somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

এস এম মোমিন
কৃষিবিদ এম আব্দুল মোমিন বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে কৃষি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত। পেশায় সরকারী কর্মকর্তা হলেও তিনি কৃষি সাংবাদিকতাকে তিনি অন্তরে লালন করেন। কৃষি সাংবাদিকতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ কওে যাচ্ছেন তিনি। ২০০৩ সালে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ব

বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি : ঘটনাবহুল ইতিবৃত্ত

১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি সম্প্রসারণ ব্যাপ্তি অর্ধ শতাব্দীর মতো হলেও এর পেছনে শতাধিক বর্ষের ঘটনাবহুল ইতিবৃত্ত রয়েছে। ১৮৬২-৬৫ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ মোকাবেলার জন্য দুর্ভিক্ষ কমিশন প্রথম কৃষি বিভাগ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে যার ফলশ্রুতিতে ১৮৭০ সালে রাজস্ব বিভাগের অংশ হিসেবে কৃষি বিভাগের জন্ম হয়। পরে ১৯০৬ সালে স্বতন্ত্র কৃষি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। একই সময়ে ঢাকায় মনিপুর (বর্তমান জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায়) কৃষি খামারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯০৯ সালে খামারের কৃষি গবেষণার জন্য একটা ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়। ১৯৫০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কৃষি ও শিল্প উন্নয়ন (ভিএআইডি) প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের সম্প্রসারণ শিক্ষা ও উন্নয়ন কর্মকা- শুরু হয়, পরে ১৯৫৬ সালে উদ্ভিদ সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ১৯৬১ সালে বিএডিসি, ১৯৬২ সালে এআইএস, ১৯৭০ সালে ডিএইএম এবং ডিএআরই সৃষ্টি হলেও কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে তেমন কোনো পরিকল্পিত সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭২ সালে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকা-কে জোরদার করার লক্ষ্যে তুলা উন্নয়ন বোর্ড, তামাক উন্নয়ন বোর্ড, হর্টিকালচার বোর্ড এবং ১৯৭৫ সালে কৃষি পরিদপ্তর (পাট উৎপাদন), কৃষি পরিদপ্তর (সম্প্রসারণ ও ব্যবস্থাপনা) নামে ফসলভিত্তিক স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানসমূহ সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু একই কৃষকের জন্য বিভিন্নমুখী/রকম সম্প্রসারণ বার্তা ও কর্মকা- মাঠপর্যায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলশ্রুতিতে ১৯৮২ সালে ফসল প্রযুক্তি সম্প্রসারণে নিয়োজিত ছয়টি সংস্থা যথা ডিএ (ইএন্ডএম), ডিএ (জেপি), উদ্ভিদ সংরক্ষণ পরিদপ্তর, হর্টিকালচার বোর্ড, তামাক উন্নয়ন বোর্ড এবং সার্ডি একত্রভূত করে বর্তমান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সৃষ্টি করা হয়। কৃষি বিভাগ ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রবর্তিত প্রশিক্ষণ ও পরিদর্শন (টিএন্ডভি) পদ্ধতির মাধ্যমে এবং ১৯৯০ সালের পর হতে অদ্যাবধি দলীয় সম্প্রসারণ পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের কৃষি ও কৃষককে অত্যন্ত সফলতা ও সুনামের সাথে সেবা প্রদান করেছে। বর্তমানে ৮টি উইংয়ের সমন্বয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিভাগীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভিশন
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ কৃষি বাণিজ্যিকীকরণের লক্ষ্যে পরিবর্তনশীল জলবায়ুতে পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ ও টেকসই উৎপাদনক্ষম উত্তম কৃষি কার্যক্রম প্রবর্তন যাতে প্রাকৃতিক সম্পদ সুরক্ষাসহ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মিশন
