হোম অফিসের খবরদারির বিষয়টা কি স্টুডেন্ট ভিসা কন্ডিশনের আওতায় পড়ে?
শুধু মাত্র ছাত্র নয় যেই আসুক না কেন এদেশে আসার পর তার উপর খবরদারির একমাত্র কর্তৃপক্ষ হল এদেশের হোম অফিস। ছাত্রদের কথাই বলি। একজন ছাত্র ২-৩ বছর আগেও দিনের পর দিন কলেজের সাথে যোগাযোগ না করে দিন কাটাতে পারত এবং তারা সমস্যার মুখোমুখি হত খুবি কম। বছর শেষে কলেজকে টিউশন ফি বাবদ টাকা পরিশোধ করলেই তারা খুশি থাকত শুধু তাই নয় ভিসা এক্সটেনশন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রও সরবরাহ করত খুশি মনে। তৎকালীন সময়ে এমন অনেক কলেজ ছিল যারা আমেরিকান ডিগ্রী করাত কিন্তু বর্তমান এদেশে আর আমেরিকান ডিগ্রী করানোর অনুমতি নেই। শুধু তাই নয় প্রায় ১০০০ খানেক কলেজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে যার বেশির ভাগেরই ব্যবসা ছিল ছাত্রদের থেকে টাকা নিয়ে কাগজ পত্র দেয়া যাতে করে ছাত্ররা ভিসা বাড়িয়ে আবার রেস্টুরেন্টের কাজে চলে যেতে পারত। কিন্তু ইদানিং হোম অফিস আরো অনেক কিছুর মতই কলেজ গুলোর উপরও নজর রাখছে এবং তারা এখন নিয়ম করেছে একজন ছাত্রের সমস্ত দায় দায়িত্ব কলেজের। এই দায়িত্ব গুলো যদি একটি কলেজ সুচারু ভাবে সম্পন্ন করতে না পারে অথবা তারা যদি ছাত্রদের সম্পর্কে খোজ খবর না রাখে এবং নিয়ম মেনে তৎসম্পর্কে হোম অফিসকে অবগত না করে তাহলে কলেজের টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে যাবে। হোম অফিস এখন প্রতিটি কলেজকে বাধ্য করছে বায়োমেট্রিক এটেন্ডেন্ট সিস্টেম চালু করতে যার ফলে কোন ছাত্র ক্লাসে আসল বা না আসল তা আঙুলের ছাপের মাধ্যমে চলে যাবে কলেজের কেন্দ্রীয় তথ্য ভান্ডারে এবং সেই তথ্য ভান্ডারে হোম অফিসের থাকবে অবাধ প্রবেসাধিকার যার ফলে তারা কলেজের কাজকর্ম সম্পর্কে যেমন অকিবহাল থাকল সেই সাথে জানা থাকল কোন ছাত্র ক্লাসে আসছে আর কে আসছে না। শুধু তাই নয় প্রতিটি ছাত্রের জন্য একটি করে CAS নম্বর থাকবে যা হবে একটি ইউনিক নম্বর, সেটি বিমানবন্দর সহ সমস্ত ইন্টেলিজেন্সের কাছে থাকবে। এবং এই নম্বরটি ট্র্যাক করার মাধ্যমে তারা জানতে পারবে আপনি কোথায় গিয়েছেন, কি করেছেন সহ আরো অনেক কিছু। এখানেই শেষ নয়.....................................চলবে..............

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




