আমার প্রেমিকা- নাম তার খুব ছোটো দুইটি অক্ষরে
নদী বা ফুলের নামে হতে পারে
এই দ্বিমাত্রিক নাম,
হতে পারে পাখি, বৃক্ষ, উদ্ভিদের নামে
কিন্তু তেমন কিছুই নয়, এই মৃদু সাধারণ নাম
সকলের খুবই জানা। ( আমার প্রেমিকা - মহাদেব সাহা)
আমাদের বাড়ির সামনেই ছিল ছোট ডোবা। সেখানে শাপলা ফুল ফুটে থাকতো। মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হতো একটা শাপলা তুলে আনি। কেনো কার জন্য বা কি জন্য কিছুই মানে নেই, কিন্তু শাপলা তুলতে গেলে শাপলার লম্বা জালে জড়িয়ে যাবো বলে কখনো শাপলা তোলা হয়নি। তোমার সঙ্গে অনেকদিন দেখা হয় না। কথাও হয় না। কিন্তু মাঝে মাঝে মন খারাপের মেঘগুলো এসে জমা হয় আকাশে। কেনো এমন হয়। আমার অনেক লেখায় লিখেছি শীতের সময়টা সমস্ত ভাবালুতা এসে ভর করে আমার গহীনে। কেনো ? আমায় ভীষণ ভালোবাসার মানুষ নেই বলেই কি ? কবি, গীতিকার বা গল্পকাররা প্রেমকে মহৎ করে তোলেন এর নেতিবাচক দিকটিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে। তাই ওদের প্রেম বেদনা হয়েই বেশি ফুটে ওঠে। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের কাছে মানবীয় ভালোবাসা কিন্তু শারীরিক ব্যথা উপশমের পথ্য বলে বিবেচিত হচ্ছে। ওষুধের বাইরে প্রেমই হলো একমাত্র দাওয়াই, যা মানুষের শারীরিক কষ্ট ভুলিয়ে দিতে পারে। রজনীকান্ত অভিনীত ‘দ্যা রোবট’ ছবিটি দেখছিলাম। রোবটেরও মস্তিস্ক আছে। মানবীয় অনুভূতি ওর মধ্যে কাজ করে। ছবিতে ৬০ বছর বয়সী রজনীকান্তকে অনেক তরুণ মনে হয়েছে অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রায়ের চেয়ে। কিন্তু বিখ্যাত পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানশালী বলছেন অন্য কথা। তার মতে, বলিউডে নাকি আরো ১০ বছর শাসন করবেন অ্যাশ। শাসন করার কথাই যখন উঠলো তখন বলতে ইচ্ছে করে, আমাকে শাসন করার জন্য কেউ থাকলে ভালোই হতো। সঙ্গীর সঙ্গ ছাড়া কীভাবে যে বেঁচে আছি ! ভাবতে অবাক লাগে।
আমার যখন খুব মন খারাপ হয় মাকে ফোন করি। একেবারে বন্ধুর মতো কথা হয় আমাদের। কাউকে ভালো লাগা, মন্দ লাগা অনায়াসে শেয়ার করি। যতোদূর জানি মায়েরা তাদের ছেলেদের সহজে বিয়ে করাতে চান না। কারণ পাছে ছেলেটা পর হয়ে যায়। কিন্তু আমার মা আমার বিয়ের জন্য পাগল হয়ে আছেন। উনি চাচ্ছেন আমার জীবনটা সুখের হোক। কিন্তু যারা বিয়ে করেন তারা কেউ পরামর্শ দেন না বিয়ে করার। অভিনেতা ডাসটিন হফম্যানের স্ত্রী লিসা হফম্যান বলেছেন , ‘বিয়ে হলো প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার মতোই প্রাকৃতিক, অযৌক্তিক এবং ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ।’ আর আইরিশ লেখক ও কবি অস্কার ওয়াইল্ড বলেছেন, ‘অবিবাহিত পুরুষদের ওপর উচ্চহারে কর বসানো উচিত। তারা কেনো অন্যদের চেয়ে সুখে থাকবে ?’ বিশেষজ্ঞদের বিচার এবং অনলাইন পাঠকদের ভোটে সর্বকালের সেরা নির্বাচিত হওয়া একটি কৌতুক দিয়ে চিঠি শেষ করবো।
‘কোলের ছোট্ট সন্তানকে নিয়ে বাসে চড়লেন এক নারী। চালক আড়চোখে একবার তাকিয়েই স্বগতোক্তি ছুঁড়লেন ‘এত কুৎসিত শিশু এ জন্মে আর একটাও চোখে পড়েনি।’ ক্ষুব্ধ মা কিছু না বলে পেছনের একটি আসনে গিয়ে বসলেন। পাশের সহযাত্রী পুরুষটিকে আক্ষেপের সুরে তিনি বললেন, ‘হতচ্ছাড়া ড্রাইভার এই মাত্র আমাকে চরম অপমান করেছে।’ সঙ্গে সঙ্গেই পুরুষটির জবাব, ‘এক্ষুনি সামনে গিয়ে ওর মুখের ওপর পাল্টা জবাব ছুঁড়ে দিন। আমি ততক্ষণ আপনার বাঁদরটিকে সামলে রাখছি।’
আগামীর পথ অনেক লম্বা। নিজেকে সামলে রেখো, সামনে চলো। বন্দুর পথ মনোমতো সঙ্গী নিয়ে পাড়ি দিও।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




