হে দেশ, আমি কাঁদছি, তোমার জন্য কাঁদছি।
যেভাবে কেঁদেছিলো একাত্তরে শহীদ জননী মা,
দেশের জন্য সন্তান বলি দিতে কুন্ঠা করিলো না।
হে দেশ, আমি কাঁদছি, তোমার জন্য কাঁদছি।
যেভাবে কেঁদেছিলো বৃদ্ধ পিতা স্টেনগান তুলে দিয়ে সন্তানের হাতে,
না দেখিয়া যারে বিদায় দিলো নিশিথো প্রভাতে।
হে দেশ, আমি কাঁদছি, তোমার জন্য কাঁদছি।
যেভাবে কেঁদেছিলো ছোটবোন হাঁরায়ে ভ্রাতৃ-স্নেহ-ছায়া,
বাংলার জন্য ছুঁড়িয়া ফেলেছিলো রাঁখি বন্ধন মায়া।
হে দেশ, আমি কাঁদছি, তোমার জন্য কাঁদছি।
যেভাবে কেঁদেছিলো শত শহীদ সন্তান মায়ের কথা ভেবে,
শেষ পত্রখানা পৌঁছুবে মায়ের কাছে কোনো দৈব বৈভবে।
হে দেশ, আমি কাঁদছি, তোমার জন্য কাঁদছি।
যেভাবে কেঁদেছিলো শহীদ পিতা সদ্যপ্রসূত সন্তান না দেখে,
সন্তানের তরে মাটি রেখে গেল আপন রক্তের আবির মেখে।
হে দেশ, আমি কাঁদছি, তোমার জন্য কাঁদছি।
যেভাবে কেঁদেছিলো নবপরিণীতা বধূ স্বামীর মৃত্যু সংবাদ শুনে,
একাকী জীবন পাড়ি দিলো যে বিধবার শাড়ী বুনে।
হে দেশ, আমি কাঁদছি, তোমার জন্য কাঁদছি।
যেভাবে কেঁদেছিলো বীরাঙ্গনা নারী হানাদারের সাথে যুথে,
আপন সুষমা ঢালিয়া সমতল করিলো বাংলার কন্টকময় পথে।
হে দেশ, আমি কাঁদছি, তোমার জন্য কাঁদছি।
যেভাবে কেঁদেছিলো বাংলার শত শিশু ক্ষুধা লইয়া পেটে,
গ্রেনেডখানা পেটে বাঁধিয়া যারা হানাদার লুটাইলো ঝটপটে।
হে দেশ, আমি কাঁদছি, তোমার জন্য কাঁদছি।
যেভাবে কেঁদেছিলো স্নেহশীল ভাই বোনের মৃত্যু-স্পর্শ-রাগে,
থমথমে মুখে ইস্পাতকঠিন মুক্তি প্রত্যয় জাগে।
হে দেশ, আমি কাঁদছি, তোমার জন্য কাঁদছি।
যেভাবে কেঁদেছিলো ঘরের ছোট শিশুটি মায়ের লাশটি দেখে,
পিতা তার ফিরিবে না আর বলেছে গাঁয়ের লোকে।
হে দেশ, আমি কাঁদছি, তোমার জন্য কাঁদছি।
যেভাবে কেঁদেছিলো সমগ্র বাংলাদেশ মুক্তির জয়োৎসবে,
বাংলা এবার সোনার বাংলা হবে-আশা ছিলো কলোরবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




