somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রিকি
ছোটো প্রাণ,ছোটো ব্যথা >ছোটো ছোটো দুঃখকথা >নিতান্তই সহজ সরল >সহস্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি>তারি দু-চারিটি অশ্রুজল>নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা> নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ> অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে>শেষ হয়ে হইল না শেষ

বিরিয়ানির পরে ডেসার্ট ...ভালো তো, ভালো না---আসুন ঈদের আনন্দ ডাবল করতে চারটি ভিন্ন রেসিপির, ভিন্ন স্বাদের মুভি দেখে ফেলি :) :) :) :)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




পোস্টের শুরুতে আমার সকল ভাইয়া এবং আপুদের পবিত্র ঈদ-উল-আযহার অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। খুশি ভাগাভাগি করলে বাড়ে, দুঃখ কমে। তাহলে চলুন আমরা সবাই নিজেদের মত করে, ঈদের খুশি ডাবল, ট্রিপল করার কাজে নেমে পড়ি। ঈদের প্রথম দিনটা সাধারণত কর্মব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই যায়। দিন যেতে থাকলে কর্মব্যস্ততাটা কমে ফ্রি সময়ের একটা অবকাশ আসে। এই সময়টুকুতে এখনও আমরা পরিবার পরিজনদের সাথে অথবা বন্ধুবান্ধবদের সাথে কয়েকটা মুহূর্ত একটু নিজেদের মত করে কাটাতে পছন্দ করি। এর মধ্যে কেউ হয়ত আমরা বেড়াতে বের হয়, কেউ আড্ডা দেয়, আবার কেউ বিনোদন হিসেবে বেছে নেয় বিভিন্ন জিনিসকে তার মধ্যে নাটক, সিনেমা, ম্যাগাজিন উল্লেখযোগ্য। তাহলে চলুন আজ এই ঈদের ছুটিতে চার ঘরানার চারটি সিনেমা দেখে নেয়া যাক।

প্রথম মুভি :


"Vintery, mintery, cutery, corn,
Apple seed and applethorn;
Wire, briar, limber lock,
Three geese in a flock.
One flew east,
And one flew west,
And one flew over the cuckoo's nest."


সাল ১৯৬৩ র‍্যান্ডেল প্যাট্রিক ‘ম্যাক’ ম্যাকমার্ফি নামের একজনকে ধর্ষণের কেসে মেন্টাল ইন্সটিটিউশনে পাঠানো হয় তার মধ্যে কোন মানসিক অসঙ্গতির লক্ষণ না থাকা সত্বেও। ম্যাকমার্ফি সেখানে খেয়াল করে ইন্সটিটিউশনের অন্যান্য রুগীগুলো নার্স মাইল্ডরেড র‍্যাচেডের ভয় এবং অপশাসনে জর্জরিত। ম্যাকমার্ফি সহজেই ইন্সটিটিউশনের রুগীগুলোর বন্ধু হয়ে পড়ে এবং মেন্টাল ইন্সটিটিউশনের বাইরেও যে একটা সুন্দর পৃথিবী আছে তার সাথে তাদের সবার পরিচয় করায়। তাদের ছোট ছোট ইচ্ছাগুলো পূরণের দায়িত্ব পড়ে আধপাগল ম্যাকমার্ফির উপর। ফলশ্রুতিতে ম্যাকমার্ফি আর র‍্যাচেড একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে পড়ে এবং একসময় এর ফলস্বরূপ ম্যাকমার্ফিকে চরম মূল্য পরিশোধ করতে হয়। কি হয় ম্যাকমার্ফির সাথে? মেন্টাল ইন্সটিটিউশনের অবস্থা কি সে পরিবর্তন করতে পারে? কেন কেসির একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই মুভি আইএমডিবিতে সর্বকালের সেরা মুভিগুলোর একটি হয়ে রয়েছে। অস্কারেও এর ইতিহাস রয়েছে...মেইন ৫ টি ক্যাটেগরিতে ৫ টি অস্কার জয়ের রেকর্ড এই পর্যন্ত ৩ টি মুভির ক্ষেত্রেই ঘটেছে যার মধ্যে একটি One flew over the cuckoo's nest. র‍্যান্ডেল প্যাট্রিক ‘ম্যাক’ ম্যাকমার্ফি চরিত্রে রয়েছে বস জ্যাক নিকোলসন । এর অ্যাডাপ্টেশনে বলিউডের প্রিয়দর্শন সাহেব ‘Kyun ki’ নামের একটি মুভি তৈরী করেছিল যা নিয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন... শুধু একটা কথায় বলবো এটার ধারে কাছেও যায়নি তা !! One flew over the cuckoo's nest দেখলে কিছুটা হলেও ধারণা করা যায় কোন মেন্টাল ইন্সটিটিউশনে মানসিক রোগীর চিকিৎসার নামে কি হয়!! সুস্থ হওয়ার জায়গাতে তাদের উপর যে টর্চারের সীমা থাকে না তার জলজ্যান্ত প্রমাণ এই মুভি।পাগলের সিনেমা, পাগলদের সিনেমা বলে উপলক্ষ্য করে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। A phenomenal movie with a deep inscribed social message.





