
বাংলাদেশে শাহরুখ দীপিকা অভিনীত পাঠান চলচ্চিত্রটি সাফটা চুক্তির আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। সবকিছুই ঠিকঠাক থাকলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশেও আলোচিত এই সিনেমাটি মুক্তি পেতে পারে। মঙ্গলবার দুপুর ৩ টায় এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে মিটিং রয়েছে। সেই মিটিংয়ে নিশ্চিত হতে পারে পাঠান বাংলাদেশে মুক্তি পাবে কি না। যদি মিটিংয়ে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায় তাহলে এই ছবি সাফটা চুক্তির নীতিমালা অনুসারে ভারতে মুক্তির দুইদিন পরে বাংলাদেশে মুক্তি পাবে।পাঠান সিনেমার মুক্তি নিয়ে দুই রকম মতবাদ পাওয়া যাচ্ছে এক গ্রূপ খুশি তারা সাদরে গ্রহণ করছেন এবং পুরো পরিবার নিয়ে হলে যেয়ে পাঠান মুভি দেখার বিষয়ে খুবই আগ্রহী আরেক গ্রূপ বলছে এতে করে বাংলা সিনেমা ক্ষতিগ্রস্থ হবে হলের মালিকরা বাংলা সিনেমা নামায় দিবে এবং পাঠান এর শো টাইম বারায় দিবে। অথবা গুণগত মান এর বিবেচনায় বাংলা সিনেমা মাইর খায়া যাবে।পাঠান বা হিন্দি সিনেমার পাশে বাংলা সিনেমা টিকাই সম্ভব না। আমি অবশ্য পাঠান সিনেমা চালানোর পক্ষে বা বিপক্ষে মতামত দেবার আগে যুক্তি দিয়ে সার্বিক বিষয়ে বিশ্লেষণ করতে চাই। বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশের সিনেমা এখন লাইফ সাপোর্টে আছে। দুই-তিনটি সিনেমা ভালো চললে তো আর সিনেমা হল টিকানো যাবে না। সাদা কালো যুগ পরবর্তী নব্বই দশকে দেশে হলের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৩৫টির মতো। এমনকি ১৯৯৮ সালেও বাংলাদেশে চালু সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল প্রায় ২৬০টি। বিশেষ দিনে সেই সংখ্যা বেড়ে ৩০০টি অতিক্রম করত। কিন্তু ২০০০ সালের পরবর্তী সময়ে এসে দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা কমে সচল সিনেমা হলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬০ টি ! দেশে ২৫টির অধিক জেলায় এখন আর কোনও সিনেমা হল নেই। আর এভাবে যদি দিন দিন হল সংখ্যা কমতে থাকে তাহলে হয়তো এ দেশে আর সিনেমা হলেই থাকবে না। এখন সিনেমা হল থেকে হল মালিকরা লাভবান হতে পারছেন না। তাই অনেকে হল ভেঙে মার্কেট বানাচ্ছেন বা অন্য ব্যবসা করছেন এটাই বাস্তবতা। ভালো সিনেমা নির্মাণ না হওয়ার কারণে দিনদিন সিনেমা হল কমে যাচ্ছে। কেউ আবার বলছেন, হল নেই বলেই সিনেমার ব্যবসা খারাপ। তাই ভালো সিনেমাও নির্মিত হচ্ছে না।প্রতিযোগিতা বাড়লে সিনেমার মান ভালো হবে। সাথে হল গুলো বেচে উঠবে। বাংলাদেশে সিনেমার যা অবস্থা তাতে সামনে সিনেপ্লেক্স ছাড়া আর কোন হলই থাকবে না। তাই সকল ভাষার ভালো ছবি মুক্তি দিলে হয় তো অবস্থার উন্নতি হবে খালি হিন্দি ছবি কেনো এখন তো অনেক ইরানি ছবি তামিল ছবি হিট হচ্ছে সেই গুলো আনলে হয়তো অল্প যেই কয়টা সিনেমা হল আছে তা টিকায় রাখা সম্ভব হবে। আর তা না হইলে তো ভবিষ্যতে বাংলা সিনেমা দেখানোর জন্য কোনো হলই অবশিষ্ট থাকবে না। অনেকে আবার কিছু না বুইঝাই কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় নেমে পরবে তাদের কাজের পিছনে যুক্তি খুইজা পাওয়া যায় না।ভালো মানের যে কোনো দেশের যে কোনো ভাষার সিনেমা দেখানো গেলে হয় তো আবার সিনেমা হলের সংখ্যা ৫০ থেকে বেড়ে ৩০০ হয়ে যাবে। তখন বাংলাদেশেও অনেক প্রযোজক বেশি টাকা লগ্নি করে ভালো সিনেমা বানাবে। কারণ তখন তারা ভাববে ৩০০ হলে তার সিনেমা মুক্তি পাবে। সরকার এটা নিয়ম করে দিতে পারে মাসের ৪ সপ্তাহের মধ্যে একসপ্তাহ ভারতীয় সিনেমা আর তিন সপ্তাহ বাংলাদেশের সিনেমা চালাতে হবে। তাহলেই হলের মালিকেরাও ব্যবসা করতে পারবে, সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলা সিনেমাও এগিয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



