সার্কাস
গলায় ঝুলতেছে তাবিজ বাঁধা কালো কাইতন
প্রেতাত্মার অদৃশ্য রশিতে বাঁধা ফর্সা বাহুতে
সরু কেঁচোর মালা দুই টুকরা কালো সাপ
আর তুমি নাচতেছ বেহুদা ভঙ্গিমায়!
সার্কাস তাঁবুর বাইরে মুষলধারে কাঠবৃষ্টি
ভিতরে ভিতরে ভিজতেছ দুর্গন্ধযুক্ত ঘামে
অশ্লীল কৌতুকের উপর দাঁড়িয়ে বামন ভাঁড়েরা
খুলে নিতেছে প্রিন্টের নকশা করা অর্ন্তবাস
হাডুডু খেলার ঢংয়ে তোমার কোমর পেচিয়ে
লম্বা দাঁত বের করে হাসতেছে হাতির শুর
টিকিট কাউন্টারে তখন দর্শকের অজগর লাইন।
ছিলে সংসারদায়গ্রস্থ প্রিয় বেশ্যা
শয্যায় পড়ে থাকতো দলা দলা মাংসের স্তুপ
আজ এই সার্কাস রঙ্গ দেখাতে এসে
ভেঙে দিয়েছো সব বরফ কলের শীতনিদ্রা
জেগে জেগে তাই পাড়ি দিতেছ দীর্ঘ ঘুমের নদী।
নাভির দিকে তাক করেছে যারা অসংখ্য জিহবা
যারা শিস দিতেছে, যারা হাততালি দিতেছে
নাক টেনে তারা শুষে নিতেছে বিষাক্ত পারফিউম।
বাতিঘর
বাতিঘরে যে আলো উড়ছে
দূরগামী জাহাজের লেজ
গোলাকার সমূদ্রের
ঢেউয়ে ঢেউয়ে
তার কিছু জন্ম রেখে গেছে
দীর্ঘতম বালুগাড়ি
জলজ কচ্ছপের মাথায়
গেঁথে দিলো যেন
বড়শির সুক্ষ্ণতায়
পর্যটকের ফেলে যাওয়া ছিপ
তারপর বয়স্ক হাওয়ার সুনামী
শিশুর দূর্বোধ্য গান
প্রশ্নবিদ্ধ করে গেলো।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১২ বিকাল ৪:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





