somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পরাজয়

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গেল বছর নভেম্বরে বায়ান্নোতে পা দিলেন তালেব সাহেব। বায়ান্নটি বসন্ত ছুয়েছে তাঁর জীবনকে। এখনো মনে প্রানে নিজেকে যুবক ভাবেন। এই বয়সে ভীষন স্মার্ট তিনি। কিছু কিছু চুলে পাক ধরলেও বার্ধক্য এখনো তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। তাছাড়া তিনি অত্যন্ত স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি। প্রতিদিন নিয়মিত ভোরে ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি, সেই সাথে হালকা ব্যায়াম, তাঁর অনেক দিনের অভ্যাস। খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারেও তিনি অত্যন্ত সজাগ। সব চাইতে লক্ষনীয় বিষয় এই যে, দুঃশ্চিন্তামুক্ত প্রাণ খোলা হাসি ছিল তাঁর নিত্য সঙ্গী। মাঝে মাঝে তাঁর বন্ধুরা জানতে চাইতো, ‘তুই সর্বদা হাসি খুশী কেমন করে থাকিস?’ অথচ তাঁর স্ত্রী আয়েশা বেগম বয়সটাকেই প্রাধান্য দেন। বয়সের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়ানো হচ্ছে প্রকৃতিগত বিধান। এর বিপরীত চলাটা অনিয়ম। তাঁর মনে বয়সের ঘুন পোকা ভালভাবে বাসা বেঁধেছে। সবকিছুই এখন বয়সের মাপকাঠিতে বিচার করেন। তালেব সাহেবের স্বভাব সূলভ রসিকতায় তিরস্কার করেন, ‘বুড়ো হচ্ছো, অথচ ছেলে মানুষি ভাবটা বদলাচ্ছো না। দিন দিন বয়স বাড়ছে। স্বভাবটা এখনো বদলাও।’
স্ত্রীর কথায় হোঁচট খান। বয়সের ব্যাপার কোন ভাবেই মানতে রাজী নন তালেব সাহেব। বায়ান্ন বছর কি এমন বয়স। এখনো অনেক মেয়ে তাকে ভাই সম্বোধন করে। আসলে তাকে দেখে সঠিক বয়স অনুমান করা কঠিন।

আয়েশা বেগমের সাথে তাঁর বয়সের ব্যবধান নয় বছর। মুটিয়ে যাওয়ায় বয়সের তুলনায় তাকে একটু বেশী বয়স্ক মনে হয়। এটাকে তিনি সহজ ভাবে মেনে নিয়েছেন। অর্থাৎ বয়সের কাছে আত্মসমর্পন। এ কারণে চলনে বলনে তিনি সব সময় সীমাবদ্ধতা বজায় রাখার চেষ্টা করেন। অথচ তিন বছর আগেও এমন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় নি। ছেলে মেয়ে বিয়ে দেয়ার পর তাঁর মাঝে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন।
তালেব সাহেব আয়েশা বেগমকে বেশ কয়েকবার বোঝাতে চেষ্টা করেছেন, ‘দেখ, কিইবা বয়স হয়েছে আমাদের। ইচ্ছাকৃত ভাবে যদি আমরা বয়সের কাছে আত্মসমর্পন করি, তাহলে বার্ধক্য আরো প্রবলভাবে আমাদেরকে পরাস্ত করবে। অকাল বার্ধক্য জীবনের গতিধারাকে বিচ্যুত করবে। তখন আনন্দ উচ্ছ্বাস বাধাগ্রস্থ হয়। দুঃশ্চিন্তা আর হতাশা মনের কোনে বাসা বাঁধে, এতে জীবনি শক্তি হ্রাস পায়, জ্বরাজীর্ণতা গ্রাস করে। রোগ ব্যধি অনিয়ন্ত্রিত ভাবে আক্রমন করে। সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবন হয়ে ওঠে অস্বাভাবিক। আর বার্ধক্যকে জয় করতে পারলে