One flew over the cuckoo's nest (1975)

IMDB rating: 8.7/10
Genre: Drama
Cast: Jack Nicholson, Louise Fletcher, Michael Berryman




দ্বিতীয় মুভি :

"War always reaches the depths of horror because of idiots who perpetuate terror from generation to generation under the pretext of vengeance."

সাল ১৯৪১, প্রেক্ষাপট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ....ফ্রান্স থেকে দূরবর্তী এক ডেয়ারি ফার্মে "দ্য জিউ হান্টার" খ্যাত এসএস কর্নেল হ্যান্স ল্যান্ডা, পেরিয়ার লাপাদিতে নাম্নী এক কৃষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বাড়িতে আসে। তার সেখানে আসার উদ্দেশ্য, সেই এলাকায় বসবাসরত ইহুদি জনগোষ্ঠী নিধন।পেরিয়ারের কথোপকথনের ধরনে হ্যান্স তাকে সন্দেহ করে এবং তার বাড়ির বেজমেন্টে এক ইহুদি পরিবারের সন্ধান পায়। হ্যান্সের সশস্ত্র বাহিনীর লোকজন সঙ্গে সঙ্গে তাদের গুলি করে। কিন্তু সেই পরিবারের একটি মেয়ে বেঁচে যায় এবং পালিয়ে বাঁচতে চাইলে হ্যান্স তাকেও লক্ষ্য করে গুলি করার জন্য উদ্যত হয় কিন্তু ভাগ্যলক্ষ্মীর সহায়তায় তার বন্দুকে গুলি না থাকাতে পলায়নরত মেয়েটি বেঁচে যায়। বেঁচে যাওয়া মেয়েটির নাম স্কোসচানা। এরপরের ঘটনা ১৯৪৪ সালের....ফার্স্ট স্পেশাল সার্ভিস ফোর্স লেফটেন্যান্ট আলডো রাইন একটা স্পেশাল মিশনের জন্য ৮ জন ইহুদী আমেরিকান সৈনিককে নিয়োগ দেয় জার্মান সৈন্য নির্মূলের অঙ্গ হিসেবে। এদের সাথে আরও একজন যুক্ত হয় যার নাম হিউগো স্ট্রিগলিৎজ, যে নিজে জার্মান সার্জেন্ট হয়ে ১৩ জন গেস্টাপো অফিসারকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। শুরু হয় আলডো রাইনের তত্ত্বাবধানে ‘বাস্টার্ডস’ খ্যাত ডেয়ারডেভিল সেনাদের নাত্‍সী হত্যাযজ্ঞ।অপরদিকে স্কোসচানাও জাল বুনে নাত্‍সী হত্যার ষড়যন্ত্রের...কি হয় শেষ পর্যন্ত ?? তারা কি ইহুদি নিধনের প্রতিহিংসা স্বরূপ জার্মান বাহিনী নিধনের প্রতিশোধ নিতে সফল হয় ?পাল্প ফিকশন ,কিল বিল খ্যাত পরিচালক কোয়েন্টিন ট্যারান্টিনোর আরেকটি অনবদ্য পরিচালনার নিদর্শন এই মুভি। কোয়েন্টিন ট্যারান্টিনো একজন ভার্সেটাইল মানুষ, যারা তার সিনেমা দেখেছেন তারা জানেন তার গল্প বলার ভঙ্গি অন্য অনেকের থেকে আলাদা...অনেকটা স্যান্ড আর্টিস্টদের মত। বালুতে হাত দিয়ে এই সেই করে, সামনে পিছনে ঘুরিয়ে শেষ পর্যন্ত এক অদ্ভুত শিল্পকর্ম দাঁড় করায় এই আর্টিস্টরা...ট্যারান্টিনোও ঠিক তাই। তিনি নন-লিনিয়ার স্টোরিলাইনে মুভি এগিয়ে নিয়ে যেতে পছন্দ করেন। এই মুভিতে আমি ব্যাক্তিগতভাবে হ্যান্স ল্যান্ডা চরিত্রটিকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি.....ঠান্ডা স্বভাবের পটাসিয়াম সায়ানাইড মার্কা চরিত্র...ভিলেন বলেছে আর কাকে !!! এরপরের কাতারে আসে আলডো রাইন...জার্মান সেনাদের কপালে চাকু দিয়ে স্বস্তিকা চিহ্ণ মার্কিং আর অভিনব ভঙ্গিতে কথা বলার স্টাইল সেইইইইরকমমম ভাবে চরিত্রায়ন করেছে ব্রাড পিট। ২ঘন্টা ৩৩ মিনিটের সিনেমা এক মুহূর্ত উঠে যাওয়ার সময় দিবে না। মহান(!!) ব্যাক্তি হিটলার বলেছিলেন "যুদ্ধই জীবন,যুদ্ধই সর্বজনীন"...কিন্তু যুদ্ধের ফলস্বরূপ কি প্রভাবগুলো জন্ম নেয় সেটা বলে যাওয়ার সে সময় পেয়েছিলেন না...তার আগেই ট্যাংকারে আত্মহত্যা করেছিলেন দূর্ভাগ্যক্রমে!! বাংলাতে একটা প্রবাদ রয়েছে ঢিল মারলে পাটকেলটি খেতেই হয়...এই মুভির সারমর্ম এই কথাটার সাথে একেবারে মিলে যায়।A must watch movie for those who want something else.




