গত ২৬ অক্টোবর কানাডার অন্টারিও প্রদেশের ড্রাইভারদের জন্য গাড়ি চালানোর সময় সেলফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেলফোনে কথা বলা তো দূরের কথা, কোনো রকম টেক্সট বা ই-মেইল করাও যাবে না। তিন মাস শিক্ষা সময় দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে ৫০০ ডলার জরিমানা হবে। অন্টারিও কানাডার চতুর্থ প্রদেশ, যেখানে এই আইন প্রচোলন করা হলো। আইনটি মেনে চলা অনেকের জন্যই কঠিন হবে, তবে এর ফলে যে দূর্ঘটনার সংখ্যা অনেক কমে যাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ট্রাফিক আইনটির কথা বলতে গিয়ে একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। এক সন্ধ্যায় আমি কাজ থেকে ঘরে ফিরছি। হঠাৎ পিছনে দেখি লাল-নীল বাতি জলছে। স্বাভাবিক ভাবেই গাড়ি সাইড করে দাঁড়ালাম। যথারীতি অফিসার নেমে এলো। সান্ধ্যকালীন শুভেচ্ছা জানিয়ে খুব সুন্দর করে যা বললো, তার সারমর্ম হচ্ছে: আমি কোনো ভুল করিনি, কিন্তু আমার গাড়ির একটা বিষয় তার চোখে পড়েছে। সেটা হলো, গাড়ির পিছনের ড্যাশ বোর্ডের উপর বেশ কিছু পুতুল আছে (আমার বউ এবং মেয়ের রাখা)। সে'গুলো ড্রাইভিং-এর সময় আমার মিরর ভিউকে সমস্যা করতে পারে এবং যার ফলে আমি কোনো এক্সিডেন্টের সম্মূখীন হতে পারি। তার রেকমেন্ডশন হলো, আমাকে ওগুলো সরিয়ে বা কমিয়ে ফেলতে হবে। এবারের মত কোনো ফাইন ধরা হলো না কিন্তু পরবর্তীতে হবে। এই বলে আমার কাগজ-পত্র পরীক্ষা করে ছেড়ে দিলো। আমার অজ্ঞানতার জন্য নিজের উপরই রাগ হলো, যদিও এখনো আমার জানা হ্য়নি, এ'রকম কোনো আইন এখানে আছে কিনা। হ্য়তো আছে।
আবার চলতে শুরু করলাম ঘরের উদ্দেশ্যে। ভাবছিলাম, আমাদের ঢাকায় কি এমন কোনো ট্রাফিক আইন আছে কিনা। তখনই মনে পড়লো, মাস কয়েক আগে ঢাকা গিয়েছিলাম। রাস্তায় চলতে গিয়ে চোখে পড়েছিলো অনেক গাড়ি, যাদের পিছনের ড্যাশ বোর্ডের উপর অনেক কিছু ছিল- টিস্যুর বাক্সতো ছিলই। একবার একটা গাড়ি দেখলাম, যারটা পুরো লতা-পাতা দিয়ে সাজানো। হয়তো প্লাস্টিক, কিন্তু ভালই লেগেছিলো!
অবশ্য ঢাকার কথা ভিন্ন, সেখানে তো এখন যানযটের কারণে গাড়ির গতিই নেই, সেখানে এক্সিডেন্টের ভয় কিসের!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





