নিচের লেখাটা সচলায়তনে পড়ে নাড়া দিলো। বাঁধ ভাঙার আওয়াজের জন্য তুলে দিলাম।
জ্বী, আমি কবি সমুদ্র গুপ্তের কথা বলছি । আহমেদুর রশীদ
সাদা চুল সাদা গোফ উড়িয়ে তিনি ঘুরে বেড়াতেন আজিজের এমাথা-ওমাথা। তরুনদের সাথে আড্ডা দেয়ার সময় ভুলে যেতেন বয়সের ফারাক। সব সমযই তিনি উচ্ছল থাকতেন-কী বই মেলায় কী কবিতা উৎসবে। আজ তিনি হাসপাতালের শয্যায়। কাৎরাচ্ছেন-ফোপাচ্ছেন। জানি না কবিতা আজ তাঁর কাছে বেদনানাশক মন্ত্র কী না। তবে নিঃসন্দেহে তিনি আজ আতংকিত। জ্বী, আমি কবি সমুদ্র গুপ্তের কথা বলছি।
রাষ্ট্র এখানে আজো শোষনের যন্ত্র, সাম্রাজ্যবাদের এজেন্ট। অন্ন-বস্ত্র-সামাজিক নিরাপত্তা,অসুস্থতায় চিকিৎসা সবই আজ মুক্ত বাজারের শোকেসে ভরা পণ্য। জনগনের জন্য দায়হীন রাষ্ট্রে তাই একজন কবিকে অপমানের মাথা খেয়ে হাত পাততে হয়। আর তাঁর সুহৃদেরা জড়ো হয় ছবির হাটে-মাইকে কবিতা শুনিয়ে করজোড়ে দান চায় পথচারীদের কাছে-কিন্তু সে আর কত। এখানে অর্থের চেয়ে বেশী জমা হয় ভালবাসা। হায়! ভালবাসা দিয়ে যদি দেয়া যেতো হাসপাতালের বিল।
আমি ভয়ে ভয়ে থাকি আমার জন্য, আমার পরিবারের জন্য, আমার বন্ধুর জন্য। কাল যদি আমাকেও যেতে হয় ঐ হাসপাতালে-হাতির খোরাক আমি মেটাবো কি দিয়ে?
সরকারী ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য বীমা চালু করার দাবী তাই আজ আমার-আমাদের ।
তার আগে সমুদ্র'দাকে হাসপাতাল থেকে সুস্থ করে ফিরিয়ে আনতে আমরা কিছু করতে পারি কি?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





