে আম্মার কাছে ফোন করলাম আম্মা আমাকে কিছু পরামশ দিলো।আমি আম্মার কথা গুলো পালন করলাম।এর পরে রক্ত পরা বন্ধ হলো।এখন আমি কি করে আবার ঘুমাই বলেন,আমারতো তখনও ভয় কাটেনি,ঘুম কেম্নে আসবে যতখন না অই বেটাকে না মারি ততক্ষন আমার ঘুম আসবে না।একটা বড়ো লাঠি নিলাম হাতে আর কি লাঠী নিয়ে ইঃমামাকে তাড়াতে থাকি না কোণ কাজ় হয় না-সে এমন জায়গায় লুকাইলো যে তাকে মারার তো দুরের কথা দেখাও যাচ্ছে না।সিটে বসলাম হাতে লাঠি নিয়ে অপেক্ষায় আছি ...।এমন সময় দেশ থেকে আমার আম্মা ফোন করলো জানতে চাইলো আমার কি অবস্তা ...আমি বললাম রক্ত পড়া বন্ধ হইয়াছে কিন্তু ব্যাথা কমছে না,আম্মা বললো এবার ঘুমিয়ে যাও আস্তে আস্তে ব্যাথা কমে যাবে,আমি বললাম ঘুম আসবেনা,আরো বললাম আমি লাঠি নিয়ে বসে আছি ইন্ধুরকে মারার জন্ন...মা একটা হাসি দিয়ে বলল না বাবা তুমি ইন্ধুর কে মেরু না।ইন্ধুর এমনি তোমার রুম থেকে চলে যাবে।আমিও ভাব্লাম হয়ত সে আমার লাঠি দেখে ভয়ে আমার রুম ছেড়ে পালিয়ে যাবে,পরেরদিন আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে ইন্ধুর ধরার খল আনলাম-খলে একটা টমেটু ও একটা বিস্কুট দিয়ে তার আসা যাওয়ার পথে খল্টা বসাইয়া রাখলাম,না ইন্ধুর ব্যাটা খলের উপর দিয়ে আসা যাওয়া করে তার পরও খলে ঢূকেনা। এমনি করে দিন যায় রাত আসে তাকে রুম থেকে বের করতেও পারিনা আবার মারতেও পারিনা এই ভাবে ৩/৪দিন পার হয়ে যাই।পরের দিন রাত্রে দেখি খলের ভিতর দেওয়া টমেটু আর বিস্কুট নাই।কাছে গিয়ে দেখি ইন্ধুর ব্যাটা চুপচাপ বসে আছে।আমি খলে হাত দিতেই সে আমার দিকে লাফ দিলো,আমি ভয় পেলাম বাক্সটা আমি ধরতেও পারছিলাম না তার লাফালাফির কারণে,মনে করলাম এইভাবে তাকে ভয় পেলে হবে না কিছু একটা করতে হবে।সাহস করে খলটা বাহিরে নিয়ে গেলাম...একটা খালি জাইগায় যেখানে সিটিকরপোরেসনের ডাস্টবীণ বক্স রাখা আছে।এর পাশেই একটা বাড়ির দেওয়াল।আমি খলটা খোলে দিলাম ইন্ধুর বের হওয়ার জন্য কিন্তু সে বের হয়না কারন ডাস্তবিনের পাশেই তার শসুরবেটা ছিল মানে একটা বিড়াল।সে কিছুতেই বের হতে চাই না ।আমি খলটা কে বেশ জ়ুরেসুরে একটা ঝাকানি দিলাম,তখন সে আস্তে আস্তে বের হয়ে দেওয়ালের দিকে দৌড় দিতেই অই দিকে থাক করা তার শসুর তাকে দেখে পেললো,ব্যাটা আর পালাবি কোথায়...।দেওয়ালেই উটার আগেই বিড়াল মামা ঝাপ্টা দিয়ে ধরে তার মুখে নিয়ে নিল,আমি কিছুক্ষন দাড়াইয়া থেকে তাদের অবস্তা দেখলাম,চিন্তা করে দেখলাম যে যাক শেষ পযন্ত আমার আম্মার কথাটা রাখতে পারলাম(ইন্ধুরটারে আমি খুন করি নাই...বিড়াল মামা করেছে.........
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




