'
হলুদ হ্যালোজেন তোমার সঙ্গে জীবনের কোন মিল নেই। তবে জীবন কখনও কখনও তোমার মত আবছা হয়ে যায়।
আজ হঠাৎ করেই খুব ভোরে শর্মীর ঘুম ভেঙে গেল। এ সাতসকালে ঘুম ভাঙনে ও কিছুটা অবাকই হল। খাট থেকে নেমে বারন্দায় গিয়ে দাড়াল। পুরো কলোনিতে কারও ঘুম ভাঙেনি। কেমন চুপটি হয়ে আছে কলোনি। বাইরে থেকে হালকা ঠান্ডা হাওয়া এসে শরীরে একটা চনমনে ভাব তৈরি করল। মনে পড়ে, কবে এমনি সকালে ঘুমে থেকে জেগে এরকম বারন্দায় এসে দাড়িয়েছিলাম? পড়বে না কেন, ইন্টার পরীক্ষা দেয়ার আগ পর্যন্ত রোজই ঘুম ভেঙে যেত পাখিরা ডেকে ওঠার আগেই। দোয়েলটা ছাদের কার্নিশে দাড়িয়ে নিত্যদিনের শিস দিত। ভোরে দোয়েলের শিস শুনলে মন ভাল হয়ে যায়, ফুরফুরে লাগে। শর্মী রোজ এখানে দাড়ানোর একটু পরেই দোয়েলটা কোথা থেকে উড়ে এসে শিষ দিত, তা কে জানে। কলেজে ক্যাম্পাসে পা দেয়ার পরও বেশ কিছুদিন ওর এ অভ্যাসটি ছিল। গোলটা লেগেছিল, দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার শেষদিন। পরীক্ষা দিয়ে সবে হল থেকে বেরিয়েছে। শরীরে পুরো দু’মাসের কান্তি লেগে আছে। ভাবছিল, বাসায় গিয়ে বিছানায় পড়ে একটানা ঘুম দিবে। পারলে, এ সুযোগে দীর্ঘ সময়ে ঘুমানোর একটা রেকর্ড করে ফেলবে। হাটতে হাটতে যখন কলা ভবনের সামনে ঘাসে ঢাকা ফাকা যায়গাটিতে এসে দাড়াল, তখন জিতু এসে ধরল, বলল, আমরা বুড়িগঙ্গায় নৌকা ভ্রমণে যাব। তুই, আমাদের সঙ্গে যাবি? ওর কথা শুনে শর্মী আর না হেসে পারল না, কেন যাব না, তোরা সবাই যাবি, আর আমি একা একা বাসায় বসে থালা বাসন মাজবো, তা হবে না, অবশ্যই যাব।
সব মিলিয়ে পাচজন ছিলাম ওইদিন। বুড়িগঙ্গাকে খুব শান্তশিষ্ট মনে হয়েছিল একেবারে অসুখে পড়া দুষ্ট বালকটির মতই। আকাশে ভরা রোদ ছিল। উপরে তাকালেই চোখ ঝলসে যাওয়ার পালা। বাসায় ফোন করলাম, বাবা ধরল, বললাম, বাসায় ফিরতে দেরি হবে কিন্তু, কোন চিন্তা কর না, কয় বন্ধু মিলে একটু ঘুরতে বেড়িয়েছি।
দেড়টায় পরীক্ষা শেষ হল, টার্মিনালে গিয়ে পৌছলাম হাতে ধরা পয়তাল্লিশ মিনিট পর। মধ্যিখানে পনের মিনিটের জন্য জ্যামে পড়েছিলাম। রিক্সা দাড়াতেই হুটহাট নেমে পড়লাম সবাই। টিকিট কেটে ভিতরে ঢুকলাম। তার আগে ফাস্ট ফুডের দোকানে ঢুকে কিছু খুচরা খাবার কিনল জিতু আর খোকা। জিতু বলল, বেশিক্ষণ তো থাকছি না। হালকা কিছুই পেটে দিলেই চলবে, কি বল? সামান্য মাথা নেড়ে ওর কথায় সায় দিলাম। খোকা