১. দেশ হতে সকল বৈষম্য দূর করে মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ করতে হবে, এবং বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া মেধাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্র গঠনে কাজে লাগাতে হবে।
২. বিচার বিভাগ সহ প্রতিটা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে হবে।
৩. প্রাথমিক ভাবে কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা কেন্দ্র হিসবে গড়ে তুলতে হবে। এবং ধারাবাহিকভাবে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. কারিগরি শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে, জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করতে হবে।
৫. প্রাইমারি শিক্ষায় লার্নিং বাই ডুইং পদ্ধতি প্রবর্তন, অর্থাৎ বাচ্চারা পড়ে শেখার পরিবর্তে করে শিখবে। সেকেন্ডারি লেভেল হতেই কারিগরি এবং আইনের একটা বিষয় রাখতে হবে।
৬. সকল প্রকার রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তিক ছাত্রসংগঠন নিষিদ্ধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ খুলে, সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে।
৭. শিক্ষা বানিজ্য দূর করে শিক্ষা এবং গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।
৮. শিক্ষাঙ্গনকে সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রভাব মু্ক্ত করতে হবে, এবং যোগ্যতা ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
৯. প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা যেন আর কখনো কোন নেতার আদেশে আইন অমান্য করে জনগণের বিপক্ষে না দাঁড়াতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
১০. খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর নামে একটি বিভাগ চালু করতে হবে। খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে কঠোর আইন পাশ করে তা কার্যকর করতে হবে।
১১. চিকিৎসা ব্যাবস্থার বেসরকারীকরণ তথা চিকিৎসা বানিজ্য দূর করে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ সরকারি করতে হবে। অর্থাৎ এইচএসসি পাশের পর সামরিক অফিসারদের যেমন সরকার নিজেই গড়ে তোলে। তেমনভাবে এইচএসসি পাশের পর যারা মেডিকেলে চান্স পাবে, তাদের সরকার নিজেই গড়ে তুলবে, পাশ করার পর মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে। কোন প্রাইভেট প্রাকটিস বা প্রাইভেট হসপিটাল থাকবে না। মানুষের জীবন নিয়ে কোন বানিজ্য নয়।
১২. জেলা উপজেলা হাসপাতালকে আরো আধুনিকায়ন এবং বিস্তৃত করতে হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে এমবিবিএস ডাক্তার নিযোগ দিয়ে চিকিৎসাকে মানুষের দৌড় গোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে।
১৩. কৃষিকে খাতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এগিয়ে নিতে হবে, এবং কৃষককে রক্ষা করতে হবে।
১৪. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অনতিবিলম্বে সমুদ্র সীমায় তেল গ্যাস অনুসন্ধান শুরু করতে হবে। বিদ্যুৎ খাতকে পূর্বের ন্যায় শতভাগ সরকারি নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে আনতে হবে।
১৫. তথ্য ও প্রযুক্তিকে মানুষের কল্যাণে ব্যাবহার উপযোগী করতে হবে।
১৬. নীল অর্থনীতিতে গুরুত্ব দিতে হবে।
১৭. বহুমুখী শিল্পের বিকাশে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করে, শিল্প যন্ত্রাংশের আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে।
১৮. কৃষিজমি নষ্ট করে যত্রতত্র গৃহ নির্মাণ বন্ধ করে, পরিকল্পিত গ্রাম গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে পদ্মা ও যমুনা সেতুতে জমি প্রদানকারীদের আবাসনের মডেল গ্রহন করা যেতে পারে।
১৯. পরিবহন এবং রাস্তার ফুটপাত সহ সকল সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং সারা দেশে শহর এবং পৌরসভার ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে।
২০. বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি করে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা দূর করতে হবে।
২১. ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের সকল স্তরে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।