নেতা মোটরসাইকেল ছেড়ে পাঁয়ে হেঁটে চলে। রাতের বেলাও যে সানগ্লাস ব্যবহার করতো এখন দিনের বেলায় প্রচন্ড রোদের সময়ও সানগ্লাস ব্যবহার করতে দেখি না। প্যান্ট শার্ট ছেড়ে পাঞ্জাবি পায়জামা ধরেছে। মসজিদের ধারের কাছেও যাকে কখনও দেখিনি আজান হলেই তাকে দৌঁড়ে মসজিদে যেতে দেখি। যাকে সালাম না দিয়ে সামনে দিয়ে চলে গেলে বাঁকা চোখে তাকাতো এখন সে কিনা সবাইকে সালাম দেয়। হাসি মুখে কাছে এসে হ্যান্ডসেক করে।
নেতার হঠাৎ এমন পরিবর্তন দেখে আয়নাল মামার চায়ের দোকানে এক জনরে জিগায়, বিষয়টা কি?
উত্তর আসে, হারে ভাই, এটাও বুঝলেন না! সামনে ইউনিয়ন পরিষদ ইলেকশন। কোনো নেতার হঠাৎ পরিবর্তন দেখলেই বুঝবেন সামনে কোন ইলেকশন আর সে প্রার্থী হতে আগ্রহী। এদেশের নেতা! এদের মুখ একটা হলেও মুখোশ অনেক। গিরগিটিও এদের সাথে লেবাস বদলিয়ে পারবে না। হা হা হা হা।
- হাসলেন যে? সিরিয়াস মুডে এমন ভালো কথা বলে কাউকে হাসতে এই প্রথম দেখলাম।
- হাসবো না! এইসব ভন্ডদের কান্ড দেখে আমাদের মত সাধারণ মানুষের হাসি পায়। খুবই হাসি হা হা হা হা হা।
- তা ঠিক।
- আরো কতকিছু দেখবেন। সবে তো শুরু। বসন্তের কোকিলের মত জন দরদী ও গরীবের বন্ধু আর্বিভাব হবে এখন।
আমি আর কিছু বলি না। চায়ের দোকানে রাজনৈতিক আলাপ একবার উঠলে সেটার উপসংহারে যাওয়া খুবই মুশকিল।
-সোহাগ তানভীর
গল্পকার
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪০