♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)

(ছবি নেট হতে)
হায়রে আমার মন মাতানো দেশ,
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
জন্ম আমার, ধন্য হলো,
আমার সোনার বাংলা
সত্যিই এমন একটা দেশ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই দেশে না জন্মালে যে কতোকিছু মিস করতাম! এই দেশের রাজনীতির মতো মেসিন হয়তো আর কোথাও নেই! যেই রাজনীতিতে জড়ালে পচন নিশ্চিত। এতোদিন ভাবতাম সুশিক্ষিতদের হাতে দেশ পরলে অনেককিছু পরিবর্তন হতো। কিন্তু আমি ভুল ছিলাম। এই দেশের রাজনীতিবিদগণ কেনো করাপ্টেড এখন বুঝতে পারি। এই যে এখন যেসব ভাংচুর হচ্ছে, সুযোগ পেলে কি তা উশুল হবেনা? নিশ্চই হবে। যা ক্ষতি হচ্ছে তা কোথা হতে উশুল হবে? অবশ্যই পাবলিকের পকেট কেটে। আর সেজন্যেইতো করাপসন। বর্তমানে যারা সমন্বয়ক তারাও সুযোগ পেলে হয়তো নিজ প্রয়োজনেই করাপসন করবেন। কারণ, কেউতো আর নবাব পরিবারের নয়। তাই যখন ক্ষমতা হারাবেন তখন যদি তাহারা আবার ক্ষমতায় আসে তখন ড. ইউনূসের বাড়ি হতে শুরু করে কোনো সমন্বয়কের বাড়িই আস্ত রাখবে না। সেজন্যে নিশ্চই ব্যাকাপ দরকার। তা সেই ব্যাকাপ কোথা হতে আসবে? কেনো? করাপসন আছে না? আর এভাবেই একবারের ভাংচুরের দায় পরেরবারের করাপসনের মাধ্যমে মিটতে থাকবে, এবং ভবিষ্যতের সিকিউরিটির জন্যেও কিছু জমতে থাকবে, আর জনগণের পকেট কাটতে থাকবে। এমন রাজনীতি আর কোথায় পাওয়া যাবে?
এই যে সমন্বয়ক এবং একজন নোবেল বিজয়ীর আজকের পরিস্থিতি, তারজন্যে দায়ী এই দেশের নিকৃষ্ট রাজনৈতিক সিস্টেম। এই সিস্টেমে পরলে যে কারো পচন ধরবেই ধরবে। নয়তো ৭১-এর বিজয়ের চাইতে হাজার কোটিগুণ সম্মানিত হয়ে আজীবন বাংলাদেশিদের হৃদয়ে লিপিবদ্ধ থাকতে পারতো ২৪-এর বিজয়। এখনো সব দল, সব মত গ্রহণ না করতে পারলেও, ৭১-কে বাদ দেবার সাহস কেউ করতে পারেনা। মুজিব বা জিয়াকে অসম্মান করলেও মুক্তিযুদ্ধকে কেউই অসম্মান করার ধৃষ্টতা দেখায় না। কিন্তু ২৪ কি সেই স্থানে পৌঁছতে পারবে? এই বিপ্লব কি ধ্বংস করার বিপ্লব ছিলো? নাকি গড়ার বিপ্লব ছিলো?
আজ ৩২ বা জেলা শহরে না ভেঙ্গে যদি সেই ভবনগুলোতেই সঠিক ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে রাখার ব্যবস্থা করা হতো, তবে কি কম প্রতিশোধ হতো? বরং সেটা হতো সঠিক শিক্ষার পরিচয়। তা দেখে স্বৈরাচারেরা জন্ম জন্মান্তর জ্বলতো। কিন্তু এখন যা চলছে তাতে স্বৈরাচারদের সহানুভূতির ব্যবস্থা হচ্ছে।
আজ ৩২ বা অন্যান্য শহরের ভবনগুলোতে ৭১ এবং ২৪ এর স্মৃতি রক্ষার জাদুঘর করা যেতো না? সেই জাদুঘরে মুজিবের পাশাপাশি জিয়া, ৭ বীর, মুগ্ধ, আবু সাঈদসহ ৭১ এবং ২৪ এর সকল শহীদদের স্মৃতি দিয়ে সাজালে কি কম বদলা নেওয়া যেতো? কিন্তু আজ দেশের চলমান রাজনৈতিক যন্ত্রের চাপে শিক্ষিতরাও যেনো শিক্ষার মহত্ব ভুলতে বসেছে। শিক্ষার পরিচয় দেবার বদলে অদৃশ্য ডুগডুগির শব্দে নাচন তুলছে। বিদেশি গানের তাল বিপ্লবীদের নাচাচ্ছে। একি গর্বের? নাকি………

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