একটা নৌকার কাছে গেল, মাঝিকে বলল, সন্ধ্যের আগ পর্যন্ত আমরা ক’জন নদীতে ঘুরব, ভাড়া দেয়া লাগবে কত? নদীতে পানি কম ছিল, টার্মিনাল থেকে একটু নিচে নৌকাটা ছুপছুপ শব্দে ভাসছিল। ছইওয়ালা নৌকা, মাঝি নৌকার দিকে এক পলক তাকিয়ে একটু উদাস ভঙ্গিতে বলল, তিনশ টাকা দিতে হবে। ওমা, এতটুকু সময়েই এতগুলো টাকা দেয়া লাগবে। মাঝির এই খাপছাড়া দামদস্তুরে খোকা একটু রেগেই গেল, বলল, ওই মিয়া কি পাইছ, টাকা কি গাছে ধরে নাকি, দেড়শ টাকার ভাড়া তিনশ টাকা চাইছ, দেড়শ টাকায় রাজি আছ? তাহলে উঠে পড়ি। মাঝি রাজি হল না, বলল, না ভাই, দেড়শ টাকায় আমি পারব না, অন্য কাউকে দেখেন। কাছেই আরেকটা নৌকা ছিল, খোকা মাঝিকে বলল, কি ভাই যাবেন, দেড়শ টাকায়। মুখে খোচা খোচা দাড়ি নিয়ে মাঝি হাসল, বলল, দশটা টাকা বাড়তি দিলে যাব। কেউ আর কথা বাড়ালাম না, ধুপধাপ উঠে পড়লাম। জিতু বলল, আমরা কিন্তু বুড়িগঙ্গা ব্রীজ পর্যন্ত যাব, পুরো সময়টা এর মধ্যেই ঘোরাঘুরি করব। মাঝি বৈঠা নিয়ে ছপ ছপ করে নৌকা এগিয়ে নিচ্ছে। সেতু আর দিপ পাশাপাশি বসে গল্প জুড়ে দিল। ওদের দুজনের ভাবটা একটু আলাদা ক্যাটাগরির, দেখা গেল এই তুমুল ঝগড়া, আবার মুহূর্তেই একেবারে ইয়ার বন্ধুত্ব। খোকা গিয়ে নৌকার গলুইয়ে বসল। ও ওখানে বসে নদীর দিকে আনমনে তাকিয়ে থাকবে। বুড়িগঙ্গার নোংরা জলের গা গোলানো গন্ধ বাতাসে মিশে আছে। কেউ তাতে অসুবিধা বোধ করল না। জিতুও নৌকার কানায় গিয়ে বসল। শর্মী জিতুর কাছাকাছি দাড়াল। নৌকা ঢেউয়ের দোলায় দুলছে। তাই চেষ্টা করেও দাড়াতে পারল না। বসে পড়তে হল জিতুর পাশেই। শর্মী জিতুকে জিগ্যেস করল, তুই এর আগে কখনও বুড়িগঙ্গায় এসেছিলি? জিতু হালকা মাথা নাড়ল, হ্যা, আরও বার দুয়েক ঘুরতে আসা হয়েছিল। তাছাড়া সবসময় বাড়িতে আসা যাওয়া আমাদের লঞ্চেই করতে হয়। টার্মিলানে ভিড়ানো ওই যে বড় বড় লঞ্চগুলো দেখছো, ওইগুলোতে চড়েই আমাদের জার্নি টু বরিশাল।
তোদের বাড়ির পাশেও তো নদী আছে, তাই না? জিতু সামান্য ঘাড় নাড়ল, বলল, নদীটা আমাদের বাড়ির পাশ দিয়েই একেবেকে চলে গেছে। সন্ধ্যা নদীর নাম শুনিশনি। সেদিনতো নৌকা ডুবে চল্লিশজনের শলীল সমাধি হল। খবরের কাগজে পড়িশনি বুঝি।