জীবনের গতি বৃদ্ধি পায়। সুস্থ্যতার সাথে জীবনকে উপভোগ করা যায়। ‘তাই বলে এখন সেজে গুজে ছেলে বৌমার সামনে ঘুরে বেড়াবো, তোমার সাথে খুনসুটি করবো, ইয়ার্কী ফাজলামো করে বেড়াবো’- ফোড়ন কাটেন আয়েশা বেগম। - “কথাটা তুমি ওভাবে নিচ্ছ কেন? নিজেকে একটু পরিপাটি করে গুছিয়ে থাকার ভিতর তো কোন লজ্জা বা সংকোচের কিছু নাই। পরিচ্ছন্নতা-সুস্থ্যতার প্রতীক। একটা কথা ভেবে দেখ, ছেলে, বৌ, জামাই, মেয়ে এরা তো আমাদের জীবন চক্রের একটি অংশ। আমরা আমাদের সুখ-শান্তি আনন্দ-উচ্ছ্বাস থেকে বঞ্চিত হই, এটা তো কখনোই ওদের কাম্য নয়। তারা আমাদের সন্তান। আমাদের সার্বিক মঙ্গলই তো তাদের একমাত্র কাম্য। তাছাড়া কোন সন্তান কি চাইবে, তাদের মা-বাবার জীবন থেকে সুখ-শান্তি, আনন্দ-উচ্ছ্বাসের গতিধারা বিলুপ্ত হোক। এখন আমরা যদি নিজেকে এভাবে গুটিয়ে নেই, এমন এক সময় আসবে যখন এর প্রভাব সন্তানদের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে।”
নাক ডাকার শব্দে পাশ ফিরে তাকান। আয়েশা বেগম গভীর ঘুমে অচেতন। এতক্ষন তিনি বৃথাই বকবক করে চলেছেন। একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে বুকের ভিতর হতে। আয়েশা বেগমের এটা নিত্য স্বভাবে পরিনত হয়েছে। রাতে বিছানায় যাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়েন। সেই সাথে তার বিশ্রি নাক ডাকাও শুরু হয়ে যায়।

তালেব সাহেবের ইদানিং রাতে সহজে ঘুম আসে না। অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। অনেক সময় এই নির্ঘুম সময়টা নিজের লেখালেখির মাঝে কাটিয়ে দেন। কখনো বা স্মৃতিচারনে। লেখালেখির অভ্যাসটা তাঁর কলেজ জীবন থেকেই। এ নিয়েও কম তিরস্কার শুনতে হয়নি। ‘কমতো লিখলে না, কি পেয়েছো, শুধু শুধু টাকা পয়সার খাইখারাবি।’ যদিও তাদের প্রথম জীবন আয়েশা বেগমের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা তাঁর লেখার খোরাক জোগাতো। আজ সব কিছুই কেবল স্মৃতি। স্মৃতিচারণে অনেক কথাই মনে পড়ে। বন্ধু-বান্ধব, স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি জীবনের কথা। বিশেষ করে মনে পড়ে তার স্ত্রীর কথা। বিয়ের পর প্রায় প্রতিটি রাতের অনেকটা সময় তারা দু’জনে গল্প করে কাটিয়েছেন। কথা যেন তাদের ফুরাতো না। অনেকের কাছে যা কিনা ছিল ঈর্ষনীয়। প্রতিবেশী মহিলারা টিপ্পনি কাটতো। ‘পারেন ভালো, কি এত গল্প করেন, কি কথা হয় আপনাদের?’ পুরো সাতাশটি বছর এভাবেই কেটেছে। এক অনাবিল সুখের মাঝে কেটেছে রাতের পর রাত দিনের পর দিন।

