তিন গ্রাম পরের গ্রামে যখন আর্মি আইলো, মুদি দোকানদার আসগরের সামনে উপায় আছিল দুইখান- পলাইয়া যাওন আর ঘুইরা দাঁড়ান। সন্ধ্যার মইধ্যেই যখন মিলিটারি আইয়া পড়লো আসগর আর দেরী করনের রিস্ক নেয় নাই; ১৪ বছরের মাইয়া, বউ আর বুড়া মায়েরে লইয়া ডাইরেক্ট ইন্ডিয়ার রাস্তা ধরল।
শরনার্থী শিবিরে ৩দিন যাইতেই মন ঠিক করল, আধা-পেটা খাইয়া পোকের মতোন বাইচা লাভ নাই। ৩০ দিনের মাথায় ফেতর আসলো নিজের গ্রামে। উড়াইয়া দিল গ্রামে ঢুকন-বাইর হওনের মুখে খালের উপরে যেই কালভার্টখান আছে সেইটা। থামল না। আর্মি ক্যাম্প এ্যাটাক কইরা মারলো ২ ডজন আর্মি, আধ ডজন রাজাকার। কমান্ডারের পিছে পিছে ঘুইরা ঘুইরা খায়া-নাখায়া লড়তে থাকলো।
যুদ্ধ থামলো, জিতলো আসগর, ফিরায়া আনলো মা-বউ-কন্যা। আবার খুললো ছোট্ট দোকানের ঝাপ।
বল্গারগন বাঁচতে চাও?