Inglourious Basterds (2009)


IMDB rating: 8.3/10
Genre:War/Adventure/Drama
Cast:Brad Pitt,Mélanie Laurent,Christoph Waltz,Michael Fassbender,Eli Roth,Diane Kruger,Daniel Brühl,Til Schweiger.




তৃতীয় মুভি :

“ Real obstacles don't take you in circles. They can be overcome. Invented ones are like a maze .”

কেলার ডোভার এবং তাঁর স্ত্রী গ্রেস থাঙ্কসগিভিং অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী ফ্রাঙ্কলিন এবং নান্সি বার্চের বাসায় ডিনারে যায়। কেলারের মেয়ে অ্যানা এবং ফ্রাঙ্কলিনের মেয়ে জয় সেই সন্ধ্যায় হারিয়ে যায় খেলতে খেলতেই নিজেদের বাড়ির আঙিনা থেকে। ডিটেকটিভ ডেভিড লোকি গাড়িচালক অ্যালেক্সকে গ্রেফতার করে সন্দেহভাজন হিসেবে, কিন্তু প্রমাণের অভাবে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে পুলিশের আওতামুক্ত হওয়ার পরেও কেলার তার পিছনে লেগে থাকে...সে বিশ্বাস করে অ্যালেক্স- ই বাচ্চা দুইজনের অপহরণকারী। কেলার কোন আইনি সাহায্য ছাড়াই এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয় নিজে নিজেই। অপরদিকে ডিটেকটিভ লোকির সান্নিধ্যে আসতে থাকে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য এবং সেই এলাকার বেশ কিছু অল্প বয়সী ছেলে মেয়ের অপহরণের ঘটনাও সামনে আসে। কি পদক্ষেপ নেয় কেলার? কে দায়ী এই সব কিছুর পিছনে ? তার উদ্দেশ্যই বা কি ?? অ্যানা এবং জয়কে কি তাদের মা বাবা ফিরে পায় ? ডিটেকটিভ লোকি কতদূর যেতে পারে এই রহস্যের? ডেনিস ভিলেনেভ্যূ এর নির্দেশনায় ১৫৩ মিনিটের এই মুভি কিছুটা স্লো ধাঁচের হলেও শেষ না হওয়া অবধি থ্রিল ধরে রাখে। হিউ জ্যাকম্যানের চিরাচরিত রাগীরাগী ভাব এখানেও রয়েছে, কেলারের চরিত্রে সে যে এক হাল না ছেড়ে দাওয়া প্রতিবাদী বাবাকে তুলে ধরেছেন এক শব্দে তা অসাধারণ, আর জেক জিলেনহ্যালের চোখ পিটপিটে ঠাণ্ডা ডিটেকটিভের চরিত্রটা বাড়তি পাওনা এখানে। সিনেমাটা দেখে মনে হয়, ওর সত্যি ঘন ঘন চোখের ফেলা সমস্যা রয়েছে বাস্তবে। ‘Pray for the best, but prepare for the worst.’... গভীর রহস্যের, শীতল থ্রিলের এই মুভিটি শেষে গিয়ে অবাক করবেই করবে।



Prisoners (2013)

IMDB rating: 8.1/10
Genre:Crime/Drama/Thriller
Cast:Hugh Jackman,Jake Gyllenhaal,Viola Davis,Maria Bello,Paul Dano





চতুর্থ মুভি :

"There are more things in Heaven and Earth Horatio, than are dreamt of in your philosophy.”

