অমুক দেশে বাংলাদেশি বংশদ্ভুতের তমুক কর্মকান্ডে অনেকেই খুব আনন্দিত হয় কিন্তু আমি তারে নিয়ে লাফালাফির কিছু দেখিনা। কারন সে অনলি বাংলাদেশি বংশদ্ভুদ, নট সিটিজেন।
যে অর্থের লোভে বাংলাদেশকে ভুলে গিয়ে অন্য দেশের নাগরিক হতে পারে তাদের নিয়ে তেমন লাফালাফির কিছু দেখিনা।
চিন্তা করুন তো আপনার জন্মস্থান, আপনার মাতৃভূমিতে আসতে আপনাকে ভিসা নিতে হচ্ছে! এবং ভিসার মেয়াদ শেষ আপনাকে দেশ ত্যাগ করতে হবে। ব্যাপারটা ক্যামন লাগবে।
কিছুদিন আগে দেখলাম ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশি বংশদ্ভুত এমপিদের মধ্য টিউলিপ সিদ্দিকিকে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক কোনো একটি প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাবে বলেন "আমি কিন্তু বাংলাদেশি না"
যে বা যারা নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় টুকু দিতেও লজ্জা বোধ করে তাদের নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের লাফালাফির কি কারন থাকতে পারে?
যে মানুষ অর্থের লোভে মাতৃভূমির মায়া ত্যাগ করে অন্য দেশের নাগরিকত্বের পিছনে দৌরায় তাদের নিয়ে গর্ব করার মতো কিছু পাইনা।
ইনফ্যাক্ট বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ও তাদের তেমন কোন অবদানও খুজে পাইনা।
বরং ব্যাক্তিগত ভাবে সেই সমস্ত সাধারন/ প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য ভালোবাসা যারা মাথারঘাম পায়ে ফেলে টাকা রোজগার করে বাংলাদেশে রেমিটেন্স বৃদ্ধি করে চলছে। মজবুত করছে অর্থনীতি।
যাইহোক,
আজকের এই মে দিবসে সকল কুলি, মজুর, শ্রমিক, প্রবাসী শ্রমিক সকলের প্রতি রই আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা