আজকের দিনে পৃথিবীর নিপীড়িত মানুষের প্রতি ভালোবাসা। যারা ভালোবাসার অর্থ খুজঁতেও আজ অক্ষম। সকাল হয় যাদের অনিশ্চিত জীবনের আহবানে। আজ আমার সমুদয় ভালোবাসা তাদের জন্য-যারা নিষ্টুর পৃথিবীর সাক্ষী হয়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে।
গাজার সেই বালিকণায় যাদের রক্ত রক্তিম সূর্যদয়কে অভিবাদন জানায় প্রতি সকালে, আজ শুধু তাদেরকে স্মরি।
স্বৈরতন্ত্রী শাসকের পরাধীনতার আগল থেকে মুক্তি পেতে মিশরে যারা নিজেদের জীবন দিয়ে প্রজম্মকে দিয়েছেন মুক্তি, গড়েছেন ইতিহাস- আজ আমার হাজার চুমু তাদের রক্তমাখা কাফনে।২৫ জানুয়ারীর সেই সব যুবক যুবতী আজ ভালোবাসা জানাতে কোন কার্পন্য নেই, যারা অসীম সাহসিকতায় ৩০ বছরের জগদ্দল পাথরের বিপরীতে টর্নেটো চালিয়ে সচল করেছে গনতন্ত্রের পথচলা।
বড্ড বেশী মনে পড়ছে আজ ফেলানীকে।সে কি বেচেঁ থাকলে ভালোবাসা দিবসে কাউকে ভালোবাসা জানাতো? অথবা কেউ কি তার হাতে তুলে দিত একটি তাজা গোলাপ ? উত্তর হয়তো "না"। কিন্তু সে কি ভালোবাসতো না প্রতিটাদিন তার বাবা-মাকে ? ভালোবাসতো না তার সবুজ - শ্যামল দেশকে ?পাশ্চত্যের অনুস্বরণে সে ১৪ ফেব্রুয়ারীতে হয়তো জানাতো না কাউকে ভালোবাসা । দিতনা কাউকে একগুচ্ছ ফুল। কিন্তু সে কি তার অন্তরে সাজাতোনা অসংখ্য ফুলের বাসর ! সাজাতোনা সে রঙ - বেরঙের বেলুন দিয়ে তার নিজস্ব ভূবন?আশ্চর্য তা আমরা কোনদিন বুঝিনি,বুঝেছি তখন যখন সে বাচাঁর তাগিদে মায়াভরা চোখ দিয়ে তাকিয়েছিলো পৃথিবীর দিকে। অবশেষে হার মানলো তার বেচেঁ থাকার আকুতি -মৃত্যুর কাছে। যে ভালোবাসতো প্রতদিন নিজেকে, কাছের সব মানুষকে আর তার প্রিয় মাতৃভূমি এই সবুজাভ বাংলাদেশকে। কিন্তু মৃত্যুর আগে কি সে বলে গেলো তোমরা যারা আমার স্বপ্নের বাসর ভেঙেছো তোমাদেরকে আমি ঘৃণা করি। নিষ্টুর পৃথিবীর দিকে কি সে ঘৃণার থু থু নিক্ষেপ করেছিলো ? আজ তাকে ভালোবাসা জানানোর সাহস আমার নেই,সম্ভবত অধিকারও। তবে আজ চিৎকার দিয়ে ঘৃণা জানাই সে সব নরপশুদের যারা মানবতার মর্যদা দিতে জানেনা। যারা আমার সীমান্তে অসংখ্য ফেলানীর লাশ ফেলে রক্তের স্বাদ নেয়। আজ ভালোবাসা দিবসে তাদের মূখে থু থু ফেলতেও আমার ঘৃণা হয়। তাদের প্রতি আমার আজীবনের জন্য ঘৃণা- যারা প্রতিবেশী হয়েও বন্ধুত্বের প্রশ্নে উত্তীর্ণ নয়। আর ঘৃণা তাদের প্রতিও যারা - স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির ঢোল পেটায় কিন্তু সীমান্তের অসংখ্য ফেলানীর লাশ তাদের বিবেক সামান্যতমও নাড়া দেয়না। সাহস হয়না যাদের বড় গলায় খুনীদের বিচার দাবী করতে, বরং এই নরপশুরাই তাদের সূখ-দুঃখের একমাত্র বন্ধু ! কি করে তারা হয় স্বাধীনতার স্বপক্ষের একমাত্র এজেন্ট ? আজ এদের প্রতিও আমার ঘৃণা। তবে ভালোবাসা শুধু তাদের জন্য - যারা ঘৃণা করে সীমান্ত রাষ্ট্রের এই খুনিদের, এই নরপশুদের। তাদের ঘৃণা করতে না পারলে ফেলানীর রক্তযে আমাদের ক্ষমা করবেনা ! কোনদিনও না।
আর অসংখ্য ভালোবাসাময় শুভেচ্ছা আমার প্রিয় ব্লগের ব্লগারদের প্রতি। তবে শুধু আজকের জন্যে নয়, প্রতিদিনের জন্যে।
আজকের দিনে শুধুই ঘৃণা তাদের জন্য.........!!!!!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কর কাজ নাহি লাজ
রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।
হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?
নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন
তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল
সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন
নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?
১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন
কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।
আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?
অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন