আমারদেশ পত্রিকার অনলাইন ভারসন টা মাঝে মাঝে দেখি। খুব খারাপ লাগে না পড়তে ।ডান দিকে উপরে মাহমুদুর রহমান কে নিয়ে , তার মুক্তি চেয়ে একটা লেখা থাকবে ।আর শুরূ থেকে শেষ পর্যন্ত যে রিপোর্ট গুলো থাকবে তার বেশিরভাগই সরকার বিরোধী ।পত্রিকাটি পড়লে যে কেউই মনে করবে বাংলাদেশে একটা ক্রান্তি কাল চলছে,খুব তাড়াতাড়িই ই দেশটাতে কেয়ামত শুরু হবে।এই কেয়ামত থেকে দেশকে উদ্ধার করতে পারে একমাত্র জনাব মাহমুদুর রহমান এবং আওয়ামিলীগ সরকারের এর পতন। খুব ভাল ভাবে লক্ষ করলে দেখা যাবে পত্রিকার পাঠক যারা কমেন্ট করেন তারা কট্টর আওয়ামী বিরোধী শুধু নন আওয়ামিলীগ কে বার-বি-কিউ করে খেয়ে ফেলতে এক পায়ে খাড়া।
এন্টি আওয়ামিলীগার যারা তারা এই পত্রিকাটি দিয়ে একটি প্লাটফর্ম পেয়েছিলেন,এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা সেই প্লাটফর্ম হারিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে গণজাগরণ মন্চ এবং তার পরবর্তীতে নানা ঘটনা প্রবাহে এই পত্রিকাটিই মূলত বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করে এবং কিছু ক্ষেত্রে অনূঘটকের কাজ করে বেশ আলোচনায় আসে।মানুষ সবসময়ই বিকল্প খোজে এবংবিপরীত মত জানতে ও শুনতে পছন্দ করে ,তাদের জনপ্রিয়তার মূল কারন ছিল এটি যদিও তারা অবস্হান পরিবর্তন করে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগার পরে।
শুনতে খারাপ লাগলেও সত্যি , বাংলাদেশের সাংবাদিকতা এখন দলীয় মতবাদ দারা পরিচালিত।আর এই প্রেক্ষাপটে মাহমুদুর রহমানরা নায়ক হন,দেশ প্রেমিক হন,সময়ের পরিবর্তনে তাদের আসল চেহারা উন্মোচিত হয়।