somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি তুমি ও আমরা

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্যস্ত ঠিকানা ছেড়ে মানুষ তবুও ছুটে চলে, আমরা ছুটে চলি । আনমনেই অলৌকিক কিছু প্রশ্ন এসে জমাট বাঁধে আমাদের মাঝে । মরচে ধরা ভাবনাগুলোকে ভুলতে চেষ্টা করি । কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ পছন্দ না হলেও দিব্যি কোলাহলেই মিশে থাকি । জীবন আমাদেরকে তার মত করে আলাদা করে গড়ে তোলে ।

সুরে সুরে কত শব্দ আসে মনের গহীনে, তবুও আমরা তার থেকে পালিয়ে চলি; কিন্তু পারিনা । অনিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও হিজিবিজি সব পরিকল্পনা আঁটি । বিকেল হোক বা সন্ধ্যে হোক অথবা রাত আমরা নিজেকে আড়াল করে একটু আলাদা করে চলতে শিখে যাই ।

আবার ভালো থাকাতে অন্য কেউ এসে বাসা বাঁধে । চাওয়া-পাওয়া না থাকলেও তবুও আমরা সেসব উপেক্ষা করে চলতে শিখি । জীবন অদ্ভুত, খুব অদ্ভুত!
কেউ জীবনের মানে জানে, কেউ জানেনা, কেউবা খোঁজে পাগলের মত করে ।

নিজস্বতা বা একটা গণ্ডিকে কেন্দ্র করে আমরা গড়ে উঠি । সেই বাউন্ডারি ভেদ করে আমরা চিন্তাভাবনা করতে পারিনা । কারণ আমরা কোনো কাজ’ই অযথা করতে চাইনা, ফলাফলটা যেখানে শূন্য সেখানে আর আকাঙ্খা না বাড়িয়ে মুখ ফিরিয়ে নিই । ইচ্ছে করেই হোক বা অনিচ্ছায় । কতবার নিজেকেই নিজের কাছে হার মেনে যাই আমরা ।

সকালে উঠে দাঁতটা ব্রাশ করা, সকালের নাস্তা খাওয়া, দিনে তিনবেলা পেটপূজা করা, দুপুরে গোসল দেয়া সবই যেন একেকটা নিয়মের মত করে । এসব জিনিস আমাদের সাথে ঘটে বলেই আমরা সেভাবেই মেনে নিই । আমাদের জীবনকে জীবন হিসেবে দেখার ক্ষেত্রে সবার আলাদা । ঠিকানা নেই, গন্তব্য নেই, উদ্দেশ্য নেই, ভবিষ্যৎ নেই তবুও ক্লান্ত চোখে ভ্রান্তির মত করেই ছুঁটে চলি আমরা ।

ব্যস্ত শহরের বুকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ল্যাম্পপোস্ট অনবরত হলুদ আলো দিয়েই যায় এদের কিন্তু কোনোকিছুই পাওয়া আশা থাকেনা । স্মৃতিতে অনেক প্রশ্নই আসে তবুও সেগুলোও কেমন করে হেয়ালী করে আলসেমিতে মেতে ওঠে । পিচঢালা রাজপথগুলোতেও একসময় গাড়ির সংখ্যাগুলো কমতে থাকে ।

এক শ্রেণীর মানুষ যারা সন্ধ্যে নামলেই বাড়ি ফেরার জন্য উতলা হয়ে ওঠে । আবার কেউবা রাতের আঁধারেই বেরিয়ে পড়ে, কেউ তো আবার যেই সকালে আমরা তৃপ্তি করে ঘুমাই সে সময়টাতে কিছু লোকও বেরিয়ে পড়ে জীবনের তাগিদে । একেকজন একেকরকম । আলাদা আলাদা, পুরোপুরি আলাদা ।

কেউ সারাদিন বাদাম...বাদাম বলে চিল্লায়, কেউবা আমড়া আমড়া বলে, কেউবা হাত-পা নেই তবুও রাস্তার পাশে বসে হাত পাতিয়ে “কিছু দান করেন” বলে কাকুতি মিনতি করে বেড়ায় । কেউবা কারও মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নিজের স্বার্থ অর্জনের চেষ্টা করে । কেউবা আবার নিজের ঘরের কথা চিন্তা না করে অসহায়দের পেটে লাথি দেয় । তবুও দিব্যি বেঁচে থাকে সবাই । সবাই একেকটা যোদ্ধা এখানে!

ইরেজার দিয়ে হয়ত কিছু লেখাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া যায়, কিন্তু জীবনের ক্ষেত্রে কোনো ইরেজারের ব্যবস্থা নেই । অন্যর সুখ দেখেও কখনও কখনও নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করে মানুষ । তিলে তিলে, খুব যত্ন করে ভালোবাসা গড়ে তোলাকেও হারায় অনেকেই । অথচ কেউ কারও ধার ধারেনা, কেউ কারও খোঁজ রাখেনা! নতুন আশা বাঁধে জীবন গড়ার জন্য । মুছে ফেলা বা ভুলে যাওয়া কোনোকিছুই হয়না আমাদের জীবনে । নিজেকে সায় দিই আমরা, অন্যরা ভালো থাকতে শেখানোর চেষ্টা করে । অথচ ক’জনইবা ভালো থাকে, সুখে থাকে!

রঙীন ভালোবাসা বা রঙীন স্বপ্ন দেখা সবার ক্ষেত্রে আলাদা, আবার সবাইকে এসব ক্ষেত্রে মানায়না । জীবনে সবকিছুকে প্রশ্রয় দিতে নেই, অবাধ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমরা নিজেকে গড়ে তুলি । খুব কঠিনভাবে...সময় যত গড়ে নিজের প্রতি কঠোর করে গড়ে তোলার অঙ্গটা বেশ করে শিখতে শিখতে বড় হয়ে উঠি । কেউ সুখে বিলীন হয় আবার কেউবা দুঃখে...

-সাব্বির আহমেদ(আলোহীন ল্যাম্পপোস্ট)
১৩ ই ভাদ্র ১৪২৫, শরৎকাল | মঙ্গলবার | রাত ৯ টা ৫৭ মিনিট | কুড়িগ্রাম শহর

#কাব্যসমগ্র #sabbirdiaries
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×