somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শিশির খান ১৪
সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

পাঠান’ বাংলাদেশের সিনেমা হলে মুক্তি পেতে পারে,

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বাংলাদেশে শাহরুখ দীপিকা অভিনীত পাঠান চলচ্চিত্রটি সাফটা চুক্তির আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। সবকিছুই ঠিকঠাক থাকলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশেও আলোচিত এই সিনেমাটি মুক্তি পেতে পারে। মঙ্গলবার দুপুর ৩ টায় এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে মিটিং রয়েছে। সেই মিটিংয়ে নিশ্চিত হতে পারে পাঠান বাংলাদেশে মুক্তি পাবে কি না। যদি মিটিংয়ে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায় তাহলে এই ছবি সাফটা চুক্তির নীতিমালা অনুসারে ভারতে মুক্তির দুইদিন পরে বাংলাদেশে মুক্তি পাবে।পাঠান সিনেমার মুক্তি নিয়ে দুই রকম মতবাদ পাওয়া যাচ্ছে এক গ্রূপ খুশি তারা সাদরে গ্রহণ করছেন এবং পুরো পরিবার নিয়ে হলে যেয়ে পাঠান মুভি দেখার বিষয়ে খুবই আগ্রহী আরেক গ্রূপ বলছে এতে করে বাংলা সিনেমা ক্ষতিগ্রস্থ হবে হলের মালিকরা বাংলা সিনেমা নামায় দিবে এবং পাঠান এর শো টাইম বারায় দিবে। অথবা গুণগত মান এর বিবেচনায় বাংলা সিনেমা মাইর খায়া যাবে।পাঠান বা হিন্দি সিনেমার পাশে বাংলা সিনেমা টিকাই সম্ভব না। আমি অবশ্য পাঠান সিনেমা চালানোর পক্ষে বা বিপক্ষে মতামত দেবার আগে যুক্তি দিয়ে সার্বিক বিষয়ে বিশ্লেষণ করতে চাই। বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশের সিনেমা এখন লাইফ সাপোর্টে আছে। দুই-তিনটি সিনেমা ভালো চললে তো আর সিনেমা হল টিকানো যাবে না। সাদা কালো যুগ পরবর্তী নব্বই দশকে দেশে হলের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৩৫টির মতো। এমনকি ১৯৯৮ সালেও বাংলাদেশে চালু সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল প্রায় ২৬০টি। বিশেষ দিনে সেই সংখ্যা বেড়ে ৩০০টি অতিক্রম করত। কিন্তু ২০০০ সালের পরবর্তী সময়ে এসে দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা কমে সচল সিনেমা হলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬০ টি ! দেশে ২৫টির অধিক জেলায় এখন আর কোনও সিনেমা হল নেই। আর এভাবে যদি দিন দিন হল সংখ্যা কমতে থাকে তাহলে হয়তো এ দেশে আর সিনেমা হলেই থাকবে না। এখন সিনেমা হল থেকে হল মালিকরা লাভবান হতে পারছেন না। তাই অনেকে হল ভেঙে মার্কেট বানাচ্ছেন বা অন্য ব্যবসা করছেন এটাই বাস্তবতা। ভালো সিনেমা নির্মাণ না হওয়ার কারণে দিনদিন সিনেমা হল কমে যাচ্ছে। কেউ আবার বলছেন, হল নেই বলেই সিনেমার ব্যবসা খারাপ। তাই ভালো সিনেমাও নির্মিত হচ্ছে না।প্রতিযোগিতা বাড়লে সিনেমার মান ভালো হবে। সাথে হল গুলো বেচে উঠবে। বাংলাদেশে সিনেমার যা অবস্থা তাতে সামনে সিনেপ্লেক্স ছাড়া আর কোন হলই থাকবে না। তাই সকল ভাষার ভালো ছবি মুক্তি দিলে হয় তো অবস্থার উন্নতি হবে খালি হিন্দি ছবি কেনো এখন তো অনেক ইরানি ছবি তামিল ছবি হিট হচ্ছে সেই গুলো আনলে হয়তো অল্প যেই কয়টা সিনেমা হল আছে তা টিকায় রাখা সম্ভব হবে। আর তা না হইলে তো ভবিষ্যতে বাংলা সিনেমা দেখানোর জন্য কোনো হলই অবশিষ্ট থাকবে না। অনেকে আবার কিছু না বুইঝাই কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় নেমে পরবে তাদের কাজের পিছনে যুক্তি খুইজা পাওয়া যায় না।ভালো মানের যে কোনো দেশের যে কোনো ভাষার সিনেমা দেখানো গেলে হয় তো আবার সিনেমা হলের সংখ্যা ৫০ থেকে বেড়ে ৩০০ হয়ে যাবে। তখন বাংলাদেশেও অনেক প্রযোজক বেশি টাকা লগ্নি করে ভালো সিনেমা বানাবে। কারণ তখন তারা ভাববে ৩০০ হলে তার সিনেমা মুক্তি পাবে। সরকার এটা নিয়ম করে দিতে পারে মাসের ৪ সপ্তাহের মধ্যে একসপ্তাহ ভারতীয় সিনেমা আর তিন সপ্তাহ বাংলাদেশের সিনেমা চালাতে হবে। তাহলেই হলের মালিকেরাও ব্যবসা করতে পারবে, সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলা সিনেমাও এগিয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:১৫
১৯টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×