আমি আসলে দূর্ঘটনার খবর-টবর বেশি পড়ি না। ওসব শুনলেই গা শির শির করে ওঠে। গুরুত্বপূর্ণ দু’চারটি খবর পড়েই পত্রিকা পড়া শেষ করি। জিতু আরও বলল, নদীর ধারে ওদের বাড়ি হওয়ায় কয়েক বছর অন্তর অন্তর ভাঙনের মুখে পড়তে হয়। দু’বছর আগেও নদী ওদের বাড়িটা ভেঙে নিয়েছিল, আরে ওই গানটা শুনিশনি, এ কূল ভাঙে ও কূল গড়ে, এই তো নদীর খেলা। সকাল বেলা উজির রে ভাই, ফকির সন্ধ্যাবেলা, ঠিক ঠিক এই গানটির মতই। জিতুর গানের কলিতে শর্মীর ঠোটে এক চিলতে হাসি ফুটলো, বলল, তাই তো বলি, তাহলে তোদের নামও শেষপর্যন্ত ফকিরের তালিকায় উঠল, এক্কেবারে সাত হাজার সতশ সাত খয়রাতির লিডার। শর্মীর মনে মনে সতর্ক হল, এই বুঝি জিতু রাগে ফেটে পড়ল। নাহ, মোটেও রাগল না। বরং জিতু বলেই চলল, অনেকটা কথা বলার ঝোক ওঠার মত করেই, বুড়িগঙ্গার জল দূষিত না হয়ে যদি টলমলে পরিষ্কার থাকত, তবে ও ক..খো..ন ঝাপ দিত। ডুবোডুবি করে এক সঙ্গে গোছল সেরে উঠত। শর্মী ধন্দে পড়ে গেল, জিতু তাহলে এই নদীটাকে মোটেও ভয় পায় না। অথচ এই আমি কিনা সাতার কাটতেই জানিনা। বাবাকে কতবার বলেছিলাম, গ্রামে চল, সাতার জানিনা, আমাকে সাতার শিখতে হবে। কিন্তু বাবা অনুরোধের ঢেকি না গেলার মতই আমার কথা কানে তুলল না। হেসে উড়িয়ে দিল। বলল, সাতার জেনে কি হবে, জেলেনী হওয়ার সদিচ্ছা বুকে লালন করছ নাকি।
জিতুর ভিতরে কিছু পাগলামি স্বভাব লুকিয়ে আছে। এই যেমন, অনেক রাত্তির অবধি রাস্তায় হ্যালোজেনের আলোয় ও কবিতা আবৃত্তি করে বেড়ায়। শুনেতো প্রথমে একটু ভ্যাবচ্যাকা খেয়েছিল শর্মী। কি বলে,অ্যা! সন্ধ্যাটা একটু গাঢ় হয়ে রাতের গায়ে পড়লেই জীবনান্দের কবিতার বই হাতে বেরিয়ে পড়ে। এ দেখি বোকার হদ্দ, রাতের ওই ঝাপাসা হলুদ হ্যালোজেনে কেউ কবিতা পড়তে পারে! স্ট্রিটল্যাম্পের আলোতো আর রাত জেগে কবিতা পড়ার জন্য নয়। শুনলাম, মগবাজার রেল লাইন ধরে ও বহু দিন হেটে হেটে রাত পার করেছে। একদিন জিজ্ঞাসা করলাম, তুই কি কবি-টবি কিছু একটা হবি? প্রশ্নটা শুনে খানিকটা বিরক্ত হল,বলল, রেল লাইনে হাটলেই কবি হওয়া যায়, এসব তোকে কে বলল। তাহলে সবাই তো কবি হওয়ার জন্য রেল লাইনের পাশ ধরে দিন রাত হেটে বেড়াত। এলোমেলো দাড়ি চুল রেখে,কাধে পাটের ব্যাগ ঝুলিয়ে শহুরে কবিরা সবাই রেল লাইনে গিয়ে ভিড় জমাত। লাইনের ধারে বাস করা মানুষগুলেও সবাই এতদিনে কবি হয়ে যেত নিশ্চয়ই।
