আনন্দের দিনে কান্না, সইতে বড়ই কষ্ট হয় ।পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে সৌদি আরবে বৃষ্টিতে এই পর্যন্ত ১১০ জন লোকের মৃত্যু হয়েছে, আবার অন্যান্য পত্রিকা গুলো আরও দুই একজন কম বেশীর কথা বলছে ।
যেখানে অনেক প্রবাসীও রয়েছে , মা, বাবা ,আত্নীয় স্বজন ,এমনকি নিজের ভালবাসার মানুষটির মুখে হাসি ফোটানোর জন্য যারা প্রবাস যাপন করে, তাদের এই দূর্ঘটনা জনিত মরণ অনেকে মেনে নিতে পারছে না ।
আমার এক পরিচিত জন তার বাড়ি সোমালিয়ায়, গত কাল ঈদের কৌশলাদি বিনিময়ের সময় সে কান্নায় ভেঙ্গে পরে , তার এক বড় ভাই সৌদি আরব থাকে ।সেও সৌদি আরবে সৃষ্ট বন্যায় মারা গিয়েছে, তার করুণ কাহিনী শুনে নিজেকে সামলাতে পারলামনা ।
দেশ হতে তার বিবি ফোন করে বলেছে অনেক বছর হয়েছে,এবার তুমি চলে আস সে জবাব দিয়েছে নতুন বছরে একবারে চলে যাবে আর প্রবাসে থাকবে না ।বাড়িতে টাকা পাঠিয়েছে কোরবানীর জন্য, ছেলে মেয়েদের জামা কাপড় কিনে দিতে বলেছে আরও বলেছে তুমিও একটা দাররা বানিয়ে নিও ।[ দাররা আমাদের দেশের মেকসির মত জামা বিশেষ]
কে জানে এবারের টাকাই তার জীবনের শেষ টাকা । সে আর কখনো ফিরে আসবেনা । তার ছেলে মেয়েরা তার বাবার মুখ দেখতে পাবেনা ,তার জীবন সঙ্গীকে বিধবা করে চলে গেল অপাড়ে ।এই কথা গুলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পরে ।তার কান্না দেখে নিজেকে সামলাতে পারছিলাম না ।
অপর দিকে আমাদের দেশে ভোলায় লঞ্চ ডুবিতে এ পর্যন্ত ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে । অনেকের আশা ছিল মা বাবার সঙ্গে ঈদ করবে, কিন্তু তাদের আর সে আশা সফল হয়নি, এই দুনিয়া ছেড়ে অনেকের চিরবিদায় নিতে হয়েছে ।আজ যখন খবরে চোখ রাখছিলাম হঠাৎ করে আরাব টাইমসে আমাদের দেশের খবরটা দেখে মনে খুবই দুঃখ লাগলো ।
যদিও খবরটি দুইদিন আগের ,তবু চোখের কোনা টাকে মুছে নিলাম ।
Click This Link
দোয়া করি যেন কারো এমন দূর্ঘটনায় মৃত্যু না হয়। প্রবাসে এমনকি দেশে যে যেখানেই থাকুন না কেন নিরাপদে থাকবেন ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




