সময় সুযোগ পেলে আমরা বেশিরভাগ সময় অন্যের সমালোচনা করি বা করতে পছন্দ করি।এটা জাতি হিসাবে মনে হয় আমাদের স্বভাবজাত অভ্যাস।
অনেক সময় শুধু সমালোচনাতেই থেমে থাকি না আলোচ্য ব্যক্তিটির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে নানা এঙ্গেলে ব্যবচ্ছেদ করি সেই সাথে কিছু বিষাক্ত আলোচনাও করি। সত্য মিথ্যার মিশিয়ে নানা রং লাগিয়ে ঘটনা প্রবাহকে আরও আকর্ষণীয় করি। মানে আলোচ্য ব্যক্তিটিকে যতদুর সম্ভব কথার দিয়ে দহন করবার চেষ্টা আর কি।
যেন তাকে ভষ্ম করে বিলীন করতে পারলেই জগতের সব সুখ প্রাপ্তি।
আচ্ছা এই ধরনের মানসিকতাকে কি বলা যায় বা কি নাম দেওয়া যায়?
হীনমন্যতা, কুৎসিত মনোবৃত্তি নাকি পরশ্রীকাতরতা।
এত ইর্ষা হিংসা নিয়ে কি মানুষ সুস্থ স্বাভাবিক থাকতে পারে? না থাকা যায়?
তাকে কি সুস্থ মানসিকতার মানুষ বলা যায়?
আচ্ছা অন্যের সমালোচনা না করে যদি নিজের দুর্বলতাগুলোর দিকে নজর দেওয়া হয় তাহলে কেমন হয়?
নিজেকে কিভাবে আরও বড় মনের মানুষ, উন্নত চরিত্রের মানুষ হিসাবে গড়ে তোলা যায় সেদিকে যদি বেশি যত্নবান চেষ্টা করা হয় তাহলে কেমন হয়?
কে কী পারলো না পারলো কে কী করে বেড়ালো,কে কোথায় যায় এত খোঁজের দরকারই বা কি আর সমালোচনা করার প্রয়োজনই বা কী?
এধরণের সমালোচনা করে আত্ন তৃপ্তি পাওয়া এক ধরনের মানসিক রোগ।
হ্যাঁ কেউ কিছু জানাতে চাইলো, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে জানলাম ব্যাস,সেখান থেকে কোন শিক্ষা নেওয়ার থাকলে নিলাম।যদি দেখি তার কথায় অন্যকে আহত করবার প্রচেষ্টা তখন তাকে নিবৃত্ত করলাম না হলে এড়িয়ে গেলাম।
একজনের ভুলগুলো থেকে নিজে শিক্ষা নিয়ে, সচেতন হয়ে নিজেকে আরো বেশি পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে গড়ে তোলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
এর ফলে দিনশেষে নিজেরই লাভ। নিজে সাবধান হওয়া গেল আর একটু একটু করে মানুষ হিসাবে পরিণত হওয়া গেল। যেন যে কোন দূর্বলতায় আমি হঠাৎ ভুলগুলো করে না বসি আবেগের বশে নিজের ক্ষেত্রে । উক্ত ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও সতর্ক আর সাবধানী হই।
একটু যদি গভীরভাবে লক্ষ করি দেখতে পাবো আমাদের প্রতি কাজে কত ভুল, কত অজ্ঞতা কত অক্ষমতা আছে।
সেদিকে যদি বেশি বেশি নজর দেই। নিজেকে আরও পরিশোধিত করি।উন্নত করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকি
তাহলে আমরা একটা সুন্দর সমাজ ও সামাজিক পরিবেশ পেতে পারি সহজেই ।
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২০