নৌকাটা ধীরে সুস্থেই এগুচ্ছে। সবাই যার যার মত সমানে গালগল্পে মেতে উঠেছে। শুধু খোকাই নৌকার গলুইয়ে বসে ঘোর লাগা মানুষের মত কি যেন ভাবছে। দীপ মাঝিকে বলল, নদীর ওইপাড়টা হয়ে যানতো ভাই, নদীটাকে ভাল করে দেখে যাই। সেতু বাধা দিল, বলল, ওপাড়ে যাওয়া লাগবে কেন? তুই কখনও নদী দেখিসনি? এপাড় ওপাড় কি, এক পাশ দিয়ে গেলেই হল। দীপ ভুরুতে ভাজ ফেলে বলল, আরে ভাই, তুই এরকম করছিস কেন, যখন এসে পড়েছি একটু ঘুরেফুরে যাই না। টার্মিনালে লঞ্চের ভিড় দেখবার মত ছিল। পাশাপাশি একটার সঙ্গে আরেকটা ধাক্কা খেয়ে ঝন ঝন শব্দে কেপে উঠছে। মানুষগুলো একটু অতিব্যস্ত। যাত্রী, ফেরিওয়ালাদের চিলচিৎকার আর লঞ্চের সাইরেন একাট্টা হয়ে আছে। শর্মী মনে মনে একটু রেগে গেল খোকার ওপর। আচ্ছা আজগুবি মানুষ তো, আমরা একটু আনন্দ করতেই তো এসেছি, নাকি। অথচ ও কোন কথাই বলছে না। চোখ দুটো কেমন উদাস ভঙ্গিতে নদীর বুকে মেলে দিয়েছে। দুপুর গড়িয়ে পড়লে বুড়িগঙ্গায় নৌযানের ভিড় একটু বেড়ে যায়। লঞ্চগুলো দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। সারা শহরে থেকে যাত্রিরা এ সময়ে এসে টার্মিনালে হাজির হয়, তাদের গন্তব্যের জন্য উপযুক্ত নৌযানের খোজ করে। নদীর দুপাশে উচুনিচু দালানগুলো ঠায় দাড়িয়ে আছে। ময়লা-আবর্জনায় ঠাসা নদীর জলের ওপর দিয়ে ফুরফুরে বাতাস এসে গায়ে লাগছে। একটু আনমনা হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই হঠাৎ করেই সবাই যেন একটু চুপচাপ হয়ে গেল। তখন আকাশ থেকে খসে পড়া ছায়াটা হনহন করে নদীটাকে ঢেকে ফেলল। হালকা গরম বাতাস এসে লাগল গায়ে। ছেড়া কাগজ, পলিব্যাগ ঘূর্ণির মত ঘুরছে নদীর জলের ওপর। টিপটিপ দু’চার ফোটা বৃষ্টিও পড়ল। মাঝি বলল, নৌকা পাড়ে ভিড়াতে হবে, ঝড় আসতে পারে। এ কথা বলে মাঝি নৌকার মুখ ঘুরিয়ে তীরের দিকে এগুচ্ছে।
নৌকাটা টার্মিনালের প্রায় কাছাকাছি এসে গেছে। তখনই দিকবিদিকশূণ্য ঝড়ের ঝাপটা এসে গায়ে লাগল। মাঝি নৌকা তীরে নেয়ার প্রাণপন চেষ্টা করছে। ভয়ে সবাই গায়ে গা করে বসে পড়ল। জীতু ছাড়া ওরা কেউই সাতার জানে না। এই পোড়া শহরে জন্মে নদীর ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করা শেখেনি ওরা।
লঞ্চটা নদীর মধ্যে নোঙ্গর করা ছিল। ঝড়ের ইঙ্গিত পেয়ে, ঝড় থেকে বাচার জন্য তীরের দিকে ছুটছে। এখন সবকিছুই ওলট-পালট হওয়ার পালা। ইট,পাথরের গুড়ো ও বালি ওদের চোখে লেগে চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গেছে। ভাল করে তাকাতে পারছে না কোনদিক। মাঝির দশাও ওদের মত। লঞ্চটা ডান দিকে মোড় নিয়ে