ডিম লাইটের আলোতে আয়েশা বেগমের ঘুমন্ত মুখের উপর নিষ্পলক চেয়ে- অতীতের সেই দিনের চিত্র খোঁজার চেষ্টা করেন। ভাবতে অবাক লাগে। কেমন করে আজ সব কিছু বদলে গেল। ওলট পালট হয়ে গেল তার জীবন চক্রের সুখময় অধ্যায়ের। মাত্র তিন বছর। এই তিন বছর আগেও কত প্রাঞ্জল ছিল- তাঁর জীবনের গতিধারা। নিজের অজান্তেই মনের মাঝে প্রশ্ন ওঠে। সত্যিই কি তাঁর বয়স হয়েছে? ধীর পায়ে আয়নার সামনে দাঁড়ান। নিজের প্রতিবিম্বকে ভাল করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন। নাহ, কোথাও কোন বার্ধ্যক্যের চিহ্ন নজরে পড়ে না, একমাত্র পাকা কয়েকটা চুল ছাড়া। তাও আবার যদি ডাই করা হয়. তাহলে এক ধাপে বয়সটা কুড়ি বছর কমে আসবে। নিজের মনে হেসে ওঠেন। চুলে ডাই করার কথা একবার বলেছিলেন। সেটা অবশ্য আরো চার কি পাঁচ বছর আগে। সেদিন আয়েশা বেগম জোরে চিমটি কেটে বলেছিলেন, “কি ব্যাপার, মনে মনে কোন কুমতলব আছে না কি?” “উফ, লাগে তো।” হাতটা ছাড়িয়ে বলেন, “মাথা খারাপ, এক পাগল নিয়ে অস্থির; তার উপর আরেক পাগলের আমদানি।” আবারো চিমটি কাটেন। এবার আর একটু জোরে “এ্যাই, আমি পাগল?” “না, ভুল হয়েছে। ব্যাকরণগত। আসলে তুমি পাগলি।” এরপর কিল ঘুসি মারতে মারতে ক্লান্ত হয়ে তাঁর বুকের উপর শুয়ে পড়তেন। তালেব সাহেব তাঁকে ভালবাসার আদরে আদরে ভরে তুলতেন। আয়েশা বেগমও তাঁকে আরো শক্ত করে ধরে বলতেন, “জানো, মাঝে মাঝে ভয় হয়। আমি যদি হঠাৎ করে মরে যাই, তাহলে তোমার ভীষন কষ্ট হবে, তাই না?” “মোটেও না। সাথে সাথে বিয়ে করে নতুন করে জীবন শুরু করবো।” রসিকতা করেন। “ইহ! করেই দেখো না। ভূত হয়ে তোমার টুটি টিপে ধরবো।” বুকের ভিতর এক ধরনের চাপ অনুভব করেন। চাপা কষ্ট। পাওয়া না পাওয়ার কষ্ট। কত সহজে মানুষ বদলে যায়। বদলেছেন আয়েশা বেগম। পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা তাঁর জীবনে এনেছে আমূল পরিবর্তন। তার এই পরিবর্তন তালেব সাহেবকে কষ্ট দেয়, হতাশ করে। আনন্দময় জীবনে শূন্যতা বাসা বাঁধে। কষ্টের শাখা বিকশিত হয়। সময়ের মানচিত্রে সুখের মুহুর্তগুলো কেমন করে হারিয়ে গেল ভাবতে ভীষণ কষ্ট হয়।

ছেলে মেয়ের বিয়ের আগের বছর ম্যারেজ ডেতে দুজনে কত আনন্দ উপভোগ করলেন। সারাদিন রিক্সায় ঘোরাঘুরি। দুপুরের লাঞ্চ হোটেলে। বিকালে পার্কে বসে ছোলা ভাজা আর বাদাম চিবুতে চিবুতে স্মৃতিচারন করেছিলেন। রাতে বাসায় ফেরার আগে স্টুডিওতে ছবি তুলে হোটেল থেকে বিরানী নিয়ে বাসায় ফিরলেন। ঘরে ঢুকতেই ছেলে মেয়ে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানায়। দু'জনে সন্তানদের মঙ্গল কামনায় দোয়া করেন। অথচ, গত দু’বছর তাঁদের ম্যারেজ ডে নীরবে হারিয়ে গেল সময়ের স্রোতে। এসব নাকি এখন আর সাজে না। বয়স বাড়ছে। বয়স বাড়ার সাথে সব কিছু বদলে ফেলতে হয়। নিয়মতান্ত্রিক জীবন কাঠামো গড়তে হবে। এটা আয়েশা বেগমের অভিমত। এ বছর তিনি আবেগ ধরে রাখতে না পেরে অনুনয়ের সাথে বলেছিলেন, “আশু, আগামীকাল আমাদের ত্রিশতম বিবাহ বার্ষিকী, চলো না, ঐ দিনটাকে আমরা একটু অন্যভাবে উপভোগ করি।” “লজ্জা শরমের মাথা খেয়েছো নাকি? বৌমা জামাই এরা কি ভাববে বলতো? এই বয়সে আমাদের কি ওসব সাজে?”
