somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গাড়ি চালকের হাতে সেলফোন নিষিদ্ধ

০৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


গত ২৬ অক্টোবর কানাডার অন্টারিও প্রদেশের ড্রাইভারদের জন্য গাড়ি চালানোর সময় সেলফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেলফোনে কথা বলা তো দূরের কথা, কোনো রকম টেক্সট বা ই-মেইল করাও যাবে না। তিন মাস শিক্ষা সময় দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে ৫০০ ডলার জরিমানা হবে। অন্টারিও কানাডার চতুর্থ প্রদেশ, যেখানে এই আইন প্রচোলন করা হলো। আইনটি মেনে চলা অনেকের জন্যই কঠিন হবে, তবে এর ফলে যে দূর্ঘটনার সংখ্যা অনেক কমে যাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

ট্রাফিক আইনটির কথা বলতে গিয়ে একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। এক সন্ধ্যায় আমি কাজ থেকে ঘরে ফিরছি। হঠাৎ পিছনে দেখি লাল-নীল বাতি জলছে। স্বাভাবিক ভাবেই গাড়ি সাইড করে দাঁড়ালাম। যথারীতি অফিসার নেমে এলো। সান্ধ্যকালীন শুভেচ্ছা জানিয়ে খুব সুন্দর করে যা বললো, তার সারমর্ম হচ্ছে: আমি কোনো ভুল করিনি, কিন্তু আমার গাড়ির একটা বিষয় তার চোখে পড়েছে। সেটা হলো, গাড়ির পিছনের ড্যাশ বোর্ডের উপর বেশ কিছু পুতুল আছে (আমার বউ এবং মেয়ের রাখা)। সে'গুলো ড্রাইভিং-এর সময় আমার মিরর ভিউকে সমস্যা করতে পারে এবং যার ফলে আমি কোনো এক্‌সিডেন্টের সম্মূখীন হতে পারি। তার রেকমেন্ডশন হলো, আমাকে ওগুলো সরিয়ে বা কমিয়ে ফেলতে হবে। এবারের মত কোনো ফাইন ধরা হলো না কিন্তু পরবর্তীতে হবে। এই বলে আমার কাগজ-পত্র পরীক্ষা করে ছেড়ে দিলো। আমার অজ্ঞানতার জন্য নিজের উপরই রাগ হলো, যদিও এখনো আমার জানা হ্য়নি, এ'রকম কোনো আইন এখানে আছে কিনা। হ্য়তো আছে।

আবার চলতে শুরু করলাম ঘরের উদ্দেশ্যে। ভাবছিলাম, আমাদের ঢাকায় কি এমন কোনো ট্রাফিক আইন আছে কিনা। তখনই মনে পড়লো, মাস কয়েক আগে ঢাকা গিয়েছিলাম। রাস্তায় চলতে গিয়ে চোখে পড়েছিলো অনেক গাড়ি, যাদের পিছনের ড্যাশ বোর্ডের উপর অনেক কিছু ছিল- টিস্যুর বাক্সতো ছিলই। একবার একটা গাড়ি দেখলাম, যারটা পুরো লতা-পাতা দিয়ে সাজানো। হয়তো প্লাস্টিক, কিন্তু ভালই লেগেছিলো!

অবশ্য ঢাকার কথা ভিন্ন, সেখানে তো এখন যানযটের কারণে গাড়ির গতিই নেই, সেখানে এক্‌সিডেন্টের ভয় কিসের!

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৫৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×