টার্মিনালের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে থেমে যাবে, এমন অবস্থা তখন। জিতু মাঝিকে বলল, ভাই, লঞ্চটা সামনে চলে যাক, তুমি নৌকাটা একটু পিছিয়ে নাও, যাতে ধাক্কা না লাগতে পারে। মাঝি প্রাণপন চেষ্টা করেছে বটে, কিন্তু পিছনো গেল না। তাকে দোষারোপ করাও যায় না, বেচারা কম চেষ্টা করেনি। নৌকাটা শেষে ধাক্কা খেল লঞ্চের পিছনের অংশের সঙ্গে, যেখানে এঞ্জিন থাকে। সঙ্গে সঙ্গে নৌকাটা যেন হাওয়ার উড়ে একেবারে লঞ্চের পাখার ওপরে চলে গেল। শর্মী এরপরে আর কিছুই মনে করতে পারছে না। সবকিছুই অন্ধকারে ঠাসা। হুশ ফিরলে নিজেকে হাসপাতালের বেডে দেখল, শিয়রে বাবা বসে, বাইরে বারান্দায় আদিব দাড়িয়ে আছে।
শুনল, জিতু, খোকা, দীপ, সেতু ওদের আর কোন খোজ পাওয়া যায়নি। জিতু দুরন্ত সাতারু ছিল। জেলা পর্যায়ে বেশ ক’বার সাতারে সে সেরার পুরস্কার পেয়েছে। ও পারলো না বেচে থাকতে। লঞ্চের কার্নিশে আঘাত লেগে শর্মীর কপালে অনেকটা ক্ষত হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে নিজের বেচে যাওয়া কাহিনী শুনে যারপরনাই বিস্মিত হল। দৈব-টৈব কিছু একটা ব্যাপার হবে বোধ হয়। শর্মী লঞ্চটায় ধাক্কা খেয়ে ছিটকে নদীর কূলের জলে পড়েছিল। খানিকটা হাবুডুবু খেয়ে যখন ডুবতে যাচ্ছিল, তখন ওর চুল ধরে টেনে লঞ্চের এক খালাসি ওকে উঠিয়ে আনল, ওই ঝড়-ঝঞ্ঝার ভিতরে লোকটা রিসক নিয়ে তাকে বাচাল। ছোট্ট ভ্যানিটি ব্যাগটি তখনও ওর গলায় ঝুলে ছিল। ওটার ভিতরে ছিল ওর আইডি কার্ড। তারপরে ওকে আনা হল হাসপাতালে। শর্মীর মনটা হঠাৎ তেতে উঠল, ইস, ওকে কেন উঠাতে গেল ওই খালাসীটা, আচ্ছা উঠিয়েছ বেশ ভাল করেছ, হাসপাতালে ভর্তি করতে গেলে কেন!
চার কলেজ শিক্ষার্থীর সলীল সমাধি’র ঘটনা পত্র পত্রিকা ফলাও করে ছেপেছিল বেশ ক’দিন। এরপরে এসব ঘটনা মহাকালের খাদে পড়ে হারিয়ে যায় একদিন। এ ঘটনাও হারিয়ে গেছে এতদিনে। আরে পৃথিবীতে এরকম কত শত ঘটনাই না ঘটে থাকে! শর্মী কোন রকম অনার্স পরীক্ষা দিয়েছিল। মাস্টার্স আর করেনি। প্রায়ই ভাবত, ভাল পড়াশুনা করে কী আর হবে। জিতুর মত কোন একদিনও কি স্ট্রিটল্যাম্পের আবছা হ্যালোজেনে কবিতা পড়তে পারব! ও থাকলে ওকে বলতাম, তোর সঙ্গে আমাকেও একদিন নিস তো, আমিও কবিতা পড়ব। দীপরা শুনে বলত, নিখাদ পাগলামি, ওদের মাথায় সত্যিই শেওড়া ভূত চেপেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




