somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শিশির খান ১৪
সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম দাঁড়ায় যায় , মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় , মনে হয় আছাড় মাইরা টেলিভিশন ভাইঙ্গা ফেলি তারপর ও অনেক কষ্টে করে পুরো সাক্ষাৎকারটা দেখলাম ।

সাক্ষাৎকারের সারমর্ম , ওয়ান ইলেভেন এর তত্বাবধায়ক সরকারের সময় আওয়ামীলীগ ও বি এন পি যেভাবে জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করেছিলো ঠিক একই স্টাইলে আবার নামতে হবে। দুই দল একত্রে নামলে ছাত্র জনতার সংস্কার আন্দোলন রুখে দেওয়া সম্ভব। আওয়ামীলীগ এর নেতা কর্মীরা বি এন পি র নেতৃত্বে আন্দোলনে নামার জন্য প্রস্তুত এখন খালি মির্জা ফখরুলের হে শুনার অপেক্ষায় আছে তারা। তিনি বলেন মির্জা ফখরুল ও অন্যান্য বি এন পি নেতাদের কর্যক্রমে আওয়ামীলীগ নেতারা সন্তুষ্ট কারণ তারা ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের প্রতিবাদ করেছে , হাসিনার নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে সরাতে বাধা দিয়েছে ,সংবিধান সংস্কারে রাজি হচ্ছে না ,তাদের দোসর জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদ করেছে। আওয়ামীলীগ আবার রাজনীতিতে নামার জন্য বি এন পি র যেকোনো শর্ত মেনে নিতে রাজি।

এ ক্ষত্রে মির্জা ফখরুল আরো এডভান্স উনি দুই মাস আগেই ভারতের রাষ্ট্রদূত কে আস্বস্থ করেছেন যে বি এন পি ক্ষমতায় গেলে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বাংলাদেশের সীমানা ব্যবহার করতে পারবে না। সে সময় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন বি এন পি দেশে ওয়ান ইলেভেন এর মতো মাইনাস টু ফর্মুলা দেখতে চায় না, আবার মৌলবাদ জঙ্গিবাদের উত্থান দেখতে চায় না। ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাতের পর মির্জা ফখরুলের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও কথার ধরণ পালটে গেছে। আগে উনি ঠান্ডা মেজাজের মানুষ ছিলেন ভদ্র শালীন ভাষায় কথা বলতেন। এখন উনার কথা ধরন খুব রুক্ষ মনে হয় ইদানিং নেতা কর্মীদের সাথে মারমূখী আচরণ করেন। ওই দিন দেখলাম জিয়ার মাজারে ফুল দেওয়ার সময় নেতা কর্মীদের ভিড় ও ধাক্কা ধাক্কি দেখে খুব বিরক্ত হয়ে গেছেন এক সময় মেজাজ হারিয়ে নিজ দলের নেতা কর্মীদের সবার সামনে চর থাপ্পড় মারা শুরু করলেন ।

“যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর “ আমাদের এখন সেই অবস্থা। লক্ষ করে দেখবেন বি এন পি র পেশাজীবী সংগঠন এর নেতারাও এখন আওয়ামীলীগের শুরে কথা বলে। বি এন পি সমর্থক ব্লগাররা ইউ টিউবে ভিডিও আপ করলে সেখানে আওয়ামীলীগ কর্মীদের কমেন্টে ভোরে যায়। বি এন পি কোন লাইনে আগাচ্ছে সেটা মনে হয় সবাই ইতিমধ্যে বুঝে গেছেন । জামাতের আমির ৫ আগস্টের পর প্রথম জনসভায় বলেছিলো এখনো আন্দোলন শেষ হয় নাই সমানে আরো বড় ত্যাগের জন্য নেতা কর্মীদের প্রস্তুত হতে হবে। তখন তার কথা শুনে আমার কাছে কেমন জানি খটকা লেগেছিলো এখন ধীরে ধীরে বুঝতেছি। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে জামাতকে পছন্দ করি না তবে তাদের অনেক কিছুই অনুসরণ করার মতো। জামাত নেতারা জোর জুলুম করে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলে না। তারা তাদের নেতা কর্মীদের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেয় একবারে পড়ালেখা থেকে শুরু করে বিয়া চাকরি সব দায়িত্ব তারা নেয়। ইদানিং বি এন পি ও আওয়ামীলীগ দুই দলই আমার কাছে এক মনে হয়। এরা গণতন্ত্রের নাম জমিদারি প্রথা চালায় মন্ত্রীর ছেলে মন্ত্রী হয় ,সংসদ সদস্যের ছেলে সংসদ সদস্য হয় ,মেয়রের ছেলে মেয়র হয় আর ছাগল কর্মী গুলা সারা জীবন কর্মী থাকে। চাঁদাবাজি ,টেন্ডারবাজি ,মাস্তানি, দুই নাম্বারি ব্যবসা করলে রাজনৈতিক শেলটার লাগে তারাই মূলত এই দুই দলের কর্মী হয়।

এই বার যদি ভোট দেওয়ার সৌভাগ্য হয় তে হলে কাকে ভোট দিবো সেটাই ভাবতেছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৩
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জয় বাংলা - জাতীয় শ্লোগান হিশেবে বাতিল: ঐতিহ্যবিরোধী এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত

লিখেছেন কিরকুট, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪০



বাংলাদেশের ইতিহাসে "জয় বাংলা" শ্লোগান শুধুমাত্র একটি বাক্য নয়; এটি একটি জাতির আবেগ, চেতনা এবং ঐতিহ্যের প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই শ্লোগান ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির প্রেরণা। এটি ছিল বঙ্গবন্ধু... ...বাকিটুকু পড়ুন

পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্ধ.......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪০

পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্ধ.......

জীবনে কিছু সময়, কিছু দিনের কথা আমৃত্যু মনে থাকে তেমন বেশ কয়েকটি দিন তারিখ আমার জীবনেও খোদাই হয়ে আছে....মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরের ১ম সাব-সেক্টর হেড কোয়ার্টারে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি পেষ্ট এবং একটা গুরুত্বপূর্ণ আলাপ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪১

আমি সাধারণত ব্লগে ফেবু পোষ্ট আনিনা, কপি পেষ্টও করিনা, আজকে করলাম কারণ এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ আলাপ। নিচের বিষয়টা কপি পেষ্ট করলাম ফেবু থেকে। আপনাদের কী মত জানাতে পারেন

.
.

Aman Abdullah
5 hours... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও অতিজাতীয়তাবাদ উন্নয়নের মূল অন্তরায়

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩১


উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রকে কিছু স্বাধীনতা ত্যাগ করতে হবে কথাটি বলেছিলেন অত্যাধুনিক সিংগাপুরের উন্নয়নের কারিগর লি কুয়ান। ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হওয়ার পর ১৯৫৯ সালে স্বায়ত্তশাসিত সিঙ্গাপুরের প্রধান মন্ত্রি হন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাবির ভাই বেরাদার (অন্তর্বর্তীকালীন) সরকার কি বালটা ফালাচ্ছে বলতে পারবেন?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০

১) সরকারী কোন অফিসে নূন্যতম কোন লুটপাট বন্ধ হয়েছে?
২) জায়গায় চাঁদাবাজী বন্ধ হয়েছে?
৩) আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নুন্যতম কোন বিচার তারা করতে পেরেছে? বা তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করতে পেরেছে?
৪। আইন শৃঙ্খলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×