সিনেমা শুরু হয় ২০১০ সালে ইরাকে এক যুদ্ধের ঘটনার মধ্যে দিয়ে, তিনজন সৈন্য গুলিবর্ষণ করতে করতে জঙ্গলের মধ্যে চলে যায় এবং সেখানে তারা একটি অন্ধকার গুহার মত অংশ আবিষ্কার করে। তাদের সাথে থাকা একজনের হেলমেটের ভিডিও ক্যামেরাতে এই পুরো ঘটনাটি রেকর্ড হয়। তারা যেতে যেতে একটি দেয়ালের কাছে গিয়ে হঠাৎ তাকিয়ে আর্তনাদ করে উঠে এবং সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকার হয়ে গেলে, ক্যামেরার ধারণকৃত ভিডিওতে আর কিছু দেখা যায় না। এরপরের ঘটনা ২০১৩ সালে ব্রনক্সের, এনওইয়াইপিডি অফিসার রাল্ফ সার্চি একটা বদ্ধ অ্যালেতে একটি নবজাত শিশুর লাশ খুঁজে পায়। সে এবং তার পার্টনার বাটলার ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পথে রেডিওতে একটা ডোমেস্টিক ডিস্টার্বেন্সের ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায়। সার্চি ঠিকানা খুঁজে বের করতে গিয়ে দেখে এই লোকটি সেই ইরাক থেকে ফেরত আসা তিন সৈন্যের একজন। সৈন্যটির নাম জিমি ট্রাটনার যে বলে তাদের বাড়িতে কোন সমস্যা নাই এবং তার স্ত্রী ঠিকঠাক আছে। কিন্তু সহধর্মিণীটি নত হয়ে থাকা মাথা উঠালে তারা উভয়েই দেখতে পায় তাকে খুব খারাপভাবে প্রহার করা হয়েছে। তারা খেয়াল করে মেঝেতে কিছু খামচানোর চিহ্নও রয়েছে। তারা জিমিকে গ্রেফতার করার জন্য প্রস্তুত হলে, সে তাদের চাকু দেখিয়ে লুকিয়ে পড়ে। সার্চি তারপরেও তাকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করার পর দেখে তার হাতের নখগুলো ভাঙ্গা এবং সেখানে রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। তারা ধারণা করে, হয় সে মানসিকভাবে অসুস্থ অথবা সে নেশাসক্ত। কিন্তু সেই বাড়ির কিছু জিনিস তাদের দুইজনের কাছেই স্বাভাবিক বলে মনে হয় না। এই ঘটনার দুই তিন দিন পরে, সার্চি এবং বাটলারের কাছে একটি কেস আসে যেখানে একটি মহিলা তার সদ্য হাঁটতে শেখা বাচ্চাকে বিনা কারণে ব্রনক্স চিড়িয়াখানায় সিংহের খাঁচার ভিতরে ফেলে দেয়। তারা মহিলাটিকে একটি ঝোপের কাছে পায়। এদিকে সার্চি সিংহের খাঁচায় একজন রহস্যময় পেইন্টারকেও পায় যে দেয়ালে কিছু একটা অন্ধকারে আঁকছিল এবং তড়িঘড়ি চোখের সামনে সে সিংহের আক্রমণে মারাও যায়। মহিলাটির পরিচয় খুঁজতে গেলে মেলে, তার নাম জেন ক্রেনা, যাকে একটা মেন্টাল হেলথ ফ্যাসিলিটিতে পাঠানো হয়। তার