'সিলেটের সওদাগরটুলার তাবলীগ জামাতের আমীর মোঃ ইব্রাহীম খলিল তার প্রথমা স্ত্রী ফাতেহা মাসরুকা কর্তৃক নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন! পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জের ধরে তিনি খুন হন!'
পত্রিকা মারফত এই খবর কয়েকদিন আগের! পুরানো হয়েগেছে! কিন্তু এর রেশ এখনও বর্তমান!
নির্মম এই হত্যাকান্ডের মোটিভ যদিও পরিস্কার প্রায়,তবুও নতুন নতুন কারণ উদ্ঘাটনে তৎপর অনলাইনের কিছু বিদগ্ধ(?)জনেরা!
মুল কারণ হিসেবে তাবলীগকেই কাঠগড়ায় দাড় করাচ্ছেন তারা!
তাবলীগের নামে পিকনিক করে বেড়ানো,স্ত্রী-পরিবারের হক্ব আদায় না করা,এমন কি স্হানে স্হানে বিবাহ বহির্ভূত যৌনাচার করে বেড়ানোরও অভিযোগ তুলছেন!
একজন মুসলিম ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার ভাল কাজগুলোর প্রচারই কাম্য!রুহের মাগফেরাত কামনা করাই যথার্থ! আইনী বাধ্যবাধকতায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এর আওতায় নয়!
কিন্তু দেখা যাচ্ছে- ইসলামের কথা বলা ব্যক্তি-সংগঠন এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে তাবলীগ বিরোধীতার নতুন ইস্যু পেয়ে গেছে যেন! যা তারা হেলায় হারাতে রাজী নয়! তাই তো 'তাবলীগ করা'কেই এই খুনের মূল কারণ হিসবে প্রচার-প্রসারে নেমেছে তারা!
তারা ভূলে যায়- কোন এক ব্যক্তির কর্মকান্ড সামগ্রিকতার উপর দাড় করানো যায় না!
আচ্ছা, তাবলীগী ছাড়া কী এমন ঘটনার মুখোমুখী কেউ হয়নি? এটাই কি দেশের প্রথম ঘটনা?
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অগনিত মানুষ এই তাবলীগের মাধ্যমে দ্বীনের প্রাথমিক ধারণা পেয়েছে! যা অন্য কোন ভাবে আদৌ সম্ভব হয়নি!
নিজে যা করতে পারিনি,অপরে তা করলে মর্মজ্বালায় জ্বলবো কেন?
ইসলামে ঐক্যবদ্ধতার গুরুত্বারোপ করা হয়েছে,বিভেদের বীজ রোপন করতে নয়!
সবার মাঝেই সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তা মনে রেখে কল্যাণকর প্রতি টা বিষয়ে সহযোগীতার হাত সুপ্রসারিত করাই মুসলিমের কর্তব্য!
'আমি সাধারণ একজন মুসলিম!জানা ও বুঝার দৈন্যতা প্রকট আমার মাঝে!সাধ্যানুযায়ী প্রচেষ্টাও চালাচ্ছি!সবার কাছে দোয়ার আর্জি রইল!'