♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)

(ছবি নেট হতে নিয়ে এডিট কর)
পরম শ্রদ্ধেয় মশি ভাই,
ব্লগে লিখা পোস্ট দেখে বুঝলাম ভালোই আছেন। কিন্তু আমি ভালো নেই। যদিও চিঠি লিখছি, আদতে এটা আপনার প্রতি আমার একটি প্রতিবাদলিপি। কারণ, আপনার সম্প্রতি লিখা আমায় ব্যাপকভাবে ব্যাথিত করেছে। কারণ আপনি একজন স্বনামধন্য পূজনীয় প্রাণীর বিরুদ্ধে লিখিয়াছেন। জ্বী, আমি গরুর কথা বলছি। কারণ, আপনার লিখা পড়ে মনে হলো গরুকে হেয় করতেই আপনার এই উদ্যোগ। কিন্তু কেনো? গরু আপনার কি ক্ষতি করেছে? হয়তো যত্রতত্র “হাম্বা-হাম্বা” করে পরিবেশ কিছুটা দূষণ করে। তাই বলে আপনি গরুকে নিয়ে এইভাবে লিখতে পারেন না! গরু হলেও তাহার মান-সম্মান বলে একটা জিনিস আছে।
হে অগ্রজ,
যদি ভুল না করে থাকি, শৈশবে রচনা পাঠের শুরু আর সবার মতো নিশ্চই আপনারও গরু রচনার মধ্যদিয়েই হয়েছে। ভাবতে পারেন কতোটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলে তার মাধ্যমে পাঠ শুরু হতে পারে? যে জীবনে স্কুলের বারান্দায় গিয়েছে, সেও গরু রচনার সঙ্গে পরিচিত। হয়তো বেশিদূর পড়তে না পারায় মানবতা নিয়ে রচনার কথা সে জানে না। কিন্তু গরু রচনার কথা আলবৎ জানে। তাই উদহরণ হিসেবেও গরু রচনার চাইতে উৎকৃষ্ট কিছু তার জানা নেই। আমি অনেককে দেখেছি পেপার উল্টো করে ধরে পড়তে। কি পড়ছে জিজ্ঞাস করলে বলেছে “গরু রচনা”! ভাবতে পারেন এই জাতির মন মগজে এই গরু রচনা কতোটা স্থান দখল করে রেখেছে?
হে ব্লগার,
ব্লগেও নিশ্চই গরুপ্রেম আপনার চক্ষু এড়ায় না। রোজ কোটি-কোটি মাছ-মুরগী প্রক্রিয়া করা হচ্ছে, তা নিয়ে মাথাব্যাথা না থাকলেও গরু কোরবানী নিয়ে অনেকের মাথাব্যাথা রয়েছে। ভাবতে পারেন আপনি কেমন ইমোসনাল জায়গায় হাত দিয়েছেন? তাছাড়া ফেইসবুকের সুবাদে দেখতে পাই যে, পাশের দেশের মানুষ গোবর আর গো-মূত্রের জন্যে পাগলপ্রায়। আর আপনি কিনা সেই গরুর রচনা নিয়ে কথা বলছেন? আমি যাস্ট ভাবতে পারছি না। এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে দেবার মতো সময় আপনি অন্তত কিভাবে পেলেন? আপনার নিকট হতে এটা কাম্য ছিলোনা। হোক অস্ট্রেলিয়ান কিংবা আমেরিকান। কিন্তু গরুতো গরুই। তাই বলে গরু রচনার বিপরীতে যেয়ে আপনাকে লিখতে হবে?
প্রিয় ভাই,
লিখা আর দীর্ঘ করার ইচ্ছে করছে না। শুধু আপনাকে এটাই বলতে চাইলাম যে গরুর কদর করুন। হালচাষে গরুর স্থানে ট্রাক্টর এলেও এখনো অনেক স্থানে হালের বলদ ব্যবহৃত হয়। তাই, যুগের হাওয়া লাগলেও গরুকে ভুলা অসম্ভব। তাই ভালবাসা হিসেবে গরু রচনা ছিলো, আছে, এবং থাকবে। জেনারেসন ২৪ কিংবা ৭১, গরুপ্রেমে সিক্ত হতেই বাধ্য। মাতৃদুগ্ধের পরই স্থান এই গরুর দুগ্ধের। আর এইজন্যেই মনে-মগজে না চাইলেও গরু বসবাস করবেই। গরুহীণ ব্লগার খুঁটিহীণ ছাগলের মতো। বিদেশী গরুর খামারই কেবল এই জাতিকে মুক্তি দিতে পারে। তাই বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলুন
”গরু ছিলো, গরু আছে, গরু থাকবে,
গরু ছাড়া মরে যাবো জেনে রাখবে!”
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