দক্ষ, ফলপ্রসূ, বিকেন্দ্রীকৃত, এলাকানির্ভর, চাহিদাভিত্তিক এবং সমন্বিত কৃষি সম্প্রসারণ সেবা প্রদানের মাধ্যমে সব শ্রেণীর কৃষকদের প্রযুক্তি জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ, যাতে টেকসই ও লাভজনক ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি নিশ্চিতকরণসহ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধিত হয়।
খাদ্যশস্য উৎপাদনের বর্তমান চিত্র বর্তমান সরকার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। ফলে ২০০৮-০৯, ২০০৯-১০, ২০১০-১১, ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ সালে মোট খাদ্যশস্য (চাল, গম, ভুট্টা) উৎপাদন হয়েছিল যথাক্রমে ৩২৮.৯৫, ৩৪২.৪৬, ৩৬০.৬৫, ৩৬৮.৩৯, ৩৭২.৬৬, ৩৮১.৭৪ এবং ৩৮৪.১৯ লক্ষ মে. টন। এতে পরিলক্ষিত হয় যে, খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রতি বছরেই ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তা ছাড়া ২০০৮-০৯ সালের তুলনায় ২০১৪-১৫ সালে আলু ও সবজির উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৮-০৯ সালে যেখানে আলু ও সবজি উৎপাদন হয়েছিল যথাক্রমে ৬৭.৪৬ ও ১০৬.২২ লক্ষ মে. টন। সেখানে ২০১৪-১৫ সালে আলু ও সবজি উৎপাদন হয় যথাক্রমে ৯৩.২৮ ও ১৪২.৩৭ লক্ষ মে. টন।
আউশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা
আউশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১০-১১ আউশ মৌসুমে ৫১টি জেলার ৫,৩৭,৪৭৭ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ১ বিঘা করে আউশ ধান আবাদের জন্য বিনামূল্যে রাসায়নিক সার প্রদান করা হয়েছে। খরিফ-১/২০১২ মৌসুমে ৩০টি জেলার ৫৬,২৫০ জন কৃষককে নেরিকা আউশ ও উফশী আউশ ধান চাষের জন্য ৫৬টি জেলার ৩,০৮.৯৫৬ জন কৃষককে চাষাবাদে প্রত্যেককে ১ বিঘা জমি আবাদের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার প্রদান করা হয়েছে। খরিফ-১/২০১৩ মৌসুমে প্রণোদনা হিসেবে বোনা আউশ (নেরিকা) আবাদে ১৮টি জেলার ৭,০০০ জন ও উফশী আউশ ধান চাষাবাদে ৪৭টি জেলার ৩,২৫,৫০০ জন কৃষককে ১ বিঘা করে জমি আবাদের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার প্রদান করা হয়। এ কর্মসূচিতে সেচ ও আগাছা দমনে কৃষি উপকরণ কার্ডের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তাও প্রদান করা হয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৪৪টি জেলার ২,৩৪,৬০০ জন কৃষককে ১ বিঘা করে উফশী জাতের আউশ ধান ও ৩৭টি জেলার ১০ হাজার জন কৃষককে ১ বিঘা করে নেরিকা জাতের আউশ আবাদের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার প্রদান করা হয়। খরিফ-১/২০১৫-১৬ মৌসুমে উফশী আউশ ধান ও বোনা আউশ ধান (নেরিকা) চাষে প্রণোদনার লক্ষ্যে উফশী আউশ ধান চাষাবাদে ৪৮টি জেলার ১ লাখ ৮০ হাজার জন কৃষককে ১ বিঘা করে মোট ১ লাখ ৮০ হাজার বিঘা উফশী আউশ ধান ও বোনা আউশ (নেরিকা) আবাদে ৩৭টি জেলার ৩০ হাজার জন কৃষককে ১ বিঘা করে মোট ৩০,০০০ বিঘা বোনা আউশ (নেরিকা) ধান আবাদের জন্য সর্বমোট ২ লাখ ১০ হাজার জন কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার প্রদান করা হয়েছে। এ কর্মসূচিতে সেচ ও আগাছা দমনে কৃষি উপকরণ কার্ডের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তাও প্রদান করা হয়।
কৃষি পুনর্বাসন ও প্রণোদনা
