
ছবি দুটো দেখুন! "এরশাদের মতো ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় যদি হাসিনার পতন হয়, তবে হাসিনা পালাবে"। ১৯৮১ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৬ বছর ঘনিষ্ঠভাবে সবসময় শেখাছিনার সাথে থেকে, শেকাছিনার চরিত্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে মতিউর রহমান রেন্টু ১৯৯৭ সালে, অর্থ্যাৎ আজ থেকে আরো ২৭ বছর আগে তার " "আমার ফাঁসি চাই" বইতে কথাটি বলেছিল। এবং আরো বলেছিল, পালিয়ে যাওযার আগে কাশ্মীরের মতো সৈন্য আনিয়ে দেশটা পার্শ্ববর্তী দেশের হাতে তুলে দিয়ে যাবে। কথা দুটোই একেবারে অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেছে। ওয়ার্ল্ড টাইমস নিউজ করেছে, শেষ মূহুর্তে হাসিনা পার্শ্ববর্তী দেশের আর্মি আনার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ৪০ মিনিটে যে সেটা কোন মতেই সম্ভব না, তা বুঝতেই পারছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শেষে মতিউর রহমান রেন্টু এ বিষয়ে হাসিনা সম্পর্কে তার সহযোদ্ধাদের সতর্কও করে গেছে।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী একমাত্র ব্যক্তি, যিনি বঙ্গবন্ধুর মৃ*ত্যুর খবর শোনা মাত্রই পচাত্তরের প্রতিকূল সময়ে অ*স্ত্র হাতে প্রতি*শোধের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পরাজিত হয়ে দীর্ঘদিন (১৯৯০ সাল পর্যন্ত) পার্শ্ববর্তী দেশের আশ্রয়ে ছিল। সেখানে থাকতে শেকাছিনা কাদের সিদ্দিকীকে ভাই ডাকতো। তখন ভাইয়ের জন্য নিজ হাতে মাছ রান্না করে নিয়ে যেত। কিন্তু দেশে এসে সেই কাদের সিদ্দিকীকে আর পাত্তাই দেয়নি। তবে হ্যাঁ, হাসানুল হক ইনুকে কিন্তু মন্ত্রী বানিয়েছিল। যেই হাসানুল হক ইনু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিষোদগার (ভিডিও লিংক কমেন্টে) করেছিল। আজ যে বাপের জন্য কাঁদতে দেখেন, ঐটা পুরাটই ওর ভোগাস। এই মহিলার একমাত্র লক্ষ্য উদ্দেশ্য ক্ষমতার মজা ভোগ করা।
বিশ্বাস করেন, আমার খারাপই লাগে হাসিনার পড়াশুনা না করা বোকাসোকা মাথামোটা কিছু অন্ধ সমর্থকদের জন্য। এই মহিলা কত সুন্দর করে ১৬টা বছর এদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেয়ে বিপদের সময় চম্পট দিলো। এদের জন্য যদি হাসিনার বিন্দুমাত্র দরদ থাকতো তবে না পালিয়ে গ্রেফতার হতো। এরশাদ কি চাইলে পালাতে পারতো না? কিন্তু পালায়নি, গ্রেফতার হইছে। বঙ্গবন্ধু কি পালাতে পারতো না? পালায়নি, গ্রেফতার হইছে।
এখন অনেকে একটু কথা বলছে, যেন ভবিষ্যতে কখনো আম্লিগ ক্ষমতায় এলে বলতে পারে যে বিপদের সময় পাশে ছিলাম। তাদেরকে বলবো কাদের সিদ্দিকীকে দেখে শিক্ষা নেন। জ্বী হ্যাঁ, এটাই আম্লিগ, যেখানে কাদের সিদ্দিকীরা বঞ্চিত হয়, আর হাসানুল হক ইনুরা পুনর্বাসিত হয়।
আর আম্লিগের আবারো ক্ষমতায় আসা? দেখুন বাহাত্তর থেকে পচাত্তর নিয়ে সমালোচনা থাকলেও, সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর অবদানও কিন্তু আছে। দ্বিতীয়ত তাকে স্ব-পরিবারে নির্মমভাবে হ*ত্যা করা হয়ছিল, সুতরাং এ জন্য আম্লিগের জনতার একটু সিম্প্যথি পাওনাই ছিল। আর তখন এতো ফেসবুক ইউটিউব ছিল না। কিন্তু এখনকার বিষয় ভিন্ন। সবকিছুর ভিডিও রয়েছে, এবং হাসিনা গ্রেফতার ও বিচারের ভয়ে পলাইছে৷ সুতরাং আম্লিগ, আবার ক্ষমতায় আসবে, সেটা আকাশ কুসুম কল্পনা। তবে হ্যাঁ ছোটখাটো দল হিসেবে মুসলিমলীগের মতো হয়তো টিকে থাকবে, একেবারে হারিয়ে যাবে না। আরেকটা কথা বলে রাখি, হাসিনা সমর্থকরা হয়তো বলতে পারেন, ফখরুদ্দিনের সময়তো পলায় নি। আসলে তখন তো পলানোর সুযোগই ছিল না।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



