somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ইসিয়াক
একান্ত ব্যক্তিগত কারণে ব্লগে আর পোস্ট দেওয়া হবে না। আপাতত শুধু ব্লগ পড়বো। বিশেষ করে পুরানো পোস্টগুলো। কোন পোস্টে মন্তব্য করবো না বলে ঠিক করেছি। আমি সামহোয়্যারইন ব্লগে আছি এবং থাকবো। ভালো আছি। ভালো থাকুন সকলে।

কবিতাঃ সেই সময়ের ই অপেক্ষায়

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :








পরিস্থিতি ক্রমশ বদল হচ্ছে
খারাপ ভালো সে তর্কে না যাই
তবে এটুকু বলাই যায়
আশরাফুল মাখলুকাতের মুখের নির্মল হাসিটুকু
হারিয়ে গেছে অনেক আগেই।

এখন
কেউ আর গলা ছেড়ে গায় না গান
কেউ আর মন খুলে হাসে না
কেউ আর স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত বোধ করে  না
কারণ স্বপ্ন পূরণের সুযোগ ক্রমশ সীমিত হয়ে গেছে
অদৃশ্য নাগ পাশে জড়িয়ে যাচ্ছে সবাই
ক্রমশ...
আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরা মানুষ
এখন   একে অন্যের সাথে
স্বাভাবিক কুশল বিনিময় করবার স্বাভাবিক আচরণ
ভুলতে বসেছে
প্রতিটা মানুষ  নিজেকে নিয়ে দুঃশ্চিতার ঘেরাটোপে আবদ্ধ
আগামীতে কি হবে সেই ভাবনায় অস্থির
কদাচিৎ
যদিও বা কিছুটা উচ্ছলতা ফিরে পায় কখনও
তাতে কেন জানি প্রাণ থাকে না আর।

এখন
শত অনিয়ম আর যন্ত্রণায় কেউ  প্রতিবাদ করে না।
শক্তি সামর্থের তর্কে না যাই
এটুকু বলাই যায়
বোবা হয়ে গেছে সবাই
বোবা!

এক্ষেত্রে
যারা উচ্চ আসনে সমাসীন তাদের আলাপ বাদ
তারা সুবিধাভোগী
তারা সুযোগ সন্ধানী
তারা মধুলোভী
তারা বিশেষ আর্শীবাদ পুষ্ট
ওদের জীবন এখনও  দারুণ ছন্দময়
ওদের ব্যক্তিগত বা সোস্যালমিডিয়া জুড়ে
কেবলই আনন্দের বন্যা।

এদিকে
আপামর জনতা সকল
এক হিসাবে গণনার বাইরে যারা
সেই তথাকথিত নাগরিকেরা  কাটাচ্ছে পশুর মত জীবন
দুমুঠো ভাতের চিন্তায়
দিকবিদিকশুন্য ছুটছে উদয় অস্ত।

ক্রমশ দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্ব গতি
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি
তাদের কোনঠাসা করতে করতে
আজ খাদের কিনারে নিয়ে এসেছে, এরপর?

জীবন্মৃত জীবনের
অসহায় চক্ষুগুলো আজ
বেদনার ভারে সিক্ত।

উদরে ক্ষুধার জ্বালা
মৌলিক অধিকার আজ
ছাপার অক্ষরের শোভিত মাত্র। 

এত এত অনাচার
কে করবে প্রতিকার?
দেখবার আছে কি কেউ?

আজ মানবতা তীব্রভাবে লঙ্ঘিত
শাসন আর শোষণের জাতাঁকলে পদদলিত ন্যায় বিচার।


আমজনতা রিসেশন বোঝে না
বোঝে না জটিল অর্থনীতি
সমাজনীতি
রাজনীতি।

তারা মধ্যবিত্ত ছিল একদা
তারপর নিম্ন মধ্যবিত্ত হলো
এখন তারা দরিদ্র সীমার নীচে
আর তাদের কাঁধে ভর দিয়ে দেশ এগিয়ে চলছে
উন্নয়নের মহাসড়কে!
এর চেয়ে বড় কৌতুক আর কি হতে পারে?

আর কত
আর কত কষ্ট করবে মানুষ,
হে দন্ডমুন্ডের কর্তা?
একটু সদয় দৃষ্টি চাইছি আপনার।

অবশ্য আপনারা এসব মানতে চান না
হে মহামান্য
আপনাদের ভাবনায় আমজনতার স্থান কোথায়
একটু বলবেন কি?


