somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শিশির খান ১৪
সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

বিএনপি স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ এর জন্য ওকালতি করছে কেন ?

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা বি এন পি অফিসে যেয়ে নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। খবরটা শুনেই কেমন জানি খটকা লাগলো নিশ্চই নতুন কোনো ষড়যন্তের ছোক একেছে ভারত। কুকুরের লেজ কখনো সোজা হয় না ভারত এতো সহজে নতুন বাংলাদেশকে মেনে নিবে না। রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাতের পর মির্জা ফখরুলের কথার ধরণ পালটে গেছে।মনে হচ্ছে বি এন পি নেতারা আবারো ভারতের ফাদে পা দিয়েছে।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেন :”ভারতের হাইকমিশনার এ সময়ে আমাদের অফিসে এসে সাক্ষাৎ করেছেন। অবশ্যই এতে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বরফ গলতে শুরু করেছে।” এতো সহজে বরফ গললে তো মুশকিল এমনেই গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে এন্টারটিকার বরফ গলে সমুদ্রে পানির স্তরের উচ্চতা বাড়ছে । পানির কথা বলায় মনে হলো ভারতের টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার কারণে সিলেটের বি এন পি নেতা ইলিয়াস গুম হয়েছিলো সেটা নিশ্চই মির্জা ফখরুল ও তার দলের নেতারা রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাতের সময় ভুলে যাননি।

বি এন পি ক্ষমতায় গেলে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বাংলাদেশের সীমানা ব্যবহার করতে পারবে না এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছে নেতারা।অন্যদিকে ছাত্র আন্দোলনে গুলির নির্দেশদাতা তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কলকাতার ইকো পার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছে ।পনেরোশো মানুষের হত্যা মামলার অন্যতম মূল আসামি কি করে বুক ফুলিয়ে ভারতের মাটিত ঘুরে বেড়ায় সে বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া উচিত ছিলো বি এন পি নেতাদের ।

কিছু দিন আগে এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন ওয়ান ইলেভেন এর মতো মাইনাস টু ফর্মুলা বি এন পি দেখতে চায় না। কি অদ্ভুত বি এন পি নেতারা এখন আওয়ামীলীগ এর পক্ষে ওকালতিতে নেমেছে অন্য দিকে স্বৈরাচারী নেত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের জন্য বিএনপির সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক তারা। বি এন পি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার ভাষণে প্রতি হিংসা পরায়ণ না হয়ে সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন সে জন্য জয় তার প্রশংসা করেন। কি বুঝলেন চোরে চোরে মাসতুতো ভাই ,স্বার্থের দ্বন্দে আওয়ামীলীগ বি এন পি এক।

বর্তমানে বাংলাদেশে মন্ত্রীর ছেলে মন্ত্রী হয় ,সাংসদ সদস্যের ছেলে সাংসদ সদস্য হয় ,মেয়র এর ছেলে মেয়র হয় এটা জমিদারি প্রথা এখানে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। আওয়ামীলীগ পাবলিকের মাইর খায়া বুঝতে পারছে টানা সতেরো বছরের জমিদারি শাসনের সমাপ্তি হয়েছে। এখন বি এন পি কে জমিদারি সামলানোর সুযোগ দিয়েছে আওয়ামীলীগ। এভাবেই আওয়ামীলীগ ও বি এন পি পালা বদল করে জমিদারি প্রথা চালু রাখবে তাও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতে দিবে না। বি এন পি নেতারা মুখে যতোই রাজনৈতিক সংস্কারের কথা বলুক মনে প্রাণে সহ্স্কার চায় না। তারা জানে সংস্কার হলে জমিদারি প্রথার সমাপ্তি হবে। সে জন্য বি এন পি নেতারা ইদানিং বলা শুরু করছে সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ না এটা নির্বাচিত সরকারের কাজ।

মির্জা ফখরুল বলেন আমরা আবার মৌলবাদ জঙ্গিবাদ দেখতে চাই না। আমার মনে হয় শতকরা সত্তুর ভাগ লোক উনার কথার সাথে এক মত হবে। কিন্তু উনি যেভাবে সংস্কার কাজে বাধা দিয়ে যাচ্ছেন তাতে একটা সময় মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিবে।তখন বাদ্ধ হয়ে জামাত কে সাপোর্ট দেওয়া ছাড়া মানুষের আর কোনো উপায় থাকবে না। মির্জা ফখরুল নিজেও জামাত ইস্যু নিয়ে শংকিত বিধায় মৌলবাদ ইস্যু সামনে এনেছেন ।ভাগ্য ভালো ইসলামিক দলগুলো একসাথে হয় নাই। যদি ইসলামী দলগুলো একত্রে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিতো তে হইলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অফিসে তালা দেওয়া লাগাতে ।

