তমাল বিল মিটিয়ে বেরিয়ে আসে,পিছু পিছু জয়ও।কিছুটা হেটে একটা রিকসায় চেপে বসে ওরা।
বকছে মাতালটা কারো তোয়াক্কা না করে, গাড়ি চালিয়ে নিজে মরতে পারি কিন্তু তোকে মেরে তোর বউর ঝাটা পেটা কে খাবে?? আমি মরে গেলে কারো কিচ্ছু আসবে যাবেনা। জলি কাঁদবে না রে? হ্যা, অনেক কাদবে।
একটু অসোয়াস্তি হচ্ছিল মাতালটার সাথে হাটতে কিন্তু কি আর করা, কলেজের বন্ধুতো।আনমনে বকে যাচ্ছে তমাল কেউ শুনুক আর না শুনুক,কিচ্ছু এসে যায়না।এদের জীবন ব্যবস্থার মূল অসঙ্গতিটা খোজে জয়।কখোনো ভেবে পায় আবার পরক্ষনে গুলিয়ে যায়।ধনির ছেলে, ছোটবেলা থেকেই টাকার উপর চলাফেরা।ক্লাস এইটে প্রথম মুভি দেখা,নাইনে উঠেই সিগারেটে ২-১ টা টান, এস এস সি পাস করলো তো মস্ত কিছু হয়ে গেল। সিগারেট মদ নাকি এদের জন্য আধুনিকতা, মেয়েদের সর্বনাশ করা নাকি সূক্ষ শিল্প। আবার বউকে বলে সান অব বিচ্, পরক্ষনেই ভালবাসার কথা।
এ জীবন বাস্তবতার সাথে পরিপূরক কিন্তু সাতন্ত্র। আলাদা ছন্দ আছে এই জীবনের। বাস্তবতার যে সংজ্ঞা, যে গতিতে জীবনের চলা তার সাথে ঐ জীবনটা অসম, সঙ্গতীহীন।
আবার ওরা যেটা ভোগ করে বা কাটায় সেটা ওদের কাছে সাভাবিক জীবন। অবশেষে জয় ভেবে পেল যে দুটি জীবনই সমান্তরাল ভাবে চলে, কখোনো মেলেনা বিধায় পার্থক্য কারো চোখে পরেনা।
রিকসাওয়ালাকে একটা রেস্টুরেন্টের সামনে থামায় তমাল। ভাড়া মিটিয়ে জয় কে নিয়ে ঢুকে পরে।চোখের ইশারায় ডাকতে হয়না,ওয়েটার রা টিপস্ পার্টি চেনে, দৌড়ে আসে মেনু হাতে।কিছু খাবার অর্ডার করে চুপচাপ বসে দুজন, নিশব্দ। এতক্ষনে কথার ভান্ডার খালি হয়ে গেছে মাতালটার, আর জয় কি যেন ভাবছে আনমনে।
মিতু'র খবর জানিস কিছু? (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




