somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নীলাকাশের শূণ্যতা (২৩)

০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হাসানের সাথে আর কোন যোগাযোগ নেই মোহনার। মোহনা জানে না হাসান কেমন আছে, কোথায় আছে। অসহ্য কষ্টের মাঝে মোহনা বার বার ভেংগে পড়ে, আবার নিজেই নিজেকে গড়ে তোলে। তার অবিরাম চেষ্টা নিজেকে ৩ মাস আগে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার। এই ৩ মাসে হাসানের ফ্যামিলির সাথে মোহনার আর মোহনার ফ্যামিলির সাথে হাসানের একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাঝে হাসানের বোন তুলির সাথে কথা হয় মোহনার। মোহনা ভাবে, যত সমস্যা হাসানের সাথে, কিন্তু তুলি আর হাসনের মা এর সাথে যে সম্পর্ক হয়েছে তাতে তো কোন সমস্যা নেই। মোহনা বিশ্বাস করে, কারো সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠলে সেটাকে টিকিয়ে রাখা উচিৎ। মোহনার মা মাঝে মাঝে হাসানের কথা জানতে চায় মোহনার কাছে। মোহনা বলে, হাসান ভালো আছে। মোহনা কখনো বলে না হাসানের সাথে তার কোন যোগাযোগ নাই। একদিন মোহনার মা মোহনাকে ফোন করে বললো, হাসান আগে তার সাথে প্রায়ই কথা বলতো, এখন আর ফোন করে না। হাসান ভালো আছে তো? উনার খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে কারন বিডিআর বিদ্রোহের পর আর্মি অফিসারদের ভেতরে কি হচ্ছে, এসব নিয়ে বাইরে অনেক ধরনের গুজব শোনা যাচ্ছে। মোহনার মা আরো বললেন, উনি কয়েকবার হাসানকে ফোন করেছেন, কিন্তু হাসান ফোন ধরে না। এসব কথা শুনে মোহনারও খুব দুশ্চিন্তা শুরু হলো হাসানের জন্য। হাসান কি কোন বিপদে আছে? মোহনা হাসানের ছোট বোন তুলি কে ফোন দিল। তুলির স্বাভাবিক হাস্যোজ্জল কথা শুনেই মোহনা বুঝতে পারলো, হাসান ভালো আছে। কিছুখন কথা বলার পর মোহনা হাসানের কথা জানতে চাইল, সে কেমন আছে। তুলি বললো, ভাইয়ার তো বিয়ে, আপনি জানেন না? ভাইয়া আপনাকে কিছু বলে নি? মোহনা খুব অবাক হয়ে জানতে চাইল, তাই নাকি? না, আমি জানি না তো। কবে বিয়ে? কার সাথে বিয়ে? তুলি হঠাৎ করে কিছু একটা ভেবে কথা উলটে ফেললো। বললো, না, বিয়ে এখনো ঠিক হয়নি, মেয়ে দেখা হচ্ছে। এরকম মেয়ে দেখা তো প্রতি মাসেই হয়। কোন কিছু ঠিক হলে আমি আপনাকে জানাবো।
মোহনার বুঝতে বাকি রইল না, হাসানের বিয়ে পুরোপুরি ঠিক হয়ে গেছে। মোহনার খুব অবাক লাগছে। বুকের ভেতরটা কেন যেন হাহাকার করে উঠলো। এ কিসের কষ্ট? মোহনা তো এটাই চেয়েছিল। ৩ মাস ধরে মোহনা হাসানকে একটা কথাই বুঝিয়েছে, একটা জিনিসই চেয়েছে আর সেটা হলো, হাসান যেন বিয়ে করে সংসারি হয়। এত দিনে মোহনার সেই ইচ্ছা পূরন হতে যাচ্ছে। মোহনা নিজেকে বুঝালো, আজ তোমার আনন্দর দিন মোহনা।
হঠাৎ করে মনে হলো, হাসানের কাছে মোহনার অনেক ছবি আছে, আর ইয়াহুতে যত চ্যাটিং করেছে, সব গুলো সেভ করা আছে হাসনের কাছে। মোহনা ভাবলো, হাসান নতুন জীবন শুরু করছে যাচ্ছে। মোহনার স্মৃতি গুলো হাসানের কাছে থেকে সরিয়ে নেয়া দরকার, কারন হাসান বলেছিল, হাসানের কাছে মোহনার যা কিছু আছে সেগুলো সারাজীবন যত্ন করে রাখবে। এবার মোহনাকে শেষ অভিনয় টা করতে হবে হাসানের সাথে। মোহনা হাসানকে ফোন দিল। কিন্তু নাহ, হাসান ফোন ধরে না। এবার একটাই উপায় মোহনার, হাসানকে ইমেইল করা। মোহনা হাসানকে লিখলো,
"তোমার কি ধারনা, আমি তোমার সাথে প্রেমালাপ করার জন্য কল করেছিলাম? তুমি নিজেকে কি মনে করো? নিজেকে এতোটা important ভাবার কি আছে? তোমার সাথে contact করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমার নেই। তুমি একদিন বলেছিলে, “u were a nightmare in my life”. Its 100% true. তাই আমি চাইনা তোমাকে মনে করতে। তোমার কনো ছায়া আমার জীবনে পড়ুক, এটা আমি চাইনা। আমি তোমাকে কল করেছিলাম শুধু একটা কথা জানার জন্য, তোমাকে এই অধিকার কে দিয়েছে যে তুমি আমার আম্মুকে অপমান করো? ছিঃ হাসান, তুমি এত নীচ আমি বুঝতেও পারি নি। আমি জানতামনা আম্মু তোমাকে কল করে, জানলে অনেক আগেই নিষেধ করতাম।
Sorry হাসান, আমার ফ্যামিলির লোকজন তোমাকে অনেক বিরক্ত করেছে, আমি তোমার ২ পা ধরে ক্ষমা চাইছি। আমি আমার বাসার সবাইকে নিষেধ করেছি, তোমার সাথে আর যোগাযোগ করবে না।
তোমার আর আমার মাঝে অনেক পার্থক্য আছে। আমি নিজেকে মানুষ মনে করি কিন্তু আমার মনে হয়না তোমার মধ্যে কোন মনুষত্ববোধ আছে। আর আমি জানি কোন রিলেশন create হলে সেটা কিভাবে maintain করতে হয়। তাই তুমি যা পারো, আমি তা পারি না, I know how to respect the relations,
আমি চাইনা, তোমার কাছে আমার বিন্দু পরিমান কিছু থাক। Not a single substance, আশা করি তুমি বুঝতে পারছ, আমি কি বলতে চাইছি। I m very happy becoz I could pick “NO”.

bye"

কিছুখন পর হাসান রিপ্লাই করলো, "if you dont know anything, dont argue, I send a sms to aunty. whatever, its for your understanding, because you can think a lot, I was in BDR investigation when she was calling. ask my mom, how many times could I call her last 7 days."

আর কোন রিপ্লাই মোহনা করলো না, বির বির করে শুধু বললো, আমি জানি হাসান, তুমি অনেক ভালো একটা ছেলে। তুমি অনেক সুখী হও।



সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:২২
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×