গভমেন্টের ল্যাগিং নিয়ে সমালোচনা করা লোকের অভাব নেই। আমি নিজেও করি,আবার নিজেরও করি, আজ নিজের করবো।
খেয়াল করে দেখলাম যখন আমাদের নিজেদের ঘাড়ে দায়িত্ব এসে পরে তখন কি করি/করছি। প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। এটা কিন্তু নিজের এবং নিজের পরিবারের সুরক্ষার জন্যই। অথচ তারপরেও অনেকেই গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুড়ে ব্যারাচ্ছে! তারমানে কি শুধু প্রবাসীরা অসচেতন? না ব্যাপারটা ঠিক তা'না। গড়পত্তায় আমরা সবাই অসচেতন এবং একেকটা গর্দভ। সিচুয়েশন অনুযাই এখন প্রবাসীদের উপরে দায়িত্বটা একটু বেশি তাই প্রবাসীদের কথা বললাম। যদি কখনো আমাদের প্রকৌশলীদের উপর কোন বিশেষ দায়িত্ব সিচুয়েশন ডিমান্ড করে তখন আমরাও সেটাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দায়িত্বে পালন থেকে বিরত থাকবো( এইডা ইউনিভার্সাল ট্রু)।
কারন জাতিগত ভাবেই আমি এবং আমরা সবাই গর্দভ এবং দূর্নীতিবাজ। আর একটা গর্দভ এবং দূর্নীতিবাজ জাতি কি করে সৎ নিষ্ঠাবান এবং দক্ষ একটা সরকার আশাকরে?
বাংলাদেশের সব্বর্চ দূর্নীতিবাজ মন্ত্রীটাকে জাপানের একটা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে দ্যাখেন, দেখবেন সততার স্কেলে সেখানে হয়তো সে বাংলাদেশের সবচেয়ে সৎ লোকটাকেও পেছনে ফেলতে পারে! কেউ একা চাইলে দূর্নীতি করতে পারেনা, এজন্য একঝাক লোভি এবং দূর্নীতিবাজ মানুষের চেইন লাগে, আর আমাদের সেটার পর্যাপ্ত যোগান রয়েছে।
সানজাক-ই উসমান বইয়ে পড়েছিলাম, বুখারা এবং সমরখন্দের যোদ্ধারা যখন কাপুরুষের মত কোন প্রতিরোধ ছাড়াই চেঙ্গিস খানের মঙ্গলীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমার্পণ করছিলো তখন মাত্র ২ হাজার তুর্কমান বীর যোদ্ধা জান বাজি রেখে চেঙ্গিস খানের দুই লক্ষ সৈন্যের সাখে লড়াই করে শহীদ হলো। আর এক হাজার যোদ্ধা নিয়ে মঙ্গল বেষ্টনী ভেঙ্গে পালিয়ে যেতে বাধ্য হলো আলপের খান। তখন একটা কথা বলা হয়েছিলো "কাপুরুষদের শহরে বাস করা বীরদের ভাগ্যে দূর্ভাগ্যের কোনো সীমা থাকেনা"।
ঠিক তেমন একপাল গর্দভ এবং দূর্নীতিবাজদের শহরে দু একজন ভালো মানুষেরও দূর্ভগের কোনো সীমা থাকে না।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৮