দ্রুত নির্বাচনে না দিলে মির্জা ফখরুল আবার আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন । গত পনেরো বছরে কে কি আন্দোলন করছে সেটা দেশের জনগণ দেখছে অযথা ফাঁকা আয়াজ দিয়া নিজেকে হালকা বানানোর তো কোনো প্রয়োজন দেখি না । এটা ছিলো সারা দেশের গণ মানুষের আন্দোলন বি এন পি র যেসব কর্মী আন্দোলনে শহীদ হয়েছে তারা নিজের সিদ্ধান্তে দেশকে ভালোবেশে জীবন দিয়েছে মির্জা ফখরুলের নির্দেশে জীবন দেয় নাই।এই আন্দোলনের পেটার্ন বুঝতে হবে পুলিশের বন্দুকের নলের সামনে মাদ্রাসার ছাত্র আর ইংরেজি মিডিয়াম এর ছাত্রী এক সাথে পতাকা নিয়ে পাশাপাশি দাঁড়ায় ছিলো। বি এন পি একটা জিনিস বুঝতেছে না মানুষ মরতে শিখে গেছে এখন আর আগের স্টাইলে রাজনীতি চলবে না।

রমজান মাসে মাগরিবের আজানের আগে বাচ্চারা ইফতার সামনে নিয়ে বসে বার বার ঘড়িতে দিকে তাকায় বি এন পি নেতাদের এখন সেই অবস্থা আর অপেক্ষা করতে চাচ্ছে না অস্থির হয়ে গেছে। একটা বিষয় বি এন পি সিনিয়র নেতাদের বুঝতে হবে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী না। দেশের অর্থনীতির যে অবস্থা তা থেকে উত্তরণের জন্য ইউনুস সরকার কে নিম্নে দুই বছর সময় দিতে হবে।রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রচুর বৈদেশিক লোন এর প্রয়োজন দাতা সংস্থা গুলো বি এন পি কে লোন দিতে রাজি হবে না। আই এম এফ , জাইকা , এডিবি ,ওর্য়াল্ড ব্যাংক সহ অন্যান্য দাতা সংস্থা গুলোতে প্রচুর ভারতীয় মিড পজিশনে সেট করা আছে ওরা তখন বজ্জাতি শুরু করবে।ইউনুস সরকার থাকলে ওরা সেই সাহস করবে না। দুই বছর সময় পেলে অর্থনীতি স্থিতিশীল পর্যায়ে পৌঁছাবে তখন বি এন পি র জন্য সহজ হবে।

আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই নাজুক অবস্থায় আছে। পুলিশ এখনো পেট্রলিং করার সাহস পাচ্ছে না থানায় বসে থাকে। পুলিশের মনোবল চাঙ্গা করতে আরো এক বছর সময় লাগবে । পুলিশের লোগো ড্রেস গাড়ি কাজের ধরণ অস্ত্র সব কিছু পরিবর্তন করতে হবে অনেক কাজ। একই সাথে নতুন রিক্রুট দের ট্রেনিং দিয়ে রেডি করতে হবে। আনসার বাহিনী তো কাজ বাদ দিয়ে যাত্রা দলে নাম লেখাইছে এদের ঠিক করতে সময় লাগবে। রেব ও বিজিবির পারফরম্যান্স ভালো। আর্মি এখনো তিন পা আগায় দুই পা পিছায় দোটানায় আছে। নির্বাচনে যেতে হলে আগে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গুলোকে প্রস্তুত করতে হবে। আমলাদের কথা আর কি বলবো এরা তো এখনো উপদেষ্টাদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাচ্ছে। এই ছাত্রলীগ ইউ এন ও ডিসিদের দিয়া সুষ্ঠ নির্বাচন অসম্ভব এদের পরিবর্তন করে নতুন লোক আনতে হবে প্রশাসন ঢেলে সাজাতে হবে অনেক সময়ের প্রয়োজন। আমার মনে হয় ইউনুস সরকার কে নিম্নে তিন বছর সময় দেওয়া উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:০৩
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×