হিজরী ৬০২ সাল। বিশাল ইসলামী সম্রাজ্যের প্রাণ কেন্দ্র রাজধানী বাগদাদ।
এই সম্রাজ্যেরই একজন উচ্চপদস্হ রাক কর্মকর্তা 'তাশতাকিন। জাগতিক মর্যাদার পাশাপাশি পরকালীন সুউচ্চ মর্যাদার অাকাংখা পুরণার্থে মহান রব অাল্লাহর ঘরে ২২ বার হাজিরা দিয়ে অামলের সম্পদও বৃদ্ধি করে চলেছেন বয়সের সাথে পাল্লা দিয়ে।
এখন তার বয়স ৯০ বৎসর!
"তোমরা ভ্করে অাল্লাহ তায়ালার অপার সৌন্দর্য্য ও নান্দনিকতা অবলোকন করে হ্রদয়ে তা উপলব্ধি কর।"
ঐশী এই নির্দেশনায় অনুপ্রাণিত হয়ে ভ্রমনে বের হলেন তাশতাকিন।সৃষ্টির বৈচিত্রতা দেখছেন অার সেজদাবনত হচ্ছে তার তনোমন! কত পরাক্রমশালী সৌন্দর্য্যময় অাল্লাহ!
সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!!
ডজলা তীরবর্তী সবুজাভ মনোরম এক জায়গা পছন্দ হয়ে গেল তার।কিনতে না পেরে ৩০০ বছর মেয়াদী ভাড়ায় চুক্তিপত্র করে নিলেন!
একানে সুন্দর একটা বাড়ি করবেন। মনের মাধুরী দিয়ে বাড়িটা কে সাজাবেন! অবশিষ্ট সময়টুকু এখানেই কাটাবেন !
খবর টা ছড়িয়ে গেল পুরো বাগদাদময়!!
তৎকালে জাগতিক-দ্বীনি সব বিষয়ের বিদ্যার্জনের কেন্দ্রস্হল ছিল এই বাগদাদ।
' 'অজানার অাধাঁর' চির তরে বিদূরীত করে 'জানার প্রজ্জ্বলিত শিখা' সমুন্নত রাখার গুরুদায়িত্ব পালন করছিলেন কয়েকজন। তাদেরই একজন 'তাবিহা'। একজন মহান অধ্যাপক! যিনি স্বীয় গৃহে হাদীস-তাফসির-ফেকাহ-আধ্যাতিকতা সহ বিভিন্ন বিষয়ে তালিম দিতেন।
ছাত্রদের মাঝে তাকওয়া তথা প্রকৃত অাল্লাহ ভীতি জাগিয়ে তুলতে নিরন্তর
প্রচেষ্টা চালাতেন।
সন্তানের মমতায় ছাত্ররা ছিল তার কাছে!শিক্ষার্থীদের শোরগোলে মুখরিত থাকতো অধ্যয়াংগিনা!হাস্যরস ও কৌতুকের মোড়কে বিষয়টা ছাত্রদের মগজে গেথে দিতেন।
একদিন, অধ্যপানার এক পর্যায়ে খোশ মেজেজ ঘোষনা করলেনঃ 'প্রিয় ছাত্ররা অামার! তোমাদের জন্য একটা শুভ সংবাদ অাছে! অার তা হল- 'মালাকুল মউত অাজরাঈল' মরে গেছে!
উপস্হিত সবাই তো বিশ্ময়ে হতবাক! কেমন সংবাদ এটা! এমন তো হতে পারে না!!
কয়েকজন জিগ্যেস করল-এটা কিভাবে সম্ভব হতে ..??
স্মীত হেসে জবাব দিলেন তিনি - 'তোমার কি শুননি,ব্যাটা তাশতাকিন ওর বর্তমান বয়স ৯০বছর! ৩০০ বছর মেয়াদে জমি ভাড়া নিয়েছে!সেখানে বাড়ি বানিয়ে সে থাকবে!
সে যদি অাজরাঈলের মৃত্যু হয়েছে মর্মে নিশ্চিত না হতো, তাহলে এমন পরিকল্পনাকি ভাবে নিল???'
জবাব শুনে সবাই হাসতে হাসতে হাসির ফুয়ারা বানিয়ে দিল!!!
# সুত্রঃ নাফহাতুল অারব।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১১