মজার বেপার হলো, আমরা খুব সহজেই অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হই। অনুপ্রেরনার স্থলে প্রভাবটাই মনে হয় বেশি বিস্তার লাভ করে আমাদের ভেতরে। যাইহোক, এখন না হয় এসব নাই বলি, কারন এসব হয়তো আমাদের প্রায় সকলের ই জানা আছে। কেউ যদি দ্বিমত করতে চান কিছু বলার নেই, ভিন্ন মত হতেই পারে।
শুরুটা কেমন যেন হলো, তাইনা? আসলে অনেক জায়গায় ভূমিকা করে না বললে কেমন ঠিক মানায় না। যাইহোক, এবার কাজের কথায় আসি।
আমরা, যারা ঢাকায় থাকি বহুদিন ধরে, সামান্য শিক্ষা লাভ করে নিজেদের খুব শিক্ষিত মনেকরি, তারা মানে আমরাই সকল নষ্টের মূল।কারন, যারা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত, অধিকার থেকে বঞ্চিত, তারা তো বঞ্চিতই। সাধারণ, অসচেতন জনগণ। জেলে, মজদুর, কৃষক, ভাসমান মানুষ। এরা এদের অধিকার বিষয়ে অবগত নয়। এরা দুনীতি করেনা। দুনীতি করি আমরা, এই সামান্য অধশিক্ষিত, অসচেতন মানুষেরাই। যারা কিনা নিজের পেট পুরো করার ধান্দায় সবসময় উন্মত্ত থাকি।
আমরা তখনি চেচাই, যখন আমাদের উপর কেউ আঘাত হানে। আমরা চুপ করে অন্যের উপর অত্যাচার হতে দেখি নিরদিধায়। আজ আমার বোনের গায়ে কেউ আঘাত হানুক, আমি গলা চেচিয়ে সবাইকে ডাকব। একত্রিত করার চেষ্টা করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কথা বলবো।
তোমার বোন? কি হয়েছে তার? ওহ, তাই!! ভাড়ী অন্যায় হয়েছে তো। এর বিহিত করা উচিত। এর প্রতিবাদ করা উচিত। আইনের কাছে হাত পাত, আদালতে গিয়ে বিচার চাও। ওহ আমি? আমি একটু ব্যস্ত ভাই। আমি আছি তোমার সাথে, থাকব। কথা দিলাম।
এর বেশি কি কিছু আর বলার প্রয়োজন আছে? মনে হয় না। এখানেই শেষ নয়, আমরা আরো অনেক কিছু করতে পারি, থাক সেগুলো নাহয় আর নাই বলি। একদিনেই তো আর সব শেষ করবো না। কিছু রেখে দেই, পরে কোন্দিন বলা যাবে।
আমাদের আরেকটা সমস্যা হলো আমরা সবকিছুই সহ্য করে ফেলি। আমরা প্রতিবাদ তো করি ই না, বরং মাঝে মধ্যে কেউ করতে চাইলে তাকেও বাধা দেই “কেন বাবা, ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর দরকার টা কি?’’
যানজট? আবহাওয়া পরিবতন, ধুমপান, পরিবেশ নষ্ট? ধ্যেত, এতো ভাবার টাইম আছে? কতো কাজ, পরীক্ষা, এস্যাইনমেন্ট, বন্ধু বান্ধবের সাথে আড্ডা, লাউঞ্জ ২৭, ডেটিং। 'বুঝেন কতো কাজ'
"রাজনীতি? ওহ শিট !!! এসব নিয়ে ভাবব?? !! একচুয়ালি, নট ইন্টারেস্টেড। আরে পলিটিক্স তো নোংরা, ফালতু মানুষের কাজ। আমি? জব করব। ভাল কোন কোম্পানিতে বড় কোন স্যালারির জব"
"পরিবতন? হুম, আসলে পরিবতন দরকার। সব জায়গাতেই দরকার। সবার আগে পলিটিক্স আ দরকার"
"আমি কি করতে পারি বলেন? আরে, বুঝেন না কেন? আজব!! আব্বু শুনলে, আস্ত রাখবেনা"
এগুলো আমাদের প্রতিদিনের অজুহাত। আসলে আমাদের তিনটা হাত, ডানহাত, বামহাত আর অজুহাত।
আর কত? অজুহাত দিয়ে আর কত দায়িত্ব এড়িয়ে জাব আমরা?
আমি জিজ্ঞেস করি আজ। আর কত? আমাকে দিয়েই শুরু করি, আপনারাও জিজ্ঞেস করুন আজ একটু নিজেদের।
ধন্যবাদ পুরোটা পড়ার জন্যে
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





