মাঝে মাঝে পরপর সাজান অনেক গুলো স্মৃতির পাতা থেকে হঠাৎ করে কোন পাতা সামনে চলেআসে।কখনও ধুলোমাখা,ঝাপসা......কখনও একেবারে ঝকঝকে পরিষ্কার।আজ অনেক দিন পর সেরকম একটা পাতা হঠাৎ সামনে এসে গেল........
ক্লাস নাইন এ পড়ার সময় আমি আর আমার বান্ধবী একসাথে হেটে স্কুলে যেতাম।ঐবয়সে সাধারনত মেয়েরা যেমনভাবে যায়....কারনে-অকারনে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতে খেতে...কখনওবা সামান্য কারনে অভিমান করে ২/১ দিন কথা বলা বন্ধ করে, যদিও কথা বন্ধ থাকলেও স্কুলে একসাথেই যেতাম।কখনওবা মোড়ের মাথায় সাজগোজ করা অপেক্ষারত কোন ‘চাহনেওয়ালা’কে একপলকে দেখেই চোখ নামিয়ে ,পিছন থেকে আমাদের লক্ষ্যে কোন গাওয়া গান শুনেও না শোনার ভান করে আমরা স্কুলে যেতাম।
এভাবে একদিন স্কুলে যাওয়ার পথে আমার বান্ধবী হঠাৎ থমকে দাড়াল তারপর পাগলের মত ঘাসের মধ্যে খোজা শুরু করল।আমি প্রশ্ন করতে থাকলাম কি খুজছিস?ও কোন জবাব না দিয়ে খুজতেই থাকল। কিছুক্ষন পর দেখলাম ওর চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে আর ও খুজেই যাচ্ছে।আমিও অসহায়ের মত খুজছি অথচ জানিনা কি খুজছি॥না পেরে আমি বললাম প্লিজ বল কি খুজছিস?Atleast colour টা বল।
ও কোন রকমে জানালো ‘সাদা’।এভাবে অনেকক্ষন খোজার পর হঠাৎ ও পেয়েছি বলে পিছন ফিরে দাড়াল।কি হারাল আর কি পেল আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না।ওর এই লুকোছাপার কারনে আমার কিছুটা রাগ হল।আমি হাটা শুরু করলাম।
ও পিছন পিছন আসতে আসতে হঠাৎ হেসে ফেলল।আমার আরো রাগ হতে লাগল।তারপর হাসতে হাসতে বলল কি হারিয়েছিল শুনবি না?হারিয়েছিল আমার দাত।
আমার অবিশ্বাসের ভঙ্গি দেখে বলল ছোটবেলায় টিউবওয়েলের আঘাতে ওর দাত পড়ে গিয়েছিল,সেখানে লাগানো নকল দাত দুটো পড়ে যাওয়াতে এই বিপত্তি।তারপর একথা কাউকে না জানানোর জন্য জগতের বিভিন্ন জিনিসের কিরা-কসম কেটে তারপর মুক্তি।অবশ্য লেখা যাবে না এমন কসম খাইনি।
বাবা সরকারি কর্মচারী হওয়ায় বদলীর কারনে আজ অনেকের সাথেই যোগাযোগ নাই।ফেসবুকের কল্যানে দু একজনকে পেয়েছি।অনেকজনকে হয়ত আর কোনদিনই খুজে পাবোনা।যে হারে নেট আওতাভুক্ত হচ্ছি আগামী ৫ বছরে হয়ত অনেককেই খুজে পাব.........খুজতেই থাকব....

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




