
এদেশের কনস্টিটিউশন অনুযায়ী পাঁচ বছর পরপর ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি, সরকার গঠন করার নিয়ম । কিন্তু পুরো পাঁচ বছর কেটে গেলেও এদেশের সব এলাকাতে জনপ্রতিনিধি আর জনতার মুখোমুখি কোনো সেমিনার/সিম্পোজিয়াম/প্রোগ্রাম করা হয়? সোজাসাপ্টা উত্তর আসবে, ‘না’ । কোনো জবাবদিহিতা আছে? উত্তর হবে, ‘না’ ।
তাহলে আমরা যে গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে মুখে ফেনা তুলি । গণতন্ত্রের মানে তো জনগণের শাসন । তবে এই গণতন্ত্রের মাধ্যমে কিভাবে জনগণ শাসন করতে পারে বা জনগণ শাসকের ভূমিকায় থাকে । অন্তত সরকার তথা জনপ্রতিনিধিদেরকে তো একটা প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসতে হবে যেন সেখানে জবাবদিহিতার স্পেস তৈরি হয় ।
পাঁচ বছরে কত টাকা বরাদ্দ আসলো, কোন কোন খাতে আসলো, কোন খাতে কত ব্যয় হলো, জনগণের কাছে সেটি সঠিকভাবে পৌঁছালো কি-না সেগুলোর তো অডিট করা দরকার । নয়তো এদেশে স্বাধীনতার পর থেকেই যে ভঙ্গুর সিস্টেম চালু হয়ে গেছে তাঁর ধারাবাহিকতা আর কত বছর ধরে চলবে?
আপনাকে(জনপ্রতিনিধি) রাস্তার বরাদ্দ দেয়া হবে, চাল-ডাল-গম পাঠানো হবে, বিধবা ভাতা, প্রেগনেন্সি ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ আরও নানান প্রণোদনা আসবে, বরাদ্দ আসবে সেসবের ডিস্ট্রিবিউশন কিভাবে এবং কোথায় হচ্ছে সেসবের জবাবদিহিতা থাকা অত্যাবশকীয় ।
যেই গণতন্ত্র মানুষের অধিকারের কথা বলেনা, মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারেনা, সুষম বণ্টনে কার্যকর হয়না, বরাদ্দকৃত অর্থ-পণ্য সঠিকভাবে পৌঁছায়না সেই গণতন্ত্র লইয়া আমরা কই যামু, কি করমু?..
সেকারণেই কবি আল মাহমুদ বলেছিলেন, “আমাদের ধর্ম হোক ফসলের সুষম বণ্টন ।”
সাব্বির আহমেদ সাকিল
১৯ আশ্বিন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, শরৎকাল | মঙ্গলবার | ০৪ অক্টোবর ২০২২ ইং | বগুড়া
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




