গত্কাল ০১ এপ্রিল ২০০৯ বুধবার সংসদে পাশ হওয়া সিলেট মহানগরী পুলিশ বিল ২০০৯ ও বরিশাল মহানগরী পুলিশ বিল ২০০৯ নি:সন্দেহে একটি সাহসী পদক্ষেপ। বর্তমানে বাংলাদেশে বিশেষকরে ঢাকা শহরের রাস্থায় পথচারী হিসাবে প্রায় সবসময়েই ভিক্ষার নামে কিছু বিভৎস মানুষ চোখে পড়ে। বিভিন্ন উৎস থেকে জানা যায় যে এসব মানুষকে কিছু মানুষরূপী দালালগন নিজ ইনকামের উৎস হিসাবে ব্যাবহার করে থাকে। এই সংশ্লিষ্ট কিছু কিছু দৃশ্য প্রয়শই আমাদের সামাজিক বিবেককে দুমড়েমুচড়ে দেয়, প্রয়শই দেখাযায় ছোট্ট শিশুটিকে প্রখর রোদ্রে শুইয়ে রখা হয়েছে। যেকোনও সময়ে ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।শুধুমাত্র টাকা আয়ের উদ্দেশ্যে পথচারির অনুকম্পা লাভের আশায় একটি মানব সন্তানের মৌলিক অধিকারকে ব্যাবহার করা হচ্ছে। ইচ্ছা করেই ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে একটি মানুষের হাত, পা, কেটে চিড়ে দেওয়া হয় শরীরের বিভিন্ন অংশ। এরুপ কর্মকাণ্ড মোটেও স্বাভবিক নয়। সরকারের এই বিল মানুষরূপী ঐসব হায়েনাদের কর্মকান্ড প্রতিরোধে কার্যকর হবে। পত্রিকা মাধ্যমে জানা যায় আইনটি সিলেট ও বরিশাল নগরীর জন্য তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এই আইনের প্রয়োজনীয়তা ঢাকা ও চট্রগ্রামের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী।
আইনটিতে যা রাখা হয়েছে:
* কোন ব্যক্তি রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহৃত স্থানে ভিক্ষা করলে অথবা জনসাধারণের মনে দয়ার উদ্রেক করে ভিক্ষা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে দেহের কোন ঘা, জখম, অসুস্থতা বা বিকলাঙ্গতা প্রদর্শন করলে তিনি এক মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
* রাস্তা বা এর পাশে প্রস্রাব ও মলত্যাগ করার জন্য বিধান রাখা হয়েছে ৫০০ টাকার অর্থদণ্ড।
* কর্তৃপক্ষীয় নোটিশ অমান্য করে কেউ ধূমপান করলে বা থুথু ফেললে তিনশ টাকার(৩০০/-) অর্থদণ্ড হবে।
এই আইনের প্রয়োগে সরকারকে অত্যন্ত সচেতন হতে হবে। কেননা আমাদের অনুন্নত অর্থনৈতিক ব্যাবস্থায় বাস্তবিক অর্থেই এরুপ লোক রয়েছে যারা কিনা এক বেলা খেতে পায়না। পেটের জ্বালায় অথবা চিকিৎসার টাকা সংগ্রহে বেছে নিয়েছে ভিক্ষাবৃত্তি। এই আইনের প্রয়োগে এইরুপ ব্যক্তিরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেদিকে সচেতন দৃষ্টি রাখতে হবে।
কেননা ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত ব্যক্তির অবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায়ভার রাষ্ট্রে উপর ও বর্তায়।
সারোয়ার হোসাইন
০১৭১২৯০৯৭৪১
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