এ কর্মসূচির আওতায় ২০০৮-০৯ সনে ২৭৪৬.৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে এবং ২০০৯-১০ সালে ৩২১৫.০৫ লাখ টাকা ব্যয়ে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। বন্যাপ্রবণ এলাকায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে বিএডিসি, ডিএই, ব্রি ও বারি ফার্মে ২০০৮-২০০৯, ২০০৯-১০ ও ২০১০-২০১১ সালে ১০০ একর নাবী রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে রোপা আমনের চারা বিতরণ করা হয়েছে। খরিফ-২/২০১২-১৩ মৌসুমে দেশের ৬টি জেলায় (জামালপুর, কুড়িগ্রাম, বগুড়া, গাইবান্ধা, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ) অতিবৃষ্টি / উজান খেকে নেমে আসা প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ৭৮ হাজার ১১ জন কৃষককে বিনামূল্যে সরিষা/গম/ভুট্টা বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রবি মৌসুমে শিলাবৃষ্টি/ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাসহ নেরিকা চাষের সম্ভাবনাময় জেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উফশী ও রোপা আমন চাষে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ৯৯৯.৭৬ লক্ষ টাকার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০১৪-১৫ সালে উজানের ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাসমূহের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের গম, সরিষা, ভুট্টা ও বোরো ফসল উৎপাদনে সহায়তার জন্য ৮৪৮.৮৯২১৮ লাখ টাকার বীজ ও রাসায়নিক সার এবং দক্ষিণাঞ্চলের জেলাসমূহে গম, ভূট্টা, ফেলন ও বারি খেসারি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৫৪৮.৯০ লাখ টাকার বীজ ও সার বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত জেলাসমূহের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি পুনর্বাসন এবং ফসলের উন্নত ও নতুন জাত সম্প্রসারণে প্রণোদনার (রবি/২০১৫-১৬ মৌসুমে) জন্য মোট ৩ লাখ ১০ হাজার ৯১৯ জন (পুনর্বাসনের জন্য ২,১২,৬৭৯ এবং প্রণোদনার জন্য ৯৮,২৪০) ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে গম, সরিষা, আলু, খেসারি, ফেলন ও গ্রীষ্মকালীন মুগ চাষের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়েছে।
ভুট্টা প্রণোদনা
গত ২০১১-১২ রবি মৌসুমে ভুট্টা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৬.৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় দেশের ১১টি জেলায় ৫০ হাজার কৃষকদের প্রত্যেককে বিনামূল্যে ৩ কেজি ভুট্টা বীজ, ২৫ কেজি ডিএপি ও ২৫ কেজি এমওপি সার সরবরাহ করা হয়েছে ।
কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ ও কৃষকের ব্যাংক হিসাব
কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য কৃষক পরিবারকে ২ কোটি ৫ লাখ ৮২ হাজার ৮২৪টি কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে কৃষাণীদের ১২ লাখ ৫৮ হাজার ৬৪৭ টি এবং কৃষকদেরকে ১ কোটি ৯৩ লাখ ২৪ হাজার ১৭৭টি কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদান করা হয়। ফসল উৎপাদনে ঋণ, উপকরণ সহায়তা প্রাপ্তিতে কৃষকরা এই কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন ও দশ টাকার বিনিময়ে কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার কার্যক্রম চালু রেখে কৃষকদের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
হাওরাঞ্চলের পাঁচটি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত বোরো চাষিদের সহায়তা কর্মসূচি
বিগত ২০০৯-১০ অর্থবছরে হাওরাঞ্চলের নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলায় আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩ লাখ ৮৫ হাজার কৃষককে রবি/২০১০-১১ মৌসুমে উফশী বা আধুনিক জাতের বোরো ফসল চাষাবাদে সহায়তার জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার প্রদান করা হয়। এ কার্যক্রমে ৪৮৪৯.০৮ লাখ টাকার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের কারণে সহায়তা
ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ৪টি জেলায় (পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও বরিশাল) খরিফ-২/২০১৪ মৌসুমে উফশী আমন চাষাবাদে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক প্রতি কৃষক পরিবারকে সর্বোচ্চ ১ বিঘা জমির বীজ বিনামূল্যে সরবরাহ করার জন্য সর্বমোট ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯২৫ বিঘা জমির জন্য (বিঘাপ্রতি ৫ কেজি বীজ) বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের নিমিত্ত ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯২৫টি কৃষক পরিবারকে ২৪৯০.৮০৫ লাখ টাকা ২০১২-১৩ অর্থবছরে ব্যয় করা হয়েছে।
পাট ও পাট বীজ উৎপাদন
পাট মৌসুমে (২০১০-১১) পাট আঁশের মান উন্নয়ন ও চাষিদের সহায়তার লক্ষ্যে ২৯টি জেলায় ১৫ লাখ ৩৯ হাজার ৬ শত পাটচাষিকে ১০ টাকার বিনিময়ে ব্যাংক হিসাব খুলে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জনপ্রতি ২০০ টাকা হারে সহায়তাসহ প্রতি ১০০ জনের জন্য ১টি করে সর্বমোট ১৫ হাজার ৩৯৬টি রিবনার সরবরাহ এবং কৃষকদের রিবন রেটিং পদ্ধতির ওপর হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গৃহীত অন্যান্য পদক্ষেপসমূহ
সারের ক্রয়মূল্য চার দফায় কমানোর ফলে সুষম সার ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমানে ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সারের বাজারমূল্য কেজিপ্রতি যথাক্রমে ১৬ টাকা, ২২ টাকা, ১৫ টাকা এবং ২৫ টাকা নির্ধারণ এবং কৃষক পর্যায়ে সার প্রাপ্তি সহজলভ্য করার লক্ষ্যে প্রতি ইউনিয়নে একজন করে সার ডিলার এবং নয়জন করে খুচরা সার বিক্রেতা নিয়োগ করা হয়েছে;
কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বর্তমানে ৩০% ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে কৃষক পর্যায়ে উন্নয়ন সহায়তা দেয়া হচ্ছে;
উপযুক্ত সেচব্যবস্থা/কার্যক্রম গ্রহণে কৃষকদের উৎসাহিত করতে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ দ্বারা সেচ প্রদানে স্মার্ট কার্ড প্রচলন করা হয়েছে;
ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণে কৃষকদের উৎসাহিত করাসহ খরা, বন্যা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু বিভিন্ন ফসলের আধুনিক জাতের আবাদ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে;
দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বা খাপ খাওয়ানোর নিমিত্ত আধুনিক লাগসই কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন, প্রশিক্ষণ ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে;
অব্যবহৃত চর, উপকূলীয় ও পার্বত্য এলাকায় বিভিন্ন ফসলের (মাশরুম, সয়াবিন, সুগারবিট, চিউয়িং আখ, তরমুজ, ভুট্টা, মরিচ, পাট এবং ডাল, তৈল ও মসলা জাতীয় ফসল) আবাদ সম্প্রসারণ করে পতিত জমি নিবিড় চাষাবাদের আওতায় (এলাকা উপযোগী ফসল) এনে শস্যের নিবিড়তা বাড়ানো হচ্ছে;
ন্যূনতম পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে সমন্বিত শস্য ব্যবস্থাপনা ও সমন্বিত বালাইব্যবস্থাপনা পদ্ধতির মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব ধান ও সবজির উৎপাদন প্রযুক্তি সম্প্রসারণে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে;
দেশব্যাপী বহিরাগত পোকামাকড় ও রোগবালাই প্রতিরোধের জন্য উদ্ভিদ সংগনিরোধ কার্যক্রম শক্তিশালীকরণে উদ্ভিদ সংগনিরোধ আইন ২০১১ বাস্তবায়ন করা হয়েছে;
প্রযুক্তি সম্প্রসারণে বিভিন্ন সম্প্রসারণ কার্যক্রম গ্রহণ (প্রদর্শনী, মাঠ দিবস, চাষি র‌্যালি, উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ, প্রযুক্তি মেলা, কর্মশালা ইত্যাদি) এবং প্রতিটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে শতকরা ৩০ ভাগ কৃষাণীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে;
সারাদেশে ৭২৭টি কৃষক তথ্য ও পরামর্শ কেন্দ্র (ফিয়াক) স্থাপন করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে কৃষকদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×