
‘কনফোর্টেবলি নাম্ব’ গানটার শুরুর দিকে রিচার্ড রাইট ক্লের টেরি নামে নতুন একটা মিউজিশিয়ানকে পেয়েছিলেন । যিনি অ্যাবে রোডে গান পারফর্ম করতেন । রিচার্ড তাকে বললেন, মস্তিষ্ককে উন্নত করো, মৃত্যু নিয়ে ভাবো, ভৌতিকতা নিয়ে ভাবো ।
পিংক ফ্লয়েড ব্যান্ডদলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সুরকার সিড ব্যারেট এলএসডি মাদক গ্রহণ করতেন । অনেকেই এলএসডি সম্পর্কে জেনেছেন কিছুদিন পূর্বে, যখন ঢাকাতে কয়েকজন ছেলেকে আটক করা হয়েছিলো ।
এই এলএইচডির প্রভাবে সিড ব্যারেট তাঁর সঙ্গীতজীবনে পৃথিবীতে এমন সব সুর দিয়ে গেছেন যা আজও মানুষকে প্রভাবিত করে । সিড ব্যারেট শুধু সুরকার-ই ছিলেননা তিনি একাধারে কবি, চিত্রশিল্পী, লিরিসিস্ট এবং গায়ক ছিলেন । সিড ২০০৬ সালে মারা যান ।
এলএসডি হলো একধরনের সিনথেটিক ড্রাগ । যেই ড্রাগস গ্রহণের ফলে মানুষের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা জাগ্রত করে । হ্যালুসিনেশন ঘটে । মানুষ তাঁর স্বাভাবিক জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায় । অলৌকিক চিন্তার সৃষ্টি হয় ।
‘কমফোর্টেবলি নাম্ব, শাইন অন ক্রেইজি ডায়মন্ড, কিপ টকিং, হাই হোপস, ব্রেইন ড্যামেজ, সরো, আস এন্ড দেম, ইকোস, উইশ ইউ ওয়্যার হেয়ার, কর্পোরাল ক্লেগ’-সহ অজস্র গান মানুষের চিন্তাধারাকে আলাদা একটা রূপ দিতে পেরেছে পৃথিবীতে ।
জীবনানন্দ দাশ কিংবা কাজী নজরুলের চিন্তাধারার মধ্যেও সুরেয়ালিজমের উপস্থিতি ছিলো । এই চিন্তা-চেতনাগুলো স্বাভাবিক জীবন থেকে নেয়া নয় । নজরুল কিংবা জীবনানন্দের দর্শন ছিলো অসাধারণ এবং অলৌকিক ।
‘ডার্ক সাইড অব দি মুন’ নিয়ে পিংক ফ্লয়েডের চিন্তাকে আমার দারুণ প্রভাবিত করে । প্রভাবিত করে জীবনানন্দ, নজরুল পরাবাস্তবতা । চিন্তার স্বাধীনতা কতটা সুউচ্চতে গেলে মানুষের ভাবনা এমন হতে
পারে । যা সাধারণ একজন মানুষ কল্পনাও করতে পারেনা তাঁর জীবদ্দশায় ।
এছাড়াও সঙ্গীতের সৃষ্টির সেই যন্ত্র, লিপি, কপি কিভাবে শতাব্দীর পর শতাব্দী মানুষের পরম্পরায় ক্রমাগত স্রোতধারায় বয়ে এনেছে । পাখির ডাক, সমুদ্রের গর্জন, ঝর্ণাধারার শব্দ, এমনকি হাট-বাজারের মানুষের আলাপন যেটা এত মিশ্র সেটাকেও সঙ্গীতে উঠে এসেছে । উঠে এসেছে প্রেম, ভালোবাসা, রাগ, ক্রোধ, ঘৃণা, বিয়োগ, দুঃখ আরও জীবনকে রিলেট করা কথা ।
কি অদ্ভুত ব্যাপার...
সাব্বির আহমেদ সাকিল
০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | শনিবার | ২১ মে ২০২২ ই
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০২২ রাত ৮:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



