কবিতা পড়বার অভ্যাসটা ছাড়তে পারিনি। কিন্তু এ সময়ের কবিতা পড়লে গা রি রি করে উঠে তাই এই সময়ের কোন কবিতা পড়িনা। বুঝিও না। কেমন ধ্রুপদি ভাষায় লেখা হয়, এসব বুঝতে আমাকে আরেক প্রজন্ম জন্মাতে হবে।
ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি এই শহরে কাক এবং কবির তুলনা হয় না। একই সমান তালে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। দুইয়ের কাজই এক, একাকার। তবে কাকরা কিছু ভাল কাজ করে, যেমন, শহুরের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করতে তারা যা করে তাতে সরকারের উচিত ঢাকা শহরে কাকের চাষ করা। জানি, সরকার তা করবে না। কারণ, কাকরা যতই খারাপ হোক, তারা তোষামোদ জিনিস টা জানে না।
কবিরা ঠিকই এই জায়গাটায় একটু আলাদা, তোষামোদে তাদের তুলনা হয় না। রাজ রাজরাদের আসর জমাতে তাদের তোষামুদের গান, কবিতা জাতিকে কোন কোন সময়ই জাতিকে ভয়ঙ্কর বিপদ জনক জায়গায় নিয়ে যেতে পারে তা ইতোপূর্বে অনেক দেখিছি।
তাহলে ভালর দিক থেকে কাক মামারা এক দি কে এগিয়ে আছে। সে জায়গায় কবিরা পিছিয়ে। জীবনানন্দ, নজরুল, ফররুখ, আলমাহমুদকে যখন পড়ি তখন আমি এ জগত থেকে অনেক দূরে সরে যাই। মজার ব্যাপার এসব বড় বড় কবিদের কবিতা পড়তে বা বুঝতে আমার তেমন কোন বেগ পেতে হয় না। হাতের কাছে বিপদের বন্ধূ হিসেবে শুধু অভিধান রাখলেই চলে।
কিন্তু এই যুগের কবিদের কবিতা পড়তে কয়েককোটি অভিধান এসাথে করলেও কাজ হবে না। কারণ তারা লিখে এমন করে যেন পাঠক বুঝতে না পারে।
বেশ কয়েকদিন আগে একটি স্বনামখ্যাত জাতীয় দৈনিকের একটি সাময়িকিদের এক তরুন কবির একটি কাবিতা ছাপা হল, আমি পড়ে কিছুই উপলব্ধি করতে পারলাম না, সাময়িকী নিয়ে কবির কাছে গেলাম, একটু বুঝিয়ে দেন তো ভাই কি লিখছেন, কবিতো ক্ষেপে একসা হয়ে গেছেন। ন্যাকামির জায়গা পাওনা মিয়া। যাও বাড়িতে গিয়ে কাজে যোগ দাও। ফিরে আসলাম কবির কাছে থেকে।
তাহলে কি এসময়ের কবিদের কবিতা বুঝতে আমরা অক্ষম। অথচ আমরা এসময়েই মানুষ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