তারা পদ্মা সেতু দেখে
তারা মেট্রোরেল দেখে....

মেট্রোরেল পদ্মা সেতু ও অন্যান্য কি
আদৌ তেমন কোন বৃহত্তর কাজে আসছে
যেখান দিনে দিনে মানুষ দরিদ্র থেকে দরিদ্র হচ্ছে।

বেগমপাড়ার খবর কি আপনার
কর্ণকুহরে পৌঁছে না,
হে মাননীয়?

হে মহান অধিপতি --
আপনি দয়া করে
নিশ্চুপ থাকবেন না।
দয়া করে কিছু একটা করুন
আমরা
সত্যি আর পারছি না। 

আপনি কি জানেন
হে মাননীয়?
অশিক্ষা দূর্নীতি অনিয়ম অব্যবস্থাপনার
সুযোগে ধেয়ে আসছে
ধর্মীয় কূপমন্ডুকতা, ভন্ডামী
আর কল্পিত ইশ্বর ভক্তিতে
কেউ কেউ
আশ্রয় খুঁজছে তথাকথিত ইশ্বরে।
ভাবনা
এবার নিশ্চয় ইশ্বর কিছু করবে!
তথাকথিত ধর্ম ব্যবসায়ীরা
আইয়ামে জাহেলিয়া যুগের মত দারুণ ফর্মে আছে
তাদের ব্যবসা রমরমা।
আপনি কি জানেন?
জানেন কি ওই ইশ্বর?

জানি আমরা জানি
ইশ্বর থাকেন ওই ভদ্র পল্লীতে
দুঃখী দরিদ্র মানুষের দিকে ফিরে তাকাবার সময় কোথায় তার?
যেমন আপনার বা আপনাদের  সময় নাই
টাকার এপিঠ ওপিঠ আপনারা।
আপনাদের   দরকার শুধু  আরাধনা পুজা প্রার্থনা
আর নগ্ন তেলবাজি।

বর্তমান পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি হে মাননীয়
কারণ আমরা নিরুপায়
বেঁচে তো থাকতে হবে!
যেখানে বেঁচে থাকাটা এখন চরম বিষ্ময়কর।

বিশ্বাস করুন আর পারছি না
আর পারছি না আমরা,
আমরা আজ দিশেহারা
যেখানে যা পাচ্ছি খড়কুটোর মত আঁকড়ে ধরতে চাইছি
টিকে থাকার ইঁদুর দৌড়ে।

নীতি নৈতিকতা আজ অসহায়
জীবন জীবিকার ফাঁদে।

হে মাননীয়,
আপনার কঠোর আইনের ভয়ে
আজ মুখ খুলবার সাহস নেই আমাদের।
নেই কোথাও প্রতিবাদ মিছিল 
নেই জালাও পোড়াও আন্দোলন।
সব স্তিমিত।
অদ্ভুত নীরবতায় ছেয়ে গেছে  চারপাশ।
শ্মশানের নীরবতা ধেয়ে আসছে ক্রমশ

অদ্ভুত এক শুন্যতা গ্রাস করছে আমাদের।

প্রেমিকার প্রতি ভালোবাসা হারিয়ে যাচ্ছে
সন্তানের প্রতি স্নেহ হারাচ্ছে
অসহায়ের প্রতি মায়া নেই বিন্দুমাত্র
মানবতা ভূলুণ্ঠিত
জীবন আজ জড় প্রায়!

নীতি নৈতিকতা  এখন
শিকড় উবড়ে পড়া মুখ থুবড়ে গাছের মত পড়ে আছে।

পাথর সময় বুঝি একেই বলে!

আমরা হয়ে উঠছি ক্রমশ পাথর
কিন্তু না
আমরা এই দম বন্ধ করা রুদ্ধ
সময়ের নাগপাশ ছিড়তে চাই
আবদ্ধ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণ চাই।
অরুণ আলোর আলোক স্পর্শ পেতে চাই।
কোন কৌশলে সমবেত জনতাকে কেউ আটকাতে পারে নি কখনও
পারবেও না,
অন্তত ইতিহাস তো তাই বলে
রয়েছি সেই সময়ের ই অপেক্ষায়।


© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৭
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×