আবারো সেই বিতর্কিত বয়সকে খোঁড়া যুক্তি দিয়ে চাপা দিলেন। তিনি ভাল করে জানেন তাঁর সন্তানেরা এসব ব্যাপারে কিছুই মনে করবে না বা করে না। তবে সে কেন এভাবে নিরুৎসাহিত করছে। নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে নির্দিষ্ট সীমারেখায়। কোন কিছুই তার বুঝে আসে না। তিনি হিসাব মেলাতে পারেন না। বয়স কি আনন্দ উচ্ছ্বাসের বা ভোগ বিলাসের প্রতিবন্ধক? জীবনকে উপভোগ করার জন্য বয়সের কোন মাপকাঠি আছে না কি? এভাবে কোন মানুষ কি বাঁচতে পারে? জীবনের স্বাভাবিক গতি অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে বাধাগ্রস্থ হলে যে কোন মানুষ তার মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে। তালেব সাহেব আয়েশা বেগমের ঐ খোঁড়া যুক্তি মানতে রাজী নন যে, বয়স মানুষকে নিয়ন্ত্রন করে। বয়সের অবকাঠামো কেবল বাহ্যিক পরিবর্তন করতে পারে, মনের নয়। মন শুধুমাত্র মানষিক অবস্থানের উপর; তার চিন্তা চেতনার উপর নির্ভর করে।
প্রান খোলা হাসি আর উৎফুল্ল মন জীবনিশক্তি বৃদ্ধির সহায়ক। তালেব সাহেব কোন ভাবেই আয়েশা বেগমকে এই বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হননি। যখনই এ বিষয়ে জ্ঞান দিতে চেয়েছেন- তখনই তিনি বিষয়টিকে অন্যভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন। “এবার তাহলে ফেসিয়াল আর মেকআপ করে বাহারী রঙের শাড়ী পরে ধেই ধেই করে নেচে বেড়াই।” তালেব সাহেবের কষ্টটা বেড়ে যায়। নিজের সকল চাওয়া পাওয়া কামনা বাসনাকে সমাহিত করে স্ত্রীকে তার ইচ্ছাধীন চলার সুযোগ করে দিয়েছেন। যদিও এতে করে তাঁর নিজের জীবনের গতিধারা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃতভাবে বিপরীতমুখি অবস্থান নিয়েছে। আজকাল বড্ড একা মনে হয়। বড় অসহায় ভাবেন নিজেকে।
প্রাণখোলা হাসি আর সদালাপের জন্য তাঁর বন্ধু বান্ধবরা বলতেন, “সুখী মানুষের উদাহরণ দিতে হলে তালেব কে দেখিয়ে দিতে হবে। ওর মত সুখী মানুষ এ তল্লাটে নেই।” সেই প্রানোচ্ছল পুরুষটি দিনে দিনে খরতাপে ম্রিয়মান প্রকৃতির মত ঝিমিয়ে পড়তে থাকেন। আয়েশা বেগমও অনেকটা যান্ত্রিক হয়ে পড়েন। তাছাড়া কারনে অকারনে রেগে যাওয়া, ছোটখাটো বিষয় নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়া নিত্য স্বভাবে পরিনত হয়েছে। এসব কারনে তালেব সাহেব আজকাল খুব হিসাব করে চলার চেষ্টা করেন।

রাত কত হয়েছে অনুমান করার চেষ্টা করেন। বারোটা ছাড়িয়ে গেছে বোধ হয়। খোলা জানালা দিয়ে বাইরে দৃষ্টি রাখেন। প্রকৃতি জুড়ে পূর্নিমার জোৎস্নার মাখামাখি। রূপালী চাঁদের আলোয় স্বর্গীয় আমেজে ভরে উঠেছে সমস্ত প্রকৃতি। এমন মোহনীয় পরিবেশ তালেব সাহেবের মনটাকে উতলা করে তোলে। আনচান করে প্রকৃতির এই সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্য। মনটা আবার অতীতের দরজায় কড়া নাড়ে। এমন কত রাত তাঁরা দুজনে মিলে উপভোগ করেছেন। কখনো খোলা জানালার ধারে, কখনো বা ঘরের বাইরে, মাঠের ধারে কিংবা গাছের তলায় বসে- কথার মালা দিয়ে সাজিয়েছেন ভালবাসার সময়কে। দৃষ্টি সরিয়ে আয়েশা বেগমকে দেখার চেষ্টা করেন। জোৎস্নার আবছা আলোয় তার পৃষ্টদেশ চোখে পড়ে। বেঘোরে ঘুমাচ্ছেন তিনি। ঘুমের গভীরতা অনুমতি হয় তাঁর নাক ডাকার শব্দে। অনেক দ্বিধাদ্বন্দ আর সংকোচ উপেক্ষা করে ডাকেন, “এ্যাই শুনছো, এ্যাই আশু।” কয়েকবার ডাকে ঘুম ভাঙ্গে। একরাশ বিরক্তি নিয়ে ঘুরে তাকান। “কি হয়েছে?”- কণ্ঠস্বরে ঝাঁজ। তালেব সাহেবের কাব্যিক মনের প্রজ্বলিত দ্বিপটি দপ্ করে নিভে যায়। ফাটা বেলুনের মত চুপসে যান। অনেকটা অপরাধীর মত অসহায় চোখে চেয়ে থাকেন কয়েক সেকেন্ড। তারপর আস্তে করে বলেন, “না কিছুনা।” বলে আলোটা নিভিয়ে দেন। ধীর পায়ে খাটে বসে খোলা আকাশে চোখ রাখেন।
কষ্টের অনুভূতি বুকের ভিতর শিরশির কর । হতাশার বুকভরা বাষ্প পাক খেয়ে নিঃশ্বাসের সাথে বেরিয়ে আসে। চোখ দু'টো জ্বালা করে। বুঝিবা দু'চোখের কোন ভিজে যায় কষ্টের অশ্র“তে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×