পরিবারের অনুরোধে জেনকে সেখানে দেখতে যায় পাদ্রী মেনডোজা এবং সেখানে অনেক কিছুই সে অস্বাভাবিক দেখতে পায়। এরপর সার্চি আরও একটি পরিবার থেকে ফোন পায়, যেখানে পরিবারটির প্রত্যেক সদস্য বেশ কিছুদিন যাবত অস্বাভাবিক কিছু ঘটার কথা জানায় এবং এও বলে তারা ভয়ে একসাথে ড্রয়িং রুমে অবস্থান করছে দুইদিন ধরে। স্বাভাবিক জীবনের অস্বাভাবিকত্বের শুরুটা এখানেই। মানুষগুলোর মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার পিছনে লোমহর্ষক কারণটা কি? শহুরে জীবনে হানা দিতে চলে কোন অশনি সংকেত? সিনেমার সব থেকে উল্লেখযোগ্য দিক, এটার বাস্তব ঘটনা... বেসড অন ট্রু ফ্যাক্টস ট্যাগলাইন। ইন্সপেক্টর সার্চি কোন কাল্পনিক চরিত্র নয়। তারই লেখা বই থেকে এর চিত্রনাট্য তৈরি করা হয়েছে। সার্চি এবং মেনডোজার জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতাই এই সিনেমার প্রেক্ষাপট। অনেকে এতে ভয়ের কিছুই পাবে না, আবার অনেক কিছুই পাবে...হরর সিনেমাতে সাধারণত সম্মুখদিকে বা আশেপাশে খেয়াল করতে হয়, এই বুঝি উল্টাপাল্টা কিছু আসলো। এটা কোথায় থেকে আসবে, সেটা আর বলে দিলাম না...ঐ ঘটনাতে আমি সব থেকে ভয় পেয়েছিলাম, মনে আছে!!! আমার মতে, হরর সিনেমাকে হরর কোয়ালিটি দেয় তার ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর, যতটা না কাহিনীতে এর ভয়াবহ কিছু থাকে। এটার ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরও হতাশ করবে না।সিনিস্টার, দ্য এক্সোরসিজম অফ এমিলি রোজ খ্যাত স্কট ডেরিকশনের নির্দেশনায় এই সিনেমা যেন তেন হরর না, বরং কিছুটা ভিন্ন অন্যান্যদের থেকে। হররের সাথে কোন একটা সাধারণ বার্তাও অপেক্ষা করে আছে সিনেমাটিতে। The treat of real horror waiting for you.



Deliver us from Evil (2014)

IMDB rating: 6.3/10
Genre:Horror/Thriller
Cast: Eric Bana,Édgar Ramírez,Olivia Munn,Sean Harris, Joel McHale




**** এই লেখা সম্পূর্ণ রূপে আমার… পূর্বের কোন লেখার সাথে মিলে গেলে তা একান্তই co-incidence….no resemblance. আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে !!!! Happy Movie Watching !!! !:#P !:#P !:#P !:#P !:#P


সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬
৪০টি মন্